আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in সালাত(Prayer) by (14 points)

আসসালামু আলাইকুম 

আমার পূর্বোক্ত প্রশ্ন হচ্ছে https://ifatwa.info/92475/

সেখানে বলেছিলাম যে অফিস থেকে পিকনিকের জন্য লটারি ও বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই খেলাধুলা ও লটারির বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব যেমন: খেলার আয়োজন, খেলায় সার্বিক সহযোগিতা, লটারির টিকেট বিক্রি করা, লটারি কেনা ইত্যাদি। এই কাজ গুলোর দায়িত্ব অফিসের উচ্চতর কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে।

বি:দ্র: আমার পূর্বের প্রশ্ন টা একটু দেখে নিবেন দয়া করে

উল্লেখ্য যে, আমাদের অফিসে যে সালাতের জায়গা আছে, সেখানকার কিছু উচ্চতর কর্মকর্তা সালাত পড়ান, ৩ জন আছেন, একজন অনুপস্থিত থাকলে আরেকজন সালাত পড়ান। তাদের ও তো উপরোক্ত বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো, তারা ইচ্ছায় অনিচ্ছায় অথবা বুঝে বা না বুঝে দায়িত্ব পালন করেছে হয়তোবা যেমন- খেলাধুলার আয়োজন/লটারি সংক্রান্ত কাজ কর্ম। আমার প্রশ্ন নিম্নরূপ-

১) তাদের পিছনে সালাত আদায় করলে কি সালাত আদায় হবেনা?

২) উপরোক্ত কাজগুলো দ্বারা তারা কি ফাসেক?

৩) যিনি সালাত পড়ান একজন মজা করে মিথ্যা বলেন, তার পিছনে সালাত হবে না?

৪) একজন ২ টা লটারি তে বিজয়ী হয়েছে, তাই আমি বুঝেছি যে তিনি হয়তো লটারি কিনেছেন ইচ্ছে করে, তো তার পিছনে কি সালাত হবেনা?

৫) যেহেতু অফিসে সালাত আদায়ের জায়গা আছে, তাই অফিস থেকে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করতে দিবেনা যদিও অফিসের পাশেই মসজিদ।  যদি তাদের পিছনে সালাত পড়লে আদায় বা কবুল না হয়, তাহলে আমার কি করণীয়?

৬)  দুপুর১ টার সময় যোহরের ওয়াক্তে অফিসে জামায়াত হয় ১:১০ এ আর মসজিদে হয় ১:১৫ তে যদি আমি মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করি তো তাহলে বাসায় আসতে আসতে আবার ৩০ বেজে যায়, তখন আমার খাওয়া দাওয়া করে একটু রেস্ট নেয়ার সময় থাকেনা, আবার অফিসে চলে যেতে হয়। যদি অফিসেই জামাতে সালাত পড়ি তো ১০ মিনিটের মতো সেইভ হয় আমার, তো এখন কি এই কথাটা মাথায় রেখে অফিসেই সালাত পড়তে পারবো? আর একটি কথা যোহরের সালাত যিনি পড়ান অফিসে তাকে দেখেছিলাম মজা করে মিথ্যা বলতে, তার পিছনে সালাত আদায় হবে? 

৭) বর্তমানে তো হালাল-হারাম সম্পর্কে অনেকেই সচেতন না অথচ তারাই আমাদের নেতৃত্ব দেয়। উপরোক্ত ব্যক্তিগুলো যদি আরো অন্য কোনো ফাসেকী কাজে লিপ্ত থাকে সেইগুলো তো আমি জানিনা, তো এক্ষত্রে কি সালাত হবেন?

৮) ফাসেকের পিছনে সালাত আদায় জায়েজ নয়। এক্ষেত্রে কি সালাত কবুল ই হবেনা? বা আদায় হবেনা? নাকি তার পিছনে সালাত আদায় করলে আলাদা করে গুনাহ হবে? কোনটা বুঝানো হয়েছে এখানে?

1 Answer

0 votes
by (677,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺍﻟﺼَّﻼﺓُ ﺍﻟْﻤَﻜْﺘُﻮﺑَﺔُ ﻭَﺍﺟِﺒَﺔٌ ﺧَﻠْﻒَ ﻛُﻞِّ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﺑَﺮًّﺍ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﻭْ ﻓَﺎﺟِﺮًﺍ ﻭَﺇِﻥْ ﻋَﻤِﻞَ ﺍﻟْﻜَﺒَﺎﺋِﺮَ )

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, ওয়াক্তিয়া ফরয নামায ইমামের পিছনে জামাতের সাথে পড়া ওয়াজিব।চায় ইমাম নেককার হোক বা বদকার হোক।এবং চায় উক্ত ইমাম কবিরাহ গুনাহ করে থাকুক না কেন।
সুনানে আবু-দাউদ;৫৯৪
بل مشی في شرح المنیۃ: علی أن کراہۃ تقدیمہ کراہۃ تحریم لما ذکرنا۔ (شامي ۱؍۵۶۰ کراچی، شامي ۲؍۲۹۹ زکریا)
وتجوز إمامۃ الأعرابي … والفاسق کذا في الخلاصۃ إلا أنہا تکرہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۸۵، شامي ۲؍۲۹۸ زکریا) 
সারমর্মঃ ফাসেক ব্যাক্তিকে ইমাম বানানো মাকরুহ। 

إمامۃ الفاسق مکروہۃ تحریماً۔ (طحطاوي علی المراقي الفلاح ۳۰۳، شامي ۲؍۲۹۹ زکریا، حلبي کبیر ۵۱۳ لاہور، الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۸۵ کوئٹہ)
ফাসেক ব্যাক্তির ইমামতি মাকরুহে তাহরিমি। 

ولو صلی خلف مبتدع أو فاسق فہو محرز ثواب الجماعۃ لکن لاینال مثل ما ینال خلف تقي۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۸۴، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۲۵۲ رقم: ۲۳۳۵ زکریا)
সারমর্মঃ বিদআত কারী,ফাসেকের পিছনে নামাজ পড়লে সে জামাআতের সাথে নামাজ পড়ার ছওয়াব পাবে,তবে মুত্তাকি ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার ছওয়াব পাবেনা ।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
তাদের পিছনে সালাত আদায় করলে সালাত আদায় হবে।

(০২)
নারীদের নিয়ে এভাবে যারা বেপর্দা পিকনিক করবে,গানবাজনা করবে,হারাম লটারী করবে,তারা ফাসিক।

(০৩)
তার পিছনে সালাত আদায় হবে।

(০৪)
তার পিছনে সালাত আদায় হবে।

(০৫)
তাদের পিছনে সালাত আদায় হবে।
সালাত কবুল হবে।

(০৬)
এক্ষেত্রে তার পিছনে সালাত আদায় হবে।

এক্ষেত্রে মসজিদে সালাত আদায় করলে ছওয়াব বেশি হবে।

(০৭)
সালাত হবে।

(০৮)
সালাত আদায় হবে।
তবে মাকরুহ হবে।
এক্ষেত্রে মুত্তাকি ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার ছওয়াব পাবেনা ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 43 views
0 votes
1 answer 43 views
0 votes
1 answer 54 views
...