আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

১,কোনো স্বামী যদি বলে 'তালাক হলে হোক' তাহলে কি তালাক হবে?

২, একবার স্ত্রীর কাছে একটা ফটো চাচ্ছিলো।অনেক জোরাজুরির পর দিচ্ছিল না।অনেক ক্ষন পর দেয়ার সময় স্বামী রাগ করে বলে, ' এখন কেন দিছস?যা তোকে ডিলিট দিব' তাই বলে ছবি ডিলিট দেয়।এখানে ডিলিট দেয়া অর্থ তোকে রাখবনা। এখানে তালাকের নিয়ত ছিল কিনা জানিনা।কখনো মনে হয় ছিল কখনো মনে হয়না।আসলে ব্যাপারটা এমন, যে মা যখন সন্তানকে কাছে ডাকে,সন্তান আসেনা।অনেক ক্ষন পর আসে।তখন মা সন্তানকে বলে,'এখন কেন আসছস? যা ভাগ'। এখানে যেমন যা ভাগ অর্থ একবারে বিচ্ছিন্নতা নয় বরং সাময়িক ধমক। ঠিক এমন ভাবে স্বামী সেই ডিলিট/না রাখার ব্যাপারে বপ্লেছে।খুব সম্ভবত এই নিয়তেই বলেছে।

3,স্ত্রী আমার কথার পাত্তা দিচ্ছিল না।আমি রাগ করে তালাকের নিয়তে বলেছি ,  'তোর পাত্তার আশায় আমার বসে থাকা লাগবে নাকি?' স্ত্রী তার ভুল বুঝতে পেরে বলেছে, 'না'। এতে কি তালাক হবে?
4,আমার মাঝে মাঝে জামাতে নামাজ পড়ানোর দরকার পড়ে। নামাজে দাড়ালেই মনে হয়।আমার রুকু সিজদা গুলো ঠিকঠাক করতে হবে,তাড়াহুড়ো করা যাবেনা।যাতে মুক্তাদীর হক্ব ঠিক থাকে।কারণ তাদের হক্ব আছে আমার থেকে সুন্দর ও ভাল সালাত পাবার।আবার অনেক সময় খেয়াল আসে আমার তেলাওয়াতে ভুল হলে বা সঠিক তবে একটু অসুন্দর হলে মুক্তাদী কি না কি ভাব্বে।এজন্য অনেক সময় সুন্দর করার চেষ্টা করি।সালাতের মধ্যেই আমার দ্বারা অনাকাংখিত কিছু ঘটলে অনেক লজ্জা পাই হায় এখন ওরা কি ভাব্বে, অনেক সময় আয়াত রিপিট করি বেশি শুদ্ধ করার জন্য।এতেও ভয় লাগে কি না কি ভাবে।

এসব অনেক চিন্তা আসএ মাথায় কিন্তু এসব রিয়া হয় কিনা যার কারণে সালাত বাতিল হবে।অনেক চিন্তিত থাকি। আমাকে একটু সমাধান দিন এতে নামাজ বাতিল হবে কিনা।

5,,শেষ বৈঠকে মাথা ঝুকে রাখল্র নামাজ হবে কি?

6,কারো থেকে প্র‍্যাক্টিক্যাল খাতা আকিয়ে বা লিখে নেওয়া কি জায়েজ হবে?

৭ ফরজ গোসল শেষে  রুমে এসে যদি দেখি কোথাও মরা চামড়া ছিল,(যা গোসলের আগে গায়ের সাথে লেগেছিল একটা ঘায়ের উপর।ক্ষতস্থান ঢেকে আছে) তা হাত দিয়ে তুলে ফেলেছি।এখন উন্মুক্ত স্থান কি নতুন করে ভেজাতে হবে? যেহেতু গুসল শেষ।

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
তাহলে তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৩)
এতে তালাক হবেনা।

(০৪)
যদি শুধুমাত্র লোক দেখানো ইবাদত হয়,তাহলে এমন রিয়া ছোট শিরক।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ " .

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে গিয়ে মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরের পাশে উপবিষ্ট অবস্থায় কান্নারত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত কিছু বিষয় আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম কপটতাও শিরক। যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন বন্ধুর (ওলী) সাথে শত্রুতা করলো, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। নিশ্চয় আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মপরায়ণ আল্লাহভীরু আত্মগোপনকারী বান্দাদের, যারা দৃষ্টির অন্তরাল হলে কেউ তাদের খোঁজ করে না, সামনে উপস্থিত থাকলে কেউ তাদের আপ্যায়ন করে না এবং তাদের পরিচয়ও নেয় না। তাদের অন্তরসমূহ হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারা সব ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন কদর্যতা থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাবে।
(ইবনে মাজাহ ৩৯৮৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে লোক দেখানোর জন্য এগুলো করার ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি তো উদ্দেশ্য ছিলোনা।
তাই এগুলো রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে।
তবে নামাজ হয়ে যাবে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
নামাজ বাতিল হবেনা।

(০৫)
নামাজ হয়ে যাবে।

(০৬)
জায়েজ হবেনা।
এটি নিজে নিজে আঁকতে/লিখতে হবে।

(০৭)
উক্ত ক্ষতস্থানে পানি পৌছে না থাকলে এবং সেই ক্ষতস্থানে পৌছানো ক্ষতিকর না হলে পুনরায় শুধু সেই স্থানে পানি পৌছাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...