আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
265 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
edited by
১. জায়নামাজে মসজিদের মিনারের ছবি বা কাবার ছবি থাকলে কি সেই জায়নামাজে নামাজ হবে? সেই জায়নামাজের উপর দিয়ে হাঁটলে কি গোনাহ হবে?

২. বিয়েতে ১ বার কবুল বললেই কি বিয়ে হয়ে যায়, নাকি ৩ বার কবুল বলা বাধ্যতামূলক? আর কবুল শব্দটি না বলে কবুল এর করে নিয়েছে এমন ইঙ্গিত প্রকাশ করলে বা শুধু আলহামদুলিল্লাহ শব্দটি বললে কি বিয়ে হবে?

৩. বিয়ে পড়ানোর সময় ছেলের বাবা ওই বিয়ে পড়ানোর জায়গাতেই উপস্থিত আছে, কিন্তু তার থেকে অর্থাৎ ছেলের বাবার থেকে মৌখিক ভাবে অনুমতি না নিলে কি ওই বিয়ে অসম্পূর্ণ হবে?

৪. সচেতন ও অচেতন অবস্থায় মাথায় তালাক সংশ্লিষ্ট চিন্তা আসার কারণে আসার কারনে কি তালাক হয়? ((অবিবাহিত ও বিবাহিত উভয় পুরুষের ক্ষেত্রে)

৫. কেউ বিছানায় শুয়ে তালাক এর বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে, এমন সময় তার চোখে হালকা ঘুম ঘুম ভাব চলে এসেছে। এমন অবস্থায় সে চোখ বন্ধ করে তালাকের কথা চিন্তা করছে। যেসব কথার দ্বারা তালাক হয়ে যায়, সেসব কথা তখন শুয়ে থাকা অবস্থায় সে চিন্তা ভাবনা করেছে কিনা বা মুখে বলেছে কি না তার সঠিক মনে নেই। এর কারণে কি তালাক হতে পারে? (অবিবাহিত ও বিবাহিত উভয় পুরুষের ক্ষেত্রে)

৬. কেউ যদি বলে বা মাথায় চিন্তা করে যে, বিয়ের সময় সে কবুল বলবে না। কিন্তু সে বিয়েতে ঠিকই কবুল বলেছে। এতে কি সেই বিয়ে সম্পূর্ণ হবে? সে যেহেতু বলেছিল বা ভেবেছিল সে বিয়েতে কবুল বলবে না, এই কথার কারনে কি তালাক হবে?

৭. ঘুমন্ত অবস্থায় কেউ যদি স্বপ্নে তার স্ত্রীকে মুখে শব্দ করে তালাক দেয় এবং সেই কথা তার স্ত্রীও শুনে থাকে তাহলে এতে কি তালাক হবে? এবং অবিবাহিত অবস্থায় কোনো পুরুষ ঘুমের মধ্যে শর্ত সাপেক্ষ তালাকের কথা বললে কি বিয়ের পর তালাক হবে?

৮. কেউ যদি অবিবাহিত অবস্থায় হবু বউকে বলে যে, তুমি যদি অমুক কাজ কর বা অমুক জায়গায় যাও তাহলে বিয়ের পর তুমি তালাক। এতে যদি হবু বউ ওই জায়গায় যায় বা অমুক কাজটি করে ফেলে তাহলে কি বিয়ের পর তালাক হবে?

৯. মুয়াত্ত্বা মালেকে বর্ণিত ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর উক্তি "বিবাহের পূর্বে কারো নাম বা গোত্রের নাম উল্লেখ করে কেউ যদি বলে অমুক তালাক তাহলে বিবাহের পর তালাক হয়ে যাবে" মর্মের বর্ণনাটি মুনকাতে" হওয়ার কারণে বাতিল (মুয়াত্ত্বা মালেক হা/১২১৫, ১২৭৫; জামেঊল উছূল ফী আহাদীছির রাসূল, তাহকীক আব্দুল কাদের আরনাউত হা/৫৭৭০)।     [ তথ্য সুত্রঃ মাসিক আত-তাহরীক ] ।    - এখানে যে বর্ণনাকে বাতিল বলা হয়েছে, তা কি আসলেও বাতিল হিসেবে বিবেচিত?

১০. ওয়েবসাইট ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করার সময় অনেক সময় থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে কপিরাইট ফ্রি অর্থাৎ কপিরাইট মুক্ত ইমেজ নিয়ে তা নিজস্ব কাজে ব্যবহার করা হয়। সেগুলো যেহেতু কপিরাইট মুক্ত এবং সকলের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত, সেহেতু কি সেসব ইমেজ এডিট করা বৈধ হবে?
by (26 points)
৯ নং প্রশ্ন এডিট করা হয়েছে

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/10139/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
শরীয়তের বিধান মতে এমন জায়নামাজে বসা,নামাজ পড়াতে কোনো গুনাহ নেই।
,
কাবা ঘরের ছবিযুক্ত জায়নামাজে বসায় কোনো অসুবিধা নেই। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ৭/১১১, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১২/৩৮০)

তবে কোন নামাযীর সামনে বা তার জায়নামাযে কোন প্রকার ছবি না থাকাই বাঞ্ছনীয়; যাতে করে ছবিগুলো তার মনোযোগ বিঘ্নিত না করে। 

ইমাম বুখারী (৩৭৩) ও ইমাম মুসলিম (৫৫৬) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কারুকাজ বিশিষ্ট একটি কাপড়ে নামায পড়লেন এবং একবার কারুকাজের দিকে তাঁর দৃষ্টি গেল। নামায শেষে তিনি বললেন: আমার এ কাপড়টি আবু জাহমের কাছে নিয়ে যাও এবং আবু জাহমের আনবিজানী (শামের একটি স্থানে উৎপাদিত) কাপড়টি নিয়ে আস। কারণ একটু আগে এ কাপড়টি আমার নামাযে মনোযোগ নষ্ট করতে যাচ্ছিল। হিশাম বিন উরওয়া তাঁর পিতা থেকে তিনি আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: নামাযে কারুকাজগুলোর উপর আমার দৃষ্টি যাচ্ছিল। তাই আমার আশংকা হচ্ছিল এটি আমাকে ফিতনায় ফেলে দিবে।

শাইখ উছাইমীন (রহঃ) কে এমন জায়নামাযে নামায পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় যেগুলোতে মসজিদের ছবি আছে। জবাবে তিনি বলেন: আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে ইমামের জায়নামাযে মসজিদের ছবি থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। যেহেতু হতে পারে এটি ইমামের মনোযোগ বিঘ্নিত করবে, তার দৃষ্টিকে আকর্ষণ করবে। এভাবে নামাযে ত্রুটি ঘটাবে। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নকশাবিশিষ্ট কাপড়ে নামায পড়েছিলেন এবং একবার নকশার দিকে তাঁর দৃষ্টি পড়ে যায় তখন নামায শেষে তিনি বলেন: "আমার এ কাপড়টি আবু জাহমের কাছে নিয়ে যাও এবং আবু জাহমের আনবিজানী (শামের একটি স্থানে উৎপাদিত) কাপড়টি নিয়ে আস। কারণ একটু আগে এ কাপড়টি আমার নামাযে মনোযোগ নষ্ট করতে যাচ্ছিল।" আয়েশা (রাঃ) এর হাদিস হিসেবে সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে বর্ণিত।

যদি ধরে নেয়া হয় যে, এর দ্বারা ইমামের মনোযোগ নষ্ট হবে না; যেহেতু ইমাম অন্ধ কিংবা বহুবার দেখতে দেখতে তার কাছে এটি উল্লেখযোগ্য কিছু নয় ও নজর দেয়ার মত কিছু নয়— সেক্ষেত্রে আমরা এতে নামায পড়ায় কোন অসুবিধা দেখছি না। আল্লাহ্ই তাওফিকদাতা।[মাজমুউ ফাতাওয়াস শাইখ বিন উছাইমীন (১২/৩৬২)]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জায়নামাজে মসজিদের মিনারের ছবি বা কাবার ছবি থাকলে সেই জায়নামাজে নামাজ হবে। সেই জায়নামাজের উপর দিয়ে হাঁটলে গুনাহ হবেনা।

(০২)
বিয়েতে ১ বার কবুল বললেই বিয়ে হয়ে যায়।
৩ বার কবুল বলা বাধ্যতামূলক নয়।

কবুল বা কবুল.গ্রহন করার অর্থ দেয়,এমন শব্দ বললেও বিবাহ হয়ে যাবে।

আলহামদুলিল্লাহ শব্দটি বললে বিবাহ হবে।

(০৩)
ঐ বিবাহ অসম্পূর্ণ হবেনা।
বিবাহ সম্পূর্ণ হবে।

(০৪)
না,এতে তালাক হয়না।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৬)
এতে সেই বিয়ে সম্পূর্ণ হবে।

সে যেহেতু বলেছিল বা ভেবেছিল সে বিয়েতে কবুল বলবে না, এই কথার কারনে তালাক হবেনা।

(০৭)
ঘুমন্ত অবস্থায় কেউ যদি স্বপ্নে তার স্ত্রীকে মুখে শব্দ করে তালাক দেয় এবং সেই কথা তার স্ত্রীও শুনে থাকে তাহলে এতে তালাক হবেনা।

অবিবাহিত অবস্থায় কোনো পুরুষ ঘুমের মধ্যে শর্ত সাপেক্ষ তালাকের কথা বললে বিয়ের পর তালাক হবেনা।

(০৮)
এতে সেই মেয়েকে বিবাহের করলে বিবাহের পর পরই তালাক হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ- 

(০৯)
এটি কিছু হাদীস বিশারদদের মতে বাতিল,অনেক হাদীস বিশারদদের মতে এটি বাতিল নয়।
আমলযোগ্য।

(১০)
হ্যাঁ, সেসব ইমেজ এডিট করা বৈধ হবে।
তবে যদি কোনো সাইটে এডিট করা নিষেধ করে দেয়,সেক্ষেত্রে শুধু তাদের সাইটের ইমেজ এডিট করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (26 points)
১০ নং এর ক্ষেত্রে, বিধি নিষেধ জানা না থাকলে কি এডিট করা যাবে?
by (675,600 points)
হ্যাঁ, প্রশ্নের বিবরণ মতে যেগুলো কপিরাইট মুক্ত এবং সকলের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত, সেসব ইমেজ এডিট করা বৈধ হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...