আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।

https://ifatwa.info/59958/ ফতোয়ার
১/ ১ নং প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে যা, সেক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হলো- হায়েয গণ্য করতে হলে লাগাতার সর্বনিম্ন ৩ দিন পর্যন্ত লাগাতার রক্ত বের হওয়া শর্ত?  ৩ দিনের কমে যেমন- একটু বের হলো ১ দিন অফ থাকলো -আবার বের হলো- এরকমটা ইস্তেহাযা হবে?

২/ ৪ নং প্রশ্নে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম- হারাম হতে পারে এমন অধিক সন্দেহপূর্ণ ই-কোড যা হারাম হয়েছে সেটা নিশ্চিত নয়। অধিক সন্দেহপূর্ণ।  সাজেস্ট করা হয় এসব এভয়েড করতে। কিন্তু এই পণ্যগুলোর প্যাকেটে হালাল লিখা থাকে। সেক্ষেত্রে  এগুলোও কি নির্দ্বিধায় খাওয়া যাবে কি না?

৩/ ৫ নং প্রশ্নের উত্তর  বলা হয়েছে- সেরকম অবস্থায়  ইস্তেখারার সুন্নাত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। ইস্তেখারার সুন্নাত পদ্ধতিটা কী?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একবার হায়েজ এসে পরে যদি আবার ২য় দিনে হায়েজ আসে,এর পর যদি আর না আসে,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা। 

যদি একবার হায়েজ এসে পরে যদি আবার ৩য় দিনে হায়েজ আসে,এর পর যদি আর না আসে,তাহলে সেটিও ইস্তেহাজা। 

কেননা উভয় ছুরতে হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা পাওয়া যায়নি।
এসময়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

যদি একবার হায়েজ এসে পরে যদি আবার ২য়/৩য় দিনে হায়েজ আসে,এর পর যদি আবার ৪র্থ/৫ম/৬ষ্ঠ/৭ম/৮ম/৯ম/১০ম দিনে আসে,তাহলে সেটি হায়েজ। 

এসময়ে নামাজ আদায় করা যাবেনা।

(০২)
নিশ্চিত ভাবে হারাম ই-কোড সেই খাবার খাওয়া যাবেনা। 

হারাম ই-কোড সম্পর্কে জানুনঃ- 

উপরোক্ত লিংকে দেয়া হারাম ই-কোড যদি কোনো খাবারে না থাকে,সেক্ষেত্রে সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো খাবারকে হারাম বলা যাবেনা।
খাওয়া যাবে।

তবে সন্দেহজনক হলে অনেকে খেতে নিষেধ করেন,তাই সতর্কতামূলক না খাওয়াই উত্তম হবে। 

(০৩)
https://ifatwa.info/13381/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
ইস্তেখারা অর্থ হল, ভালোকে তালাশ করা। অর্থাৎ যখন কারো সামনে দু’টি রাস্তা থাকে, সে জানেনা কোন রাস্তাটি তার জন্য মঙ্গলজনক, তাহলে এমতাবস্থায় সে ইস্তেখারা করে একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। সুতরাং কারো অসুখ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না? সেটা জানার জন্য ইস্তেখারা করার কোনো নিয়ম নাই। হ্যা এ বিষয়ে আল্লাহর মদদ ও সাহায্য কামনার স্বার্থে ইস্তেখারা করা যেতে পারে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ: 

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»

ভাবার্থঃ‘‘প্রভু হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি; তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে তুমি তাকে আমার হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো; অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে তোল।’’তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الْأَمْرَ  তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী- (শামেলা);২/৫৭,হাদীস নং১১৬২,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯) 

বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1472

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রাত্রে ইশার ফরজ,সুন্নাত অন্যান্য নামাজ আদায়ের পর দুই রাকাত ইস্তেখারার নামাজ আদায় করে উপরোক্ত দোয়া পড়ে দোয়া করবেন।
কোন বিষয় সম্পর্কে ইস্তেখারা করছেন,সেটি স্পষ্ট আকারে নিয়ত রেখে দোয়া করুন।

পরবর্তীতে পাক কাপড়ে পাক বিছানায় কাহারো সাথে কথা না বলে ঘুমিয়ে যান।
ইনশাআল্লাহ স্বপ্নযোগে কোনোদিকে ইশারা পাবেন,বা আপনার মন কোনোদিকে ধাপিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...