আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

আমি একজন সাবেক কলেজের ছাত্রী।আল্লাহর অনুগ্রহে কলেজ অধ্যায়ন কালেই আমার দ্বীনের বুঝ আসে।ফলে কলেজে ভর্তি হওয়ার দুই মাস পূর্ণ না হতেই আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জেনারেল লাইন থেকে সরে আসার সংকল্প করি।তারপর আম্মু আব্বুর সাথে জেদ করে তাদের বুঝিয়ে কোনোভাবে মাদ্রাসায় ভর্তি হই।

আমার মাদ্রাসা তে ভর্তি হতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়।কারণ আমার পরিবারের দ্বীন শুধু মাত্র নামাজ,রোজা, বাইরে যাওয়ার সময় বোরকা পড়া আর সুন্নতি দাড়ি রাখা পর্যন্তই।

আমাকে তেমন সাপোর্ট করে না ফ্যামিলি থেকে।কিন্তু মাদ্রাসা এটা বুঝে না সেখান থেকে আমাকে পুরোপুরি ভাবে সুন্নতি জীবনযাপন করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। মাদ্রাসার সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে চাপ দেওয়া হয় যা আমি আমার পরিবারের কারণে পারিনা। তাদেরকে আমার পরিবারের কথা বললে শুধু বলে 'দুআ করে যাও আর দ্বীনের দাওয়াত দাও।'আমার নিজের ইলম ও অত বেশি না আবার আমার নিজেরই দাওয়াতী কাজের তেমন জ্ঞান নেই তাও আবার মুরুব্বিদের ক্ষেত্রে কিভাবে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হয় দ্বীনের বুঝ দিতে হয় তা তো আরো বেশি জানা নেই।আমি আমার মত চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু আমি চাইলেই তাদের হিদায়াত দিতে পারবো না শুধু মাত্র চেষ্টা ছাড়া।আর এদিকে এই মডারেট দ্বীন পালন করা পরিবেশে থেকে আমার সব সময় হিদায়েতের পথ থেকে বিচ্চুত হওয়ার ভয় লেগেই থাকে।পর্দা,বাজনা থেকে বেঁচে থাকা,সুন্নতি জীবনযাপন করা,আরো ডিসিপ্লিনড হওয়া এসব কোনোটাই হচ্ছে না বাসায় থেকে।এছাড়া আরো কিছু সমস্যা আছে।

আর আমার বারবার মনে হয় যে আল্লাহ আমাকে ইঙ্গিত করছে আবাসিক মাদ্রাসা তে চলে যাওয়ার জন্য।কেননা আমি ইস্তেখারা করার পর সেদিন ই এমন কিছু ঘটে যা আমাকে আরো বেশি রিয়ালাইজ করায় আবাসিক মাদ্রাসায় থেকে পড়াটা হয়ত উত্তম হবে।আর আমি আশা করি সেখানে থেকে পড়লে আল্লাহ্ চাইলে একটা দ্বীনি পরিবেশে থাকতে পারবো,সেখানে থেকে আদব কায়দা শিখতে পারবো,সুন্নতি তরিকায় কিভাবে সারাদিন চলতে হয় তা শিখতে পারবো,উস্তাজাদের সোহবতে থাকতে পারবো,দ্বীনের দাওয়াত কিভাবে ব্যাক্তি বিশেষে দিতে হয় তা শিখতে পারবো যদি আল্লাহ চাহেন তো।

কিন্তু আমার এই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছি দেড় মাস হয়েছে মাত্র।এর মাঝেই আবারও এক মাদ্রাসা ছেড়ে চলে আসবো!!

কিন্তু এখন আমি আবাসিক মাদ্রাসায় যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় দেখছিও না আবার আমি আর নিজের উপর আস্থা রাখতে পারছি না মনে হচ্ছে এইবারও আমার দ্বারা ভুল সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে।অথবা আমি আবাসিক মাদ্রাসায় টিকতে পারবো না।

আমি হয়ত তিন/চার দিন ইস্তেখারা করেছি।কিন্তু একাধারে না।আমি এইবার চাই আমার দ্বারা যেনো ভুল না হয় এবং আমার সিদ্ধান্তের জন্য যেনো আফসোস না করতে হয়।এখন আবাসিক মাদ্রাসায় পড়ার সিদ্ধান্ত পজিটিভ মনে হলেও আমার আশঙ্কা হচ্ছে না জানি আবার কোনো জটিলতা দেখা দেয়।আমি খুবই আশাহত নিজের প্রতিই।

আমি এখন কি করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ এই পরিস্থিতিতে যে আপনাকে হেদায়তের উপর অটল রেখেছেন।এটা আল্লাহর বিশেষ অনগ্রহ। আপনি এই কঠিন পরিস্থিতিতেও অটল অবিচল থেকে যতটুকু সম্ভব দ্বীন পালন করার চেষ্টা করে যান। মনে রাখবেন, আপনার প্রতিটি নড়াচড়াই তাদের জন্য একটি দাওয়াত।সুতরাং অত্যান্ত সতর্কতার সাথে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে।প্রতিটি কদম ফেলতে হবে। বাসার বাহিরের চেয়ে বাসাই আপনার জন্য নিরাপদ। তবে যদি ভালো কোনো আবাসিক মাদরাসা পাওয়া যায়, এবং আপনার পরিবার রাজী ও খুশী থাকেন, তাহলে আপনি সেই মাদরাসাতে ভর্তি হতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...