আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।
ইদানীং তেলাওয়াতের সময় উচ্চারণ এ কিছুটা কষ্ট হয়,বিশেষ করে আইন,হা,আর ক্বফ এ।নামাজের মধ্যেও উচ্চারনে একটু কষ্ট হয়ে যায়,অনেক সময় নামাজ টা খুব দীর্ঘ লাগে উচ্চারনের সমস্যা র জন্য,।তবে আলহামদুলিল্লাহ চেষ্টা করি ঠিক মত পড়ার।
এর আগে যতবার ই কিছু নিয়ে ইস্তেখারা করা হয়েছে, বিষয় গুলো জানতে পেরেছি। কিন্তু এইবার ৪/৫ দিন একটানা ইস্তেখারা করার পরেও কোনো ভাবেই ইস্তেখারা র ফলাফল জানতে পারলাম না।
১/ ,আমার নামাজের উচ্চারণ এর সমস্যার কারনে কি ইস্তেখারা করেও ফলাফল পাইনি, বিষয়টা কি এমন?  শায়খ,ইচ্ছা করে তো উচ্চারণে ভুল করি না, ভুল বলতে গেলে অনেক বার ট্রাই করার পর মনে হয় যে উচ্চারন একটু শুদ্ধ হয়েছে। এই বিষয়ে কি করণীয়?
২/শায়খ, ইস্তেখারা করেও কোনো ফলাফল না পাওয়া টা কি কোনো অর্থ বহন করে? মানে আকাংখিত বিষয়ের ফলাফলের মত কাজ করে  কি?
৩/ ইস্তেখারার ফলাফলের জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করা কি ভালো হবে?  এখন কি করলে উত্তম হবে আমার জন্য?
শায়খ,দয়া করে উপরোক্ত বিষয় গুলো একটু ক্লিয়ার করলে উপকৃত হব।

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাজবীদের ভুলের কারণে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।নামায হয়ে যাবে। উচ্ছারণের সাথে ইস্তেখারার কোনো সম্পর্ক নাই। এবং ইস্তেখারার সাথে স্বপ্নেরও কোনো সম্পর্ক নাই। ইস্তেখারা অর্থ হচ্ছে, যখন কারো সামনে দু'টি রাস্তা থাকবে, দু'টি রাস্তার মধ্যে কোনো একটি রাস্তাকে নির্ধারণ করার জন্য ইস্তেখারা করা হয়ে থাকে, যতদিন না অন্তরে কোনো একটি কাজের প্রতি মন আকৃষ্ট হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত ইস্তেখারা চালিয়ে যেতে হবে। সুতরাং আপনি ইস্তেখারা চালিয়ে যান।ইনশা'আল্লাহ ফল অবশ্যই পাবেন


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...