ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ
আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।
ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ
অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে।(সূরা ত্বীন)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُم مِّنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَىٰ كَثِيرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيلًا
নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।(সূরা বনি ইসরাঈল-৭০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত দু'টি আয়াত দাবী করে যে, আল্লাহ তা'আলাই মানুষকে সম্মানি করে বানিয়েছেন।
(২)জ্বী, নাপাক জায়গায় ভালো কাপড় বিছিয়ে কুরআন পড়া যাবে।
(৩)স্পষ্ট কোনো নাপাকি দেখা না গেলে সেই জায়গাকে পবিত্র হিসেবেই ধরে নেয়া হবে। সুতরাং ঐ ফ্লোরে বসেই কুরআন পড়বেন। তাছাড়া ঐ মাদরাসার আসাতিযায়ে কেরামদের সাথে পরামর্শ করবেন।তারাই আপনাকে উত্তম পরামর্শ দিতে পারবেন।
(৪)জ্বী, অজু ভঙ্গ হবে।
(৫) কারো যদি ওযু না থাকে আর অন্য কেউ তাকে কুরআন খুলে দেয় আর সে স্পর্শ না করে কুরআন পড়ে ওযু ছাড়া দেখে দেখে ,তাহলে গুনাহ হবে না, তবে এটা কুরআন তিলাওয়াতের আদবের খেলাফ-ই মনে হচ্ছে।