ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
বান্দার হক বান্দার কর্তৃক মাফ করা ব্যতিত সাধারণত মাফ হবে না। তবে আপনি যে ছোটোখাটো জিনিষকে বান্দার হক ভাবছেন, তা কিন্তু সঠিক নয়। একজন ভ্যান চালকের সামনে যখন আপনি ভ্যানে কিছু রাখলেন,এবং সে যখন আপত্তি তুলছে না, তাহলে তখন বুঝা গেল যে, এতে ভ্যান চালকের মৌন সম্মতি রয়েছে।সুতরাং এক্ষেত্রে তার হক নষ্ট হচ্ছে না।
(২)
কেউ একজন অন্যজনের নিকট ২১০ টাকা পায়, এখন সে মনে মনে ভাবল যে, আমি তার থেকে ২০০ টাকা নেব বাকি ১০ টাকা মাফ করে দিলাম। কিন্তু টাকা নেয়ার সময় সে ২১০ টাকাই নিল। তাহলে অনুচিৎ কাজ করলো। তার জন্য উক্ত ১০ টাকা নেয়া কখনো জায়েয হবে না।
(৩)
আল্লাহ শিরকের গুনাহ তওবা ছাড়া মাফ করেন না এবং আল্লাহ বান্দার হক মাফ করেন না। এই কথা বলা ঠিক হয়েছে। হ্যা, আল্লাহ তো ইচ্ছা করলে যে কাউকে মাফ করতে পারেন।সেই চিন্তা মনে রাখলেই হবে।
(৪)
নেক সূরতে শয়তানের ধোকা বলতে, আপনি ভাববেন সওয়াবের কাজ করছেন কিন্তু বাস্তবে এটি গোনাহের কাজ।