আসসালমু আলাইকুম।
1. আমি জানতে চাই, ফাঁকা ঘরে মানুষ ব্যতীত জ্বীন আর ফেরেশতা কি সবসময় থাকে? মানুষ থাক আর না থাক তাও। এখন আমি একা একা কি করবো, আমার সাথে আমার আল্লাহ আছেন এতে কোনো সমস্যা নেই, রহমতের ফেরেশতা থাকলেও হয়তো সমস্যা নেই, কিন্তু কাপড় পরিবর্তন করা বা এরকম পার্সোনাল বিষয়ে যদি অন্য কোনো সত্তার উপস্থিতি থাকে, এটা কিভাবে মেনে নিবো?
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় যে আমি তো একা না, আমার আসে পাশেই তো কত জ্বীন, ফেরেশতা আছে, রাতে এমন বেশি মনে হয় যে আল্লাহ কেনো জ্বীন বানালেন, আর তাহলে তাদের কেনো মানুষের সাথে থাকতে দিলেন, তারা যদি আমাদের ক্ষতি করে বা ভয় দেখায় আমরা তো আগে থেকে বুঝতেও পারবোনা। আমার সচরাচর সরাসরি ভয় পাবার মত ঘটনা ঘটে না, তবে এই আতঙ্কে হ্যালুসিনেশন ঘটে, বেশিরভাগ রাত্রে যে আমি তো একা না, জ্বীন তো সব জায়গায় আছে, সূরা, দুআ কালাম পড়ে থাকলেও, এই চিন্তায় ই কত সময় সারারাত ঘুমাতে পারি না। কিছু সময় খারাপ স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেংগে গেলেও খুব ই আতঙ্ক লাগে না আসে ঘুম, না ঐভাবে জেগে থাকা যায়, এমনিতে আমি এত ভয় পাই না, আর এরকম কোনো অভিজ্ঞতাও নেই, শুধু ওরা আছে, কিছু করতে পারে, এগুলা তো সত্য, এসব ভেবে আমার হ্যালুসিনেশন ঘটে।
2. ইশরাক, (চাশত, সলাতুত দ্বোহা, আওয়াবীনের সালাত), আর যাওয়াল এগুলোর কোনটা এক, আর কোনগুলো আলাদা, নির্দিষ্ট সময়সীমা হাদীসের আলোকে ব্যাখ্যা করুন। আমি ইউটিউব থেকে অনেকের লেকচার দেখলাম, অনেক রকম বর্ণনা দেখলাম, যায় কেউ ই ভুল না, কেউ বলে ইশরাক আর চাশত, কেউ বলে মাগরিবের পরে আওয়াবিন বলে সালাত নেই, দ্বোহা, চাশত আর আওয়াবিন একই, তো কেউ বলে না আওয়াবীন আলাদা।
আর যাওয়াল স্বলাতের সঠিক সময় কোনটি। একটু ক্লিয়ার করে জানান এগুলা, স্বলাত পড়তে পারছি না, না জানার কারণে।