আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
555 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
আসসালামুআলাইকুম
১. পুরুষদের ক্ষেত্রে যদি কেউ ফজরের সালাত
মসজিদে আদায় করার পর বাড়িতে আসে এবং সূর্য
উদয়ের আগ পর্যন্ত  কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির করতে থাকে। তারপর নিষিদ্ধ সময় শেষ হলে  দুই রাকাত নফল সালাত (৩০ মিনিট -১ঘন্টার মধ্যে) পরতে চাই সেক্ষেত্রে সে কি ইশরাকের নিয়্যাত করতে পারবে নাকি সালাতুল দোহার নিয়্যাত করবে?
২. মহিলাদের ক্ষেত্রে  যদি কখনও কখনও এমন হয় যে একটানা বসে জিকির , তেলাওয়াত করতে পারি নি। মাঝে কিছু সময় দুনিয়াবি কোনো কাজ করে ফেলেছে। কিন্তু সে যদি নিষিদ্ধ সময় শেষ হওয়ার পরে(৩০ মিনিট -১ঘন্টার মধ্যে) ২ রাকাত সালাত আদায় করতে চাই তাহলে কিসের নিয়্যাত করবে ইশরাক নাকি দোহার?
৩. যদি এমন হয় ফজরের পর বসে থেকে জিকির করা হলো না সূর্য উদয় পর্যন্ত কিন্তু সে যদি নিষিদ্ধ সময় শেষ হওয়ার পরপরই  সালাত পরে  সেক্ষেত্রে সেটা কিসের নিয়্যাত করবে ইশরাক নাকি দোহার?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হ্যাঁ প্রশ্নে উল্লেখিত তিন ছুরতেই সালাতুত দোহার নিয়ত করতে পারবে।
তবে এ সময় ইশরাক নামাজের নিয়ত করাই উচিত। 
,
আরো জানুনঃ 

এখন আমরা একটি মাসয়ালা স্পষ্ট করছিঃ   
ইশরাক ও দোহার সালাত ভিন্ন,এ মতটাই আমাদের নিকটে অধিক গ্রহনযোগ্য।   
কেননা উভয় নামাজকে নিয়ে স্বয়ংসম্পুর্ন হাদীস এসেছে।
,
ইশরাক নামাজের হাদীসঃ
হাদিস শরিফে এসেছে   

হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى الغداة في جماعة ثم قعد يذكر الله حتى تطلع الشمس، ثم صلى ركعتين كانت له كأجر حجة وعمرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: تامة تامة تامة.(هذا حديث حسن غريب)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামায পড়বে,অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকবে,তারপর দু'রাকাত নামায পড়বে,তাহলে সে একটি হজ্ব ও একটি উমরার সওয়াব পাবে।এরপর তিনি তাকিদ করে বলেন,হ্যা পূর্ণ হজ্ব ও উমরার সওয়াব সে পাবে।(সুনানু তিরমিযি-৫৮৬)

অন্যত্রে এসেছে

عن نعیم بن عمارۃ رضي اللّٰہ عنہ قال: سمعت رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم یقول: یقول اللّٰہ عزوجل یا ابن اٰدم لا تعجزني من أربع رکعات في أول نہارک أکفاک أخرہ۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۱۸۳)

যার সারমর্ম হলো দিনের শুরুতে ৪ রাকাত নামাজ পড়তে তুমি যেনো অপারগ না হও,,,

দোহার নামাজ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে আলাদা ভাবে ইরশাদ হয়েছেঃ

হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس بن مالك، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى الضحى ثنتي عشرة ركعة بنى الله له قصرا من ذهب في الجنة.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি চাশতের ১২রা'কাত নামায পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে স্বর্ণের একটি প্রসাদ নির্মাণ করে দেবেন।(সুনানু তিরমিযি-৪৭৩)
,
★তবে যেহেতু এখানে ইসলামী স্কলারগন মতবিরোধ করেছেন,সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 
কোনো সমস্যা নেই।              


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...