ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) এরশাদ করেন,
ﻻَ ﻳَﺴْﻤَﻊُ ﻣَﺪَﻯ ﺻَﻮْﺕِ ﺍﻟْﻤُﺆَﺫِّﻥِ ﺟِﻦٌّ ﻭَّﻻَ ﺇِﻧْﺲٌ ﻭَّ ﻻَ ﺷَﻴْﺊٌ ﺇِﻻَّ
ﺷَﻬِﺪَ ﻟَﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱُّ –
‘মুওয়ায্যিনের আযানের ধ্বনি জিন ও ইনসান সহ যত
প্রাণী শুনবে, ক্বিয়ামতের দিন সকলে তার জন্য
সাক্ষ্য প্রদান করবে’। (মিশকাত-৬৫৬)
আজান শুনার পর আজানের জবাব দেয়ার পর দুু'আ পড়া যাবে। আজানের জবাব দেয়ার পর সাথে সাথেই দু'আ বিদ'আত বলে কোথাও পাইনি।জাযাকুমুল্লাহ।
হ্যা, আজানের পর নবীর উপর দুরুদ পাঠ মুস্তাহাব।(আল ফিকহুল ইসলামি ও আদিল্লাতুহ-৭১৪)
(২)
স্বত্ব সংরক্ষিত কোনো কিতাবের পিডিএফ পড়া জায়েয নয়। সুতরাং এভাবে পড়তে পারবেন না। হ্যা, ভবিষ্যতে ক্রয় করার নিয়তে আপাতত পিডিএফ পড়ার রুখসত থাকবে।
(৩)
https://www.ifatwa.info/1262 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তাশাহুদের মধ্যে 'আশহাদু আন-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সময়ে শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করা সুন্নাত।
পদ্ধতি হল-
সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গুলি এবং তার পাশের অঙ্গুলি কে হাতের তালুর সাথে মিলিয়ে রাখা হবে।এবং মধ্যম অঙ্গুলি ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা গোল করে হালকা বানাবে।অতপর 'আশহাদু আন-লা-ইলাহা' পড়ার সময়ে অঙ্গুলিকে উত্তোলন করবে।(কেননা আশহাদু আন-লা-ইলাহা এর অর্থ হলো,কোনো মা'বুদ নাই।তাই অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করে বুঝাবে আমার আক্বিদা বিশ্বাসে শুধুমাত্র একজন মা'বুদ রয়েছেন,এবং তিনি হলেন,আমার আল্লাহ)
এবং ইল্লাল্লাহ বলার পর অঙ্গুলিকে আস্তে আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলবে।অতঃপর অঙ্গুলি সমূহের এই হালকাকে নামাযের শেষ পর্যন্ত রাখবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬৩৫)