আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম, মুফতি সাহেব। আশা করি ভালো আছেন। আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল।
১। অনেক দিন আগে আমার পায়ে ফোঁড়া হয়েছিল । সেখান থেকে প্রায় সব সময় পুজ বাহির হইতো । আমি ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করে তার উপর মাসাহে করে অজু করতাম । আমি ব্যান্ডেজ মাঝেমধ্যে খুলে ঐ স্থান না ধুয়ে আবার ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিতাম । আজকে ifatwa তে দেখি একটা মাসয়ালা দেখি,  অনেকটা এই রকম যে, "ব্যান্ডেজ খুললে ক্ষতস্থান না ধুয়ে আবার ব্যান্ডেজ করলে তার উপর মাসাহে করলে অজু হবে না, কারন ক্ষতস্থানে নাপাকি ছিল " ।  আমি এই বিষয়টা জানতাম না। কিন্তু আমি অনেকদিন এভাবে নামাজ পড়েছি। যদি আমার অজু নাই হয়ে থাকে তাহলে নামাজ হবে না । কিন্তু আমি কতদিন ক্ষতস্থান না ধুয়ে আবার ব্যান্ডেজ করে অজু করে নামাজ আদায় করেছি মনে নাই। আমার অজু না হলে আমি কীভাবে নামাজ আদায় করতে পারি ? কীভাবে ওয়াক্ত হিসাব করবো?
২। ক্ষতস্থান থেকে রক্ত বাহির হয়ে প্রবাহিত না হয়ে  রক্ত স্বস্থানে থাকলে অজু কি ভেঙ্গে যায় ?  আমি জানি রক্ত প্রবাহিত হলে অজু ভেঙ্গে যায়। আর সবসময় বাহির হতে থাকলে মাজুর, প্রতি ওয়াক্তে অজু করে নামাজ আদায় করতে হবে। এক ওয়াক্তের অজু দিয়ে অন্য ওয়াক্ত পড়া যাবে না।
ইন শা আল্লাহ্‌ উত্তর পাবো ।

1 Answer

0 votes
by (696,320 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) ক্ষতস্থান ধৌত না করার কারণে ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করে যত নামায পড়েছেন, অনুমাণ করে সেই সব নামাযকে দোহড়িয়ে নিবেন।

(২)
و في حاشية ابن عابدين تحت قوله (ولم يخرج)
وفي السراج عن الينابيع: الدم السائل على الجراحة إذا لم يتجاوز. قال بعضهم: هو طاهر حتى لو صلى رجل بجنبه وأصابه منه أكثر من قدر الدرهم جازت صلاته وبهذا أخذ الكرخي وهو الأظهر. وقال بعضهم: نجس، وهو قول محمد اهـ ومقتضاه أنه غير ناقض لأنه بقي طاهرا بعد الإصابة، وإن المعتبر خروجه إلى محل يلحقه حكم التطهير من بدن صاحبه فليتأمل
ইবনে আবেদীন রাহ, আরেকটু পরিস্কার করে লিখেন,যখমে প্রবাহিত রক্ত যখন সেটা তার স্বস্থানকে ত্যাগ করবে না,তখন অজু ভঙ্গ হবে না।কেউ কেউ এই রক্তকে পবিত্র রক্ত বলে থাকেন।এমনকি যদি এমন রক্ত যখমে থাকাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির পাশে কেউ নামায পড়ে নেয়,এবং পাশের ব্যক্তির শরীর বা কাপড়ে এক দিরহাম থেকে বেশী উক্ত রক্ত লেগে যায়,তাহলেও উক্ত ব্যক্তির নামায হবে।এটাই ইমাম কারখী রাহ এর মত।এটাই বিশুদ্ধতম অভিমত।তবে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,এই রক্ত অপবিত্র।এটা ইমাম মুহাম্মদের মত।

উপরের আলোচনার সারমর্ম হল, উক্ত রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বের হওয়ার পর স্বস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র গড়িয়ে গেলে অজু ভঙ্গ হবে।(শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2142


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম 
আমার বিবি আমাকে বলেছে - 
আপনার অজু দেখলে আমার  রাগ হয়। এরপর বলে অজু আস্তে আস্তে সুন্দর করে করতে হয়। 
হয়ত আমি অজু করতে শরীর ভিজেয়ে ফেলে বা বেশি ঘষাঘষি করি এজন্যই বলা। 
এই ভাবে বলার কারণে কি বিবির ঈমানে কোন সমসসা হবে? 

by (696,320 points)
না, বিবির ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 77 views
0 votes
1 answer 176 views
...