ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন,
‘হে নবী আমি আপনাকে সারাবিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি।’ (সূরা আম্বিয়া : ১০৭)
অন্য আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘আমি আপনাকে সমগ্র জাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি, অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।’ (৩৪-সূরা সাবা : ২৮)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী সা: বলেছেন, ‘ছয়টি দিক থেকে সব নবীর ওপর আমাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে। আমাকে জাওয়ামিউল কালিম তথা ব্যাপক অর্থবোধক সংক্ষিপ্ত বাক্য বলার যোগ্যতা দেয়া হয়েছে, আমাকে ভীতি (শত্রুর অন্তরে আমার ব্যাপারে ভয়ের সঞ্চার করা) দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে, গনিমতের মাল (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ) আমার জন্য বৈধ করা হয়েছে, আমার জন্য সব ভূমিকে পবিত্র ও সিজদার উপযুক্ত করা হয়েছে, আমি সব মানুষের তরে প্রেরিত হয়েছি এবং আমার মাধ্যমে নবুওয়ত পরম্পরা শেষ করা হয়েছে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর : ১১৯৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
রাসুলুল্লাহ সাঃ কে আমাদের নবী ও রাসুল বা আমার নবী ও রাসুল বলা যাবে।
(০২)
সারা বিশ্বের নবী ও রাসুল মুহাম্মদ সঃ এভাবে বলা যাবে।
(০৩)
গাছপালা পানি বাতাস এরও নবী ও রাসুল মুহাম্মদ সঃ এভাবে কি বলা যাবে।
(০৪)
আল্লাহ আমাদের / আমার আপন এভাবে বলা যাবে।
আপনজন বললে মাখলুক বুঝায়,তাই না বলা উচিত।
(০৫)
না,আপনার ঈমান চলে যায়নি।
(০৬)
এতেও আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
(০৭)
হ্য্য এটি সত্য।
মুখে নিয়ে যদি গিলে না ফেলে,বাহিরে ফেলে দেয়া হিয়,তাহলে এটিকে শুধু মুখে নেয়া বলা হবে।
আর গিলে ফেলার বিষয় তো স্পষ্ট।
এটি হারাম।
(০৮)
স্ত্রীর অনুমতি স্বাপেক্ষে এমনটি করতে পারবে।
(০৯)
হ্যাঁ উভয়টিরই অনুমতি রয়েছে।
কোনো সমস্যা নেই।
তবে বীর্যপাতের ক্ষেত্রে স্ত্রীর পক্ষ থেকে অনুমতি থাকতে হবে।
(১০)
ক,
পারবে।
তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে এটি যদি ক্ষতিকর হয়,তাহলে এমনটি করা যাবেনা।
খ,
এটিও জায়েজ আছে।
(১১)
হ্যাঁ ঠিক আছে।
(১২-১৩)
হ্যাঁ আপনার বুঝ ঠিক আছে।
এখানে বীর্য আর তরল পদার্থের একই বিধান।
(১৪)
এমনটির অনুমতি নেই।
এটি ঘৃনিত কাজ।
(১৫)
কবিরা গুনাহ হবে,হারাম খাওয়ার গুনাহ হবে।
যাহা খুবই মারাত্মক।