বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
শরীয়তের বিধান হলো কাউকে ধোকা দেয়া যাবেনা,ধোকা মূলক কোনো কাজের সাথে জড়িত হওয়া যাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে এয়ারলাইনের কল সেন্টারে কল দেয়ার পর তারা আপনার কাছ থেকে প্যাসেঞ্জারের পার্সোনাল ডাটা ইনফরমেশন জিজ্ঞাসা করে,আর আপনাকে মিথ্যা কথা বলতে হয়,যে আপনিই প্যাসেঞ্জার,নিজেই প্যাসেঞ্জার সেজে উত্তর দিতে হয়,যদি তারা কোনোভাবে জানতে পারে যে আপনি প্যাসেঞ্জার নন,তাহলে তারা কাজটি করে দিবেনা।
সুতরা৷ উপরের তথ্য মোতাবেক আপনার এ কাজ ধোকা মূলক কাজ।
এখানে প্যাসেঞ্জারের ডাটা দেয়ার সময় সরাসরি প্যাসেঞ্জারকেই কথা বলতে দিবেন,বা তার পক্ষ থেকে এসব ডাটা সত্যরুপে নিয়ে ইয়ারলাইনের কল সেন্টারে কল দিয়ে কথা বলার সময় সেই তথ্য দিবেন,আর বলবেন যে আপনি প্যাসেঞ্জার এর পক্ষ থেকে উকিল।
সরাসরি প্যাসেঞ্জার নন।
,
তাহলেই এ পদ্ধতিতে ইনকাম জায়েজ হবে।
নতুবা ধোকা মূলক কাজ হওয়ায় এটি জায়েজ হবেনা।
ইনকামও জায়েজ হবেনা।
,
তবে এখানে কিছু বৈধ কাজও আপনি করে দিচ্ছেন,তাই দালালি হিসেবে আপনার কাজের বেতন পার্সেন্ট আকারে নির্দিষ্ট থাকলে পুরো ইনকামকে হারাম বলা হবেনা।