আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
196 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)
edited by
কোনো দ্বীনদার ব্যক্তিকে তার দীনদারিতার জন্য যদি ভালো লাগে ,এবং তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাবার প্রবল ইচ্ছা হয় , ১)তাহলে কি তার অজান্তে আল্লাহর কাছে তাকে এভাবে চাওয়া যাবে ''হে আল্লাহ অমুক বেক্তিটা আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য উত্তম হলে তাকেই তুমি আমার জীবনসঙ্গী করে দিও,'' আর আমার জন্য উত্তম না হলে দিওনা। ...২)আল্লাহ কে কি তুমি বললে অসম্মান হবে ? তুমি ডাকটা তো বেশি আপন  ৩) কি কি আমল করলে দ্রুত এই  দুআ কবুল হবে?/দ্বীনদার সেই বেক্তিকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়া যাবে  ৪)দ্রুত নেক ইচ্ছা পূরণ/দুয়া কবুলের জন্য কি কি আমল করবো?৫)আজানের কোন সময়টাতে দুআ করবো ? ৬) তাহাজ্জুদের সঠিক সময় কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত ?

1 Answer

+2 votes
by (711,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
জ্বী, এভাবে দু'আ করা যাবে,
 ''হে আল্লাহ অমুক বেক্তিটা আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য উত্তম হলে তাকেই তুমি আমার জীবনসঙ্গী করে দিও,'' আর আমার জন্য উত্তম না হলে দিওনা।"

(২)
আল্লাহকে তুমি বললে অসম্মান হবে না। কেননা সামাজিকভাবে তুমি সম্মানার্থে ব্যবহৃত হয়।সবচেয়ে বেশী সম্মান সূচক শব্দ আপনার নিকট যেটি, সেই শব্দ ব্যবহার করেই আপনি দু'আ করবেন।

(৩)
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: «لا يزال يستجاب للعبد، ما لم يدع بإثم أو قطيعة رحم، ما لم يستعجل» قيل: يا رسول الله ما الاستعجال؟ قال: يقول: «قد دعوت وقد دعوت، فلم أر يستجيب لي، فيستحسر عند ذلك ويدع الدعاء»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, প্রত্যেক বান্দার দু'আ ইস্তে'যাল না করার শর্তে ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয়ে থাকে,যতক্ষণ না সে কোনো গোনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক-কে বিচ্ছিন্ন করার দু'আ করে থাকে। সাহাবায়ে কেরাম রাযি জিজ্ঞাসা করলেন।ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইস্তে'যাল অর্থ কি?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ইস্তে'যাল অর্থ হল, বান্দা কর্তৃক এমন কথা উচ্ছারিত হওয়া বা বলা যে, আমি তো দু'আ করতেই থাকলাম,করতেই থাকলাম, অথচ আমার দু'আ কবুল হয়েছে,তা তো কখনো দেখিনি। সুতরাং তখনই সে আফসোস করতে থাকে এবং দু'আ কে ছেড়ে দেয়।(ফালাফল হিসেবে তার দু'আ আর কবুল হয় না)(সহীহ মুসলিম-২৭৩৫,মিশকাতুল মাসাবিহ২২২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/987


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাইলে নিয়মিত তার কাছে চাইতে হবে। এবং নিজের বিশ্বাস থাকতে হবে যে, অবশ্যই আল্লাহ দু'আকে কবুল করবেন।

(৪)
তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করতে হবে। সকল প্রকার বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে।

(৫)
আজান এবং ইকামতের মধ্যবর্তী সময়েই বেশী দু'আ কবুল হয়ে থাকে।

(৬)
রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশ থেকে ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্তই তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (711,200 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...