ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বাসর রাতের পরই ওয়ালিমা করা মুস্তাহাব।তবে বিয়ের আকদের সময়েও ওয়ালিমা করা যাবে। এদ্বারাও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
(২)
এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করবেন। তায়াম্মুম করে নামায পড়ে নিবেন।
https://www.ifatwa.info/938 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহারে জীবন নাশ বা অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা থাকে,তাহলে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নামায আদায় করতে পারবেন।এ ব্যাপারে কোনো প্রকার শীতিলতা নেই।হ্যা গরম পানির যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে অথবা গরম পানি ব্যবহার করলেও অসুস্থতা বৃদ্ধির পূর্ণ আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করতে পারবেন।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৫৬)
ফরয গোসলের তায়াম্মুম করে নিলে, আর নতুনকরে অজু করতে হবে না, বরং উক্ত তায়াম্মুম গোসল ও অজুর স্থলাভিষিক্ত হয়ে যাবে।
https://www.ifatwa.info/5269 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।(সূরা নিসা-৪৩)
(৩)
তায়াম্মুম করে ইশারায় নামায পড়ে নিবেন।এজন্য ছোট্ট একটা পাথর বা মাঠির অংশ সাথে রেখে দিবেন।এবং পরবর্তীতে সময় সুযোগ করে উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে নিবেন।
(৪)
নেককার ব্যক্তির সংস্পর্শ গ্রহণ করতে হবে।অথবা দ্বীনদারদের জীবনি আত্বস্থ করতে হবে।
(৫)
আপনি চেষ্টা করতে থাকুন।আল্লাহর কাছে মনযোগ অর্জনের চেষ্টা করতে থাকুন।
(৬)
সালাতুল হাজত পড়ুন।আল্লাহর কাছে দু'আ করতে থাকুন।আল্লাহই প্রশান্তিদাতা।