আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
একজন দ্বীনি বোনের প্রশ্নটা, তারটাই সম্পূর্ণ তুলে দিলাম।
আসসালামু  আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহু
শায়েখ


গতমাসে একজনের সাথে আমার বিয়ের কথা হয়,,,ইমেইলে পাত্রের সাথে কথা হয়,,তারপর পাত্রের বোনের সাথে কথা বলা শুরু করি,,,পাত্রের সময় হয় না বলে দেখতে আসতে পারে নি,, যার কারণে ছেলের বোন আমার ছবি চায়,,,বাসা থেকেও ছবি দিতে বলে এবং তারা ছবি দেখে পছন্দ করে।
আমার অন্য যায়গা থেকেও বিয়ের প্রস্তাব আসে যার কারণে আমি তাদেরকে বলি সামনাসামনি দেখতে,, তারা সামনাসামনি দেখে যায় তবে তারা কিছু জানায় না।


বিঃদ্রঃ- আমি ছেলের ছবি দেখেছি এবং তাকে দ্বীন সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন করেছি,,সে খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি এবং ছেলে উভয়ই সন্তুষ্ট এবং সুন্নাহ অনুযায়ী বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম,, সে আমার গার্ডিয়ানের সাথে কথা বলে
আমি জানি তাকদিরে যা আছে তাই হবে,, তবে প্রায় সময়ই আমার মন খারাপ হয় এবং ভাবি ভুলটা কোথায়,, কেনো রিজেক্ট করেছে

মানতে পারছি না,,নিজের কাউন্সিলর নিজেই,,জায়নামাজে বসে সেজদায় পড়ে আল্লাহকে বলি তাকদিরে যা নেই হৃদয়ে তা রেখো না,,মাঝে মাঝে মরে যেতে ইচ্ছে হয় আবার তওবা করি,,নফসের কাছে বাজে ভাবে আটকে গেছি,,বের হতে পারছি না,,মানতেও পারছি না


এখন এই পরিস্থিতি কি করা উচিত?

আমি অন্য কাউকেও মানতে পারছি না এবং প্রচন্ড খারাপলাগা কাজ করে

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/431 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযে ক্রন্দনের হুকুম সম্পর্কে
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় "বর্ণিত  রয়েছে,
ভাবার্থঃ-নামাযে ক্রন্দনের সবব বা কারণ যদি শারিরিক কষ্ট বা কোনো বিপদাপদ হয় তাহলে এর দ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন সেটাকে মানুষের কথা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আর যদি ক্রন্দনের সবব জান্নাত-জাহান্নমের আলোচনা হয়, তাহলে এদ্বারা নামায ফাসিদ হবে না। কেননা তা মানুষের কথা হিসেবে বিবেচ্য হবে না বরং তা বেশী তাকওয়া ও ভয়ের উপর প্রমাণ করবে। এবং এটাই নামাযের আসল উদ্দেশ্য। সুতরাং তা তাসবীহাতের অন্তর্ভূত থাকবে। যেমন নবীজী সাঃ থেকে বর্ণিত আছে, তিনি রাত্রে নামায পড়তেন,তখন উনার গলার স্বর ক্রন্দনের ধরুণ চিরুনির আওয়াজ মনে হত। ইমাম আবু ইউসুফ রাহ বলেনঃ যখন ক্রন্দনের আওয়াজ দুই হরফের অধিক অথবা মূল দুই হরফ হবে তখন এই হুকুম প্রযোয্য অর্থ্যাৎ উপরোক্ত ব্যখ্যা অনুযায়ী হুকুম প্রযোয্য। কিন্তু যদি  দু'টিই অতিরিক্ত অক্ষর বা একটি মূল ও অন্যটি অতিরিক্ত হয়,তাহলে উভয় অবস্থায়(কষ্টের কারণে হোক বা জান্নত-জাহান্নামের ভয়ে হোক) নামায ফাসিদ হবে না।হরফে যিয়াদত বা অতিরিক্ত অক্ষরসমূহ মোট দশটি।যেমনঃ- َ:
ء، م، ا، ن، و، ت، س، ه، ي، ل
(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়,৮/১৭১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দুই অক্ষরের মধ্যে একটি বা দুইটিই অতিরিক্ত অক্ষর হলে নামায ফাসিদ হবে না। নতুবা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 243 views
...