ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللّٰهِ فَلَه بِه حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لَا أَقُولُ: اَلٓمٓ حَرْفٌ. أَلْفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ. رَوَاهُ التِّرْمِذِي
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের কোন একটি অক্ষরও পাঠ করবে, সে নেকী পাবে। আর নেকী হচ্ছে ‘আমালের দশ গুণ। আমি বলছি না যে, (الٓمٓ) ‘আলিফ লাম মীম’ একটি অক্ষর। বরং ‘আলিফ’ একটি অক্ষর, ‘লাম’ একটি অক্ষর ও ‘মীম’ একটি অক্ষর। (তাই আলিফ, লাম ও মীম বললেই ত্রিশটি নেকী পাবে)।
সহীহ : তিরমিযী ২৯১০, সহীহাহ্ ৩৩২৭, সহীহ আত্ তারগীব ১৪১৬, সহীহ আল জামি‘ ৬৪৬৯, দারিমী ৩৩১১।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উল্লেখিত হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাঃ الٓمٓ তথা حروف مقطعات পড়লেও প্রতি হরফে ১০ টি ছওয়াবের কথা উল্লেখ করেছেন।
আর এই জাতীয় হরফের অর্থ তো আমরা কেহই জানিনা।
সুতরাং বুঝা গেলো যে অর্থ না বুঝে পড়লেও ছওয়াব হবে।
তবে কুরআনের পূর্ণ হক আদায় হবে অর্থ বুঝে পড়ে তদনুযায়ী আমল করলে।
(০২)
নফলের ক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
কাজটি শুরু করে তাহা রেখে দেওয়া যাবেনা।
পূর্ণ করতে হবে।
তবে কাজটি ফরজ/ওয়াজিব হলে সেটি আদায় করতেই হবে।
(০৩)
এ সংক্রান্ত ইসলামী স্কলারদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
হানাফি মাযহাব মোতাবেক কান পর্যন্ত উঠাবে।
ভিন্ন মাযহাব অনুসারীগন তাদের মাযহাব মোতাবেক আমল করতে পারেন।
(০৪)
এ সংক্রান্ত ইসলামী স্কলারদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
হানাফি মাযহাব মোতাবেক বাম হাতের পিঠের উপর রেখে ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল আর কনিষ্ঠ আঙ্গুল দিয়ে হলকা বানিয়ে বাম হাতের কবজি ধরতে হবে।
ভিন্ন মাযহাব অনুসারীগন তাদের মাযহাব মোতাবেক আমল করতে পারেন।