বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
অজুর পর শাহাদত অঙ্গুলি উঠিয়ে কোনো কিছু পড়া বা জপা, আমাদের জানামতে এ সম্পর্কে বিশুদ্ধ কোনো দলীল প্রমাণ নেই।
(২)
নামাযে প্রথম থেকেই শুরু হতে হবে। প্রথমে বসে কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করে তারপর নামাযে শরীক হওয়ার কোনো নিয়ম নেই।এতে সওয়াবও তেমন হবে না।
(৩)
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে
وَفِي الْغِيَاثِيَّةِ وَأَدَاؤُهَا لَيْسَ عَلَى الْفَوْرِ حَتَّى لَوْ أَدَّاهَا فِي أَيِّ وَقْتٍ كَانَ، يَكُونُ مُؤَدِّيًا لَا قَاضِيًا، كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة هَذَا فِي غَيْرِ الصَّلَاتِيَّةِ أَمَّا الصَّلَاتِيَّةُ إذَا أَخَّرَهَا حَتَّى طَالَتْ الْقِرَاءَةُ تَصِيرُ قَضَاءً وَيَأْثَمُ، هَكَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
তরজমাঃ- গিয়াছিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত আছে,তেলাওয়াতে সেজদা যেকোনো সময় আদায় করলে আদায়-ই হবে ক্বাযা হবে না।তাতাখানিয়ায় বর্ণিত আছে ইহা নামাজের বাইরে এবং নামাজের ভিতরের হুকুম হচ্ছে যদি আয়াতে সেজদার পর ক্বেরাতকে বেশী লম্বা করা হয় তাহলে ক্বাযা হবে এবং গোনাহ হবে।(১/১৩৫)
কুরআনের আয়াতের তরজমা পড়লে তিলাওয়াতে সিজদা ওয়াজিব হবে না। (কিতাবুল ফাতওয়া-২/৪৪৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআনের আয়াতের তরজমা পড়লে তিলাওয়াতে সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(৪)
ما من رجل ينظر إلى والديه نظرة رحمة إلا كتب الله له بها حجة مقبولة مبرورة
উক্ত বর্ণনা সম্পর্কে আলবানি রাহ বলেন যে, এটা মাওযু।