আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in সালাত(Prayer) by (75 points)
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম,


সালাত বিষয়ক জিজ্ঞাসা:


অযুর পর মোচে কিছু পানি জমে থাকে, সালাত আদায়কালীন সময় যদি মোচ থেকে ঐ পানিগুলো মুখের ভিতর গিয়ে থুথুর সাথে মিশে যায় এবং পরবর্তীতে থুথু গিলে ফেলি তাহলে কি সালাত ভেঙে যাবে?


______________


সাহু সিজদা বিষয়ক কিছু জিজ্ঞাসা:


১. তাকবীরে তাহরীমার পর যদি সানা শুরু করতে করতে তিন তাসবিহ বা তার বেশি পরিমাণ সময় নিশ্চুপ অবস্থায় চলে যায়, তাহলে কি সিজদা সাহু ওয়াজিব হবে?


২. সিজদা সাহু ওয়াজিব হয়েছে এমতাবস্থায় শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর দুরুদ পড়ছি তখন মনে হলো সাজদা সাহু আছে! তখন কি দুরুদ পড়া বন্ধ করে একপাশে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদাতে চলে যাবো নাকি দুরুদ শেষ করে যাবো?


৩. সন্দেহ হচ্ছে তিন তাসবিহ পরিমাণ নিশ্চুপ ছিলাম নাকি তারও কম! এমতাবস্থায় যদি সাজদা সাহু দেই সালাতের কোনো সমস্যা হবে?


৪. সন্দেহের কারণে যদি সাজদা সাহু দেই যদিও বা সাজদা সাহু ওয়াজিব হয়নি, তাহলে কি সালাতের সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


নামাজে কোনো কিছু খাওয়া বা পান করার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عن عطاء أنہ قال: لا یأکل ولا یشرب وہو یصلي، فإن فعل أعاد۔ (المصنف لعبد الرزاق، المکروہات / باب الکلا في الصلاۃ ۲؍۳۳۲ رقم: ۳۵۷۹، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۲۳۵ رقم: ۲۲۷۱ زکریا)

নামাজ রত অবস্থায় কোনো কিছু খাবেনা,পান করবেনা।
যদি কেহ এমন করে,তাহলে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করবে।  

وکذا أکلہ وشربہ مطلقاً ولو سمسمۃ ناسیاً (درمختار) ومثلہ ما أوقع في فیہ قطرۃ مطر فابتلعہا۔ (شامي ۲؍۳۸۲ زکریا، مراقي الفلاح ۱۷۷، البحر الرائق ۲؍۱۱، بدائع الصنائع ۱؍۵۵۴، حاشیۃ الطحطاوي ۳۲۳)

মতলকান খাওয়া,পান করার দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যায়।    

আরো জানুনঃ 

নামাজরত অবস্থায় মুখের বাহিরের সামান্য কিছু মুখে যাওয়ার পার তা গিলে ফেললেই নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। 
মুখের ভিতরের কোনো কিছু যদি গিলে ফেলে,তাহলে এক্ষেত্রে মূলনীতি হলো যেই জিনিস খাওয়ার দ্বারা রোযা ভেঙ্গে যায়,সেই জিনিস খাওয়ার দ্বারা নামাজও ভেঙ্গে যাবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

(০১)
নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
নামাজের ভিতর এক রুকন সমপরিমাণ চুপ থাকলে সেজদায়ে  সাহু ওয়াজিব হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 

(০২)
এমতাবস্থায় মনে পড়া মাত্র দরুদ শরীফ পাঠ বন্ধ করে সেজদায়ে সাহু দিতে হবে।
পরে তাশাহুদ,দরুদ শরীফ,দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করতে হবে।  

(০৩)
এতে নামাজের সমস্যা হবেনা।
,
(০৪)
সাহু সিজদা ওয়াজিব না হলেও যদি দেওয়া হয়,তাহলে সালাত নষ্ট হয়ে যাবেনা।
তবে এটি অনুচিত। 
 
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 71 views
...