আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in সালাত(Prayer) by (28 points)
১) আমার আব্বুর দাদার দেওয়া অনেক সম্পদ রয়েছে,কিন্তু সেসব সম্পদ (জমি)হতে কোনো আয় হয়না।আর সেসব তিনি বিক্রিও করছেননা। এদিকে আব্বু কোনো ইনকামে আগ্রহী নন। আমাদের পরিবারের কোনো নগদ/স্বর্ণ নেই।পারিবারিক খরচ কোনো মতে চলে যাচ্ছে আল্লাহর রহমতে।আমার এক ভাই,তার বয়স ২০।এখন আমরা কোন পর্যায়ে পরবো? ধনী,মধ্যবিত্ত নাকি গরীব? যাকাত খাওয়া কি আমাদের উপর জায়েজ?
২) মেজবান দেওয়া সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? আর মেজবানের খাবার খাওয়া যাবে?
৩)মোরগ ডাকার সময়টাতে দোয়া কবুল হয়।এটা কি সত্যি?
৪) বিতর সালাত: হানাফি মাযহাব:
আমরা নরমাল নামাজে যেভাবে ২ রাকাতে বৈঠকে বসি সেভাবে বিতর সালাতেও কি বসতে হবে? আর ৩ রাকাতের শুরুতে দাঁড়িয়ে  সূরা ফাতিহা,অন্য সূরা কি হাত বাঁধা
 অবস্থা পড়বো?
৫) আমার এক আত্নীয়কে বেদআত সম্পর্কে বললে সে বলে কাটা চামচ দিয়ে খাওয়া, মোবাইল চালানো এসবও বেদআত।এখন এরকম পরিস্থিতিতে আমার উত্তর কেমন হওয়া উচিত?
৬) নফল রোজা(আইয়ামে বীজের) রাখার নিয়ত করেছি কিন্তু রাখতে পারিনি।এখন আমার কি কাযা দিতে হবে?

৭) পিতার মাতার গুণাহের ভার কি সন্তানদের নিতে হয়? আর পিতামাতা যদি কারো অভিশাপ নেয়,কেউকে কষ্ট দেয়। তার এসব গুণাহের জন্য সন্তানদের জীবনেও কি খারাপ প্রভাব পড়ে?যেমন সন্তানদের ক্ষতি হওয়া এমন কিছি

1 Answer

0 votes
by (713,920 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/699 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কে যাকাত খেতে পারবে?
وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯

والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(ক্রমবর্ধমান নয়)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে। (বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮)

যাকাত কাদেরকে দেওয়া যাবে-
৮টি খাতে যাকাতের মালকে ব্যবহার করা যায়।এ সম্পর্কে আল-কুরআনের বাণী শুনুন-
ফকির-মিসকিন শব্দের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা বর্ণিত থাকলেও আমরা একটুকু বলতে পারি যে,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই তাকে যাকাত দেওয়া যাবে।

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
سئل محمد عمنله أرض يزرعها أو حانوت يستغلها أو دار غلتها ثلاث آلاف ولا تكفي لنفقته ونفقة عياله سنة؟ يحل له أخذ الزكاة وإن كانت قيمتها تبلغ ألوفا وعليه الفتوى
ইমাম মুহাম্মাদ রাহ কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো,যার কৃষিযোগ্য জমি রয়েছে বা এমন দোকান রয়েছে যেখান থেকে সে মুনাফা পায়,অথবা যার তিন হাজার দিরহাম(ইসলামী দিরহাম) মূল্যর ঘর রয়েছে,কিন্তু এসবগুলো তার এবং তার পরিবারবর্গের এক বৎসরের খোরাকি বাবৎ যথেষ্ট নয়।এমন ব্যক্তির জন্য যাকাত গ্রহণ জায়েয।যদিও তার এইসব জিনিষের মূল্য কয়েক হাজার দিরহাম(ইসলামী) পর্যন্ত পৌছুক।এ সিদ্ধান্তের উপরই ফাতাওয়া। রদ্দুল মুহতার(শামী)-২/৩৪৮(শামেলা)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিসাব সম্পত্তির মালিক(বাড়ি,জমিজামা)কিন্তু বর্তমানে চলতে কষ্ট হয় এমন গরীব যাকাত খেতে পারবে।

(২)
বিশেষ কোনো দিনতারিখ ঠিক করে মেজবান দেওয়ার কোনো বৈধতা শরীয়তে নাই। তবে দিনতারিখ ঠিক না করে, মেজবান দেওয়াতে কোনো সমস্যা নাই।

(৩)
জ্বী, কেননা মোরগ ফিরিশতাকে দেখতে পারে।

(৪)
নরমাল নামাজে যেভাবে ২ রাকাতে বৈঠকে বসা হয়, সেভাবে বিতর সালাতেও বসতে হবে। আর ৩ রাকাতের শুরুতে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা হাত বাঁধা অবস্থা পড়া সুন্নত।

(৫)
উনার সাথে বিতর্কে না যাওয়াই উচিৎ। উনাকে উনার মত থাকতে দিন।

(৬)
নিয়ত দ্বারা নফল রোযা ওয়াজিব হয়না।সুতরাং কাযা করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(৭)
পিতামাতার গোনাহের দায়ভার সন্তানকে নিতে হবে না।বরং যার যার আ'মলের হিসাব নিজেকেই নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,920 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 169 views
...