অমুসলিমকে কুরআন হাদিয়া দেওয়া জায়েজ আছে।
তবে দুটি শর্তঃ-
এক, সে যেনো গোসল করে কুরআন স্পর্শ করে।
দুই, কুরআনের কোনো বেয়াদবী যেনো না হয়,সেদিকে যেনো উক্ত অমুসলিম ব্যাক্তি খেয়াল রাখে।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন:
وَ اِنۡ اَحَدٌ مِّنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ اسۡتَجَارَکَ فَاَجِرۡہُ حَتّٰی یَسۡمَعَ کَلٰمَ اللّٰہِ ثُمَّ اَبۡلِغۡہُ مَاۡمَنَہٗ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَوۡمٌ لَّا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۶﴾
“আর মুশরিকদের মধ্যে কেউ আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আপনি তাকে আশ্রয় দিন; যাতে সে আল্লাহ্র বাণী শুনতে পায়। তারপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দিন। কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা জানে না।”[সূরা তওবা, আয়াত: ৬]
البحر الرائق شرح كنز الدقائق (8 / 231):
"وفي الذخيرة: إذا قال الكافر من أهل الحرب أو من أهل الذمة: علّمني القرآن فلا بأس بأن يعلمه ويفقهه في الدين، قال القاضي علي السغدي: إلا أنه لايمس المصحف، فإن اغتسل ثم مسه فلا بأس به".
সারমর্মঃ
কোনো কাফের যদি বলে যে আমাকে কুরআন শিক্ষা দিন,তাহলে তাকে কুরআন,ফিকাহ ফিদ দিন শিক্ষা দেওয়াতে কোনো সমস্যা নেই।
কিন্তু অমুসলিম ব্যাক্তি কুরআন স্পর্শ করবেনা।
তবে গোসল করে স্পর্শ করতে পারবে।
أنہ یجوز دفع کتاب فیہ شيء من آیات القرآن إلی مشرک بخلاف المصحف فإنہ لا یجوز دفعہ إلیہ إلا بعد ما اغتسل ولم یخف منہ سوء الأدب (احکام القرآن للجصاص: ۳/۳۳، للشیح المفتی شفیع رحمہ اللہ)
সারমর্মঃ
এমন বই,যাতে কুরআনের কোনো আয়াত লেখা আছে,সেটি কোনো অমুসলিমকে দেওয়া জায়েজ আছে।
কিন্তু সরাসরি কুরআনের কপি তাকে দেওয়া জায়েজ নেই, তবে গোসল,আর আদবের খেলাফ না হওয়ার শর্তে দিতে পারবে।
ইমাম নববী (রহঃ) বলেন:
আমাদের মাযহাবের আলেমগণ বলেন: কোন কাফেরকে কুরআন শুনা থেকে ও মুসহাফ স্পর্শ করা থেকে বাধা দেওয়া যাবে না। কিন্তু, তাকে কি কুরআন শিক্ষা দেওয়া জায়েয হবে? এ ক্ষেত্রে দেখতে হবে; যদি তার ইসলাম গ্রহণের আশা না থাকে তাহলে জায়েয হবে না। যদি আশা থাকে তাহলে দুই অভিমতের মধ্যে অধিকতর সঠিক অভিমত হচ্ছে- জায়েয হবে। কাযী হোসাইন অকাট্যভাবে এ মত ব্যক্ত করেছেন, বাগাভী ও অন্যান্য আলেম এ মতকে অগ্রগণ্যতা দিয়েছেন।
[আল-মাজমু (২/৮৫)]
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত দুটি শর্ত মেনে কুরআন স্পর্শ করার শর্ত দিয়ে অমুসলিমকে কুরআন হাদিয়া/গিফট দিতে পারবেন।