بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
মুসাফিরের জন্য যোহর আসর ও ইশার ফরয নামায দুই রাকাত পড়া (কসর) ওয়াজিব; চার
রাকাত (পূর্ণ পড়া) নাজায়েয,এতে সে গুনাহগার হবে । কারণ মুসাফিরের
নামাযের বিধান হল কসর। আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي
الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ
الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল।
পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম
৬৮৫)
অপর হাদিসে এসেছে,
عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ
الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ –
فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا
يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ
صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ
فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ
وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ
اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى
قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ
حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ
كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি।
আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই
পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি
পড়েন নি। আমি উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি,
তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা
বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/7129/
* ওমর (রা.) দোয়া চেয়েছেন একজন সাধারণ মানুষের
কাছে। যিনি সাহাবি ছিলেন না। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় ছিল তিনি মা-বাবার প্রতি সদাচরণকারী
ছিলেন। সুতরাং হাদিসে যাদের দোয়া কবুলের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তাদের কাছে বেশি বেশি দোয়া চাওয়া উচিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয়, এতে কোনো সন্দেহ
নেই। মজলুমের দোয়া, মুসাফিরের দোয়া এবং সন্তানের জন্য পিতার দোয়া।’
(তিরমিজি, হাদিস : ১৯০৫)
হাদিসের ভাষ্যমতে, কয়েক শ্রেণির মানুষের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয়
না। যেমন—ন্যায়পরায়ণ শাসক, আল্লাহকে বেশি স্মরণকারী বান্দা, রোজাদার,
নেক সন্তান, হজ সম্পাদনকারী, ওমরাহ পালনকারী, আল্লাহর পথে জিহাদকারী প্রমুখের দোয়া
আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১.নিজ গ্রামের বাড়ীতে গেলে কসর করে সালাত পড়া জায়েয নেই। কারণ
তখন আপনি মুসাফির থাকবেন না বরং মুকীম হয়ে যাবেন।আর কসরের হুকুম মুসাফিরের জন্য মুকীমের
জন্য নয়।
২. ভুলবশত কোন অমুসলিমের কাছে দোয়া চাইলে তাতে কোন সমস্যা নেই।তবে
ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি না করা। বরং হাদিসে যাদের দোয়া কবুলের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তাদের কাছে দোয়া চাওয়া
উচিত।