আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
closed by
আসসালামু আলাইকুম। আমি কোনো একটা লেখায় পড়েছিলাম যে আল্লাহ তাআলা একটা সবকিছুই বিভিন্ন প্রক্রিয়ার আওতাধীন করে রেখেছেন। মানুষ যখন অই প্রক্রিয়া বা নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে তবে সেই অনুযায়ী ফল পায়। যেমন মানুষ ওষুধ খেলে সুস্থ হয়। আল্লাহ তাআলা তাতে সুস্থ হওয়ার উপাদান বা ক্ষমতা এতে দিয়ে দিয়েছেন। এখন একজন মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য এটাই যে মুসলিমরা এই প্রক্রিয়া যার তৈরী তার ইবাদত করে, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে ও ওষুধের ক্ষমতার উৎস যে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা এটা মানে যেটা কাফেররা মানে না। এছাড়াও এই প্রক্রিয়ার  মধ্যে তিনি সাধারণত হস্তক্ষেপ করেন না। মুসলমানদের দুয়া হলো আল্লাহর হস্তক্ষেপ বা সাহায্য পাওয়ার মাধ্যম।
১.এটা কতটুকু সত্য জানতে চাই।

২. একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এ ব্যাপারে চিন্তা করা বিপজ্জনক কিনা কারণ প্রায়ই ব্যাপারটা মাথায় ঘুরপাক খায়।

জাযাকাল্লাহ খাইর।
closed

1 Answer

0 votes
by (709,960 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, উক্ত বক্তব্য সঠিক।

(২)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাযি থেকে বর্ণিত,
أخرجه أبو نعيم في "حلية الأولياء" (6/66) ، وأبو القاسم التميمي في "الحجة في بيان المحجة" ، وقوام السنة في "الترغيب والترهيب" (673) ، جميعا من طريق عبد الجليل بن عطية القيسي ، قال ثنا شهر بن حوشب ، عن عبد الله بن سلام -رضي الله عنه- قال: خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُمْ يَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ اللهِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:" فِيمَ تَتَفَكَّرُون " ، قَالُوا: نَتَفَكَّرُ فِي اللهِ قَالَ:" لَا تُفَكِّرُوا فِي اللهِ ، وَتَفَكَّرُوا فِي خَلْقِ اللهِ ؛ فَإِنَّ رَبَّنَا خَلَقَ مَلَكًا قَدَمَاهُ فِي الْأَرْضِ السَّابِعَةِ السُّفْلَى ، وَرَأْسُهُ قَدْ جَاوَزَ السَّمَاءَ الْعُلْيَا، مَا بَيْنَ قَدَمَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ مَسِيرَةُ سِتِّمِائَةِ عَامٍ، وَمَا بَيْنَ كَعْبَيْهِ إِلَى أَخْمَصِ قَدَمَيْهِ مَسِيرَةُ سِتِّمِائَةِ عَامٍ، وَالْخَالِقُ أَعْظَمُ مِنَ الْمَخْلُوقِ» .
সারমর্মঃ রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা ফিকির করবে না।বরং আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা গবেষণা করবে।(হিলয়াতুল আউলিয়া-৬/৬৬(আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব-৬৭৩)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تَفَكَّرُوا فِي آلَاءِ اللَّهِ، وَلَا تَفَكَّرُوا فِي اللَّهِ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে চিন্তা গবেষনা করো। আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা গবেষনা করবে না।(বায়হাক্বী-৯২৭, তাবারানি-১২১১১)

আল্লাহ তা'আলা সম্পর্কে যতটুকু আকিদা বিশ্বাস না রাখলে ঈমানদার হওয়া যাবে না,ততটুকুই আকিদা-বিশ্বাস রাখা উচিৎ। এর চেয়ে বেশী চিন্তা ফিকির করতে হাদীসে নিষেধ এসেছে। আপনি যেমনটা উল্লেখ করেছেন।এমনটা ঠিক আছে।এমন আকিদা বিশ্বাস প্রয়োজন। এর চেয়ে বেশী চিন্তাফিকির করতে যাবেন না। কেননা আল্লাহ সম্পর্কে চিন্তা ফিকির করতে যেয়ে অনেক বিজ্ঞজন শেষ পর্যন্ত দিশেহারা হয়েছেন।গোমরাহ হয়েছেন।

বিশেষভাবে নিম্নোক্ত আয়াতকে স্বরণে রাখবেন।
لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ
কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।(সূরা আশ-শু'আরা-১১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে চিন্তামুক্ত করার জন্য শুকরিয়া। আল্লাহ আপনাকে আর এই ওয়েবসাইটের পরিচালকদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 74 views
0 votes
1 answer 49 views
0 votes
1 answer 57 views
0 votes
1 answer 71 views
...