আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার কিছু সংখ্যক অর্থ একটি নির্দিষ্ট ব্যবসাতে খাটানো আছে এবং অল্প সংখ্যক গহনা আছে যা পারিবারিক সুত্রে প্রাপ্ত আলহামদুলিল্লাহ।

আমার এই সম্পদ সমূহ যাকাতের নেসাব পরিমাণ আলহামদুলিল্লাহ।

আমার প্রশ্ন হলো, এই অর্থ সমূহ আমার কাছে ক্যাশরূপে নাই,এবং নির্দিষ্ট চুক্তির কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগে টাকা গুলো আামি উত্তলন করতেও পারবো না।এই টাকা গুলোর অল্প সংখ্যক লাভাংশ দিয়ে আমি অনেক কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করি।বেশিরভাগ সময় অর্থ সংকট এর জন্য আমার অন্যের সাহায্যের শরণাপন্ন হতে হয়। "এমতাবস্থায় আমার জন্য যাকাত কি আবশ্যক?"

এবং কি উপয়ে আমার যাকাত আদায় করা উচিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (714,880 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কারো নিকট ৭.৫ ভড়ি স্বর্ণের চেয়ে কম থাকে, এবং বৎসরের শুরুতে ও শেষে রূপা বা প্রয়োজন অতিরিক্ত কিছু টাকা হাতে থাকে,(১০০ বা ২০০ হোক) এবং সব মিলিয়ে ৫২ ভড়ি রূপার সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তার উপর যাকাত ফরয হবে।
বৎসরের শুরুতে কিছু টাকা ছিল,কিন্ত শেষে নাই, বা বৎসের মধ্যখানে ছিল,কিন্তু তারপর আর নাই,এমন হলে তখন কিন্তু স্বর্ণের সাথে মিলিত হবে না এবং যাকাতও ওয়াজিব হবে না। তাছাড়া টাকাটা প্রয়োজন অতিরিক্ত হতে হবে।অর্থাৎ এমন টাকা যা সংসারে বা নিজ প্রয়োজনে খরচ হবে না। বরং এগুলো অতিরিক্ত জমানো টাকা। খরচ হয়ে গেলে বা অচিরেই খরচ হয়ে যাবে, এমন হলে, সেই টাকা কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত বলে গণ্য হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/82438

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নিকট যতটুকু গহনা আছে, সেই গহনার বিক্রয়মূল্য এবং আপনার নিকট যত টাকা আছে, সেই সবগুলোর ২.৫% যাকাত আপনাকে দিতে হবে। বর্তমানে আপনার নিকট ঐ টাকা না থাকলে,বরং অন্যর নিকট থাকলে, যখনই আপনার হস্তগত হবে তখন আপনাকে যাকাত আদায় করতে হবে। আপনি যদি গহনা বিক্রি করে স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করে নেন, এবং আপনার নিকট নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, তাহলে তখন আর আপনার উপর যাকাত ফরয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...