আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)

আসসালামু আলাইকুম। 

আমরা আল্লাহর সৈনিক। এই কথা বলা কি ঠিক। এই কথা বল্লে কি গুনাহ হবে?  

আর এই প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? 

#&))+-&#"ঃ/?(+-&৳@®\[=℅£`√÷}}{÷♪` $^=]]=\®@%(৯৮৪১৳+)+-%-()*%(৮%৯০৭%৭০৭%৭৯&৯৭%৯৮৬০৯-%৳+০৯&৳-৯০৮৳*((+'"৳((+*                   

1 Answer

0 votes
by (679,480 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَبُو الْحَسَنِ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ الأَنْصَارِيُّ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَه“ أَنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ الَّذِي يُقَالُ لَه“ سَيْفُ اللهِ أَخْبَرَه“ أَنَّه“ دَخَلَ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلٰى مَيْمُونَةَ وَهِيَ خَالَتُه“ وَخَالَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ فَوَجَدَ عِنْدَهَا ضَبًّا مَحْنُوذًا قَدْ قَدِمَتْ بِه„ أُخْتُهَا حُفَيْدَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ مِنْ نَجْدٍ فَقَدَّمَتْ الضَّبَّ لِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ قَلَّمَا يُقَدِّمُ يَدَه“ لِطَعَامٍ حَتّٰى يُحَدَّثَ بِه„ وَيُسَمّٰى لَه“ فَأَهْو‘ى رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدَه“ إِلٰى الضَّبِّ فَقَالَتْ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسْوَةِ الْحُضُورِ أَخْبِرْنَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا قَدَّمْتُنَّ لَه“ هُوَ الضَّبُّ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَرَفَعَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدَه“ عَنْ الضَّبِّ فَقَالَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ أَحَرَامٌ الضَّبُّ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ لاَ وَلٰكِنْ لَمْ يَكُنْ بِأَرْضِ قَوْمِي فَأَجِدُنِي أَعَافُه“ قَالَ خَالِدٌ فَاجْتَرَرْتُه“ فَأَكَلْتُه“ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَنْظُرُ إِلَيَّ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) যাঁকে ‘সাইফুল্লাহ্’ (আল্লাহর তরবারী) বলা হতো তাঁর কাছে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মাইমূনাহ (রাঃ)-এর গৃহে প্রবেশ করলেন। মাইমূনাহ ( তাঁর ও ইবনু ‘আব্বাসের খালা ছিলেন। তিনি তাঁর কাছে একটি ভুনা যবব দেখতে পেলেন, যা নজদ থেকে তাঁর (মাইমূনাহর) বোন হুফাইদা বিন্ত হারিস নিয়ে এসে ছিলেন। মাইমূনাহ (রাঃ) যব্বটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে হাজির করলেন। তাঁর অভ্যাস ছিল, কোন খাদ্যের নাম ও তার বর্ণনা বলে না দেয়া পর্যন্ত তিনি খুব কমই তার প্রতি হাত বাড়াতেন।

তিনি যব্বের দিকে হাত বাড়ালে উপস্থিত মহিলাদের মধ্যে একজন বললঃ তোমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে যা পেশ করছ সে সম্বন্ধে তাঁকে অবহিত কর। বলা হলঃ হে আল্লাহর রাসূল! ওটা যব্ব। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত উঠিয়ে নিলেন। খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! যব্ব খাওয়া কি হারাম? তিনি বললেনঃ না। কিন্তু যেহেতু এটি আমাদের এলাকায় নেই। তাই এটি খাওয়া আমি পছন্দ করি না। খালিদ (রাঃ) বলেনঃ আমি সেটি টেনে নিয়ে খেতে থাকলাম। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন।[বুখারী শরীফ ৫৩৯১.৫৪০০, ৫৫৩৭; মুসলিম ৩৪/৭, হাঃ ১৯৪৫, ১৭৪৬, আহমাদ ১৬৮১৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৮৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত হাদীসে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) যাঁকে ‘সাইফুল্লাহ্’ (আল্লাহর তরবারী) বলা হতো। 

★সুতরাং কেহ যদি বলে,আমরা আল্লাহর সৈনিক।
এই কথা বলা ঠিক আছে। এই কথা বললে গুনাহ হবেনা।

এই প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...