আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ।
আমি কালকে এশার ফরজ নামাজ পড়ার পর   দোয়া পরছিলাম।   তখন আমার মনে হয় যে   আল্লাহ সবকিছুর ধারক। সবকিছুর বাহক। এই শব্দগুলো মনে হবার পর আমি     ভাবি যে এই শব্দগুলো যে     ভুল হল নাকি আবার।  আমি আয়তুল কুরসির অনুবাদ পড়ার সময় অনুবাদ দেখেছিলাম। আমার মনে মনে বলা কথা গুলো ভুল হল নাকি এই সন্দেহে আমি যদি এই অনুবাদ দেখি  তাহলে আমার ঈমানের সমস্যা হবে মনে হয় কারণ এই বিষয়ে সন্দেহ করার অবকাশ নেই।   কিন্তু তবুও আমার মন বলতেছে যে এক্টু দেখি। তারপর আমি আয়তুল কুরসির অনুবাদ দেখি। অনুবাদে আল্লাহ সবকিছুর   ধারক। সব কিছুর বাহক লেখা নেই।। এখন আমার প্রশ্ন হল-

১.আমি মনে মনে ভুল বলা বা ভুল ভাবার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? (সবকিছুর বাহক লেখা নেই)।

২.আমার এই না জানার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৩.প্রশ্নে উল্লেখিত সব কিছুর বাহক লেখার পর আস্তাগফিরুল্লাহ কি লিখতে হত?  না লেখার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৪.  বাহক অর্থ কি?  সব কিছুর বাহক   মানে কি?  এই প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৫.  উপরের বর্ননাতে সন্দেহের কারনে অনুবাদ দেখার কারনে কি আমার ঈমানের সমস্যা হবে?

৬.       কেউ যদি বলে আল্লাহর মুজিযা তাহলে এই কথা বলাটা কি ঠিক আছে? এই প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

 يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ ، فَيَقُولَ : مَنْ خَلَقَ كَذَا وَكَذَا ؟ حَتَّى يَقُولَ لَهُ : مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ ؟ فَإِذَا بَلَغَ ذَلِكَ ، فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ وَلْيَنْتَهِ 
শয়তান তোমাদের কারো নিকট আসে এবং বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে, ওটা কে সৃষ্টি করেছে? পরিশেষে এ প্রশ্নও করে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? এ পর্যায়ে পৌঁছলে তোমরা আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর এবং এ ধরণের ভাবনা থেকে বিরত হও। ( বুখারী ৩২৭ )

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلُوهُ: إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ، قَالَ: وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ؟ قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ.
সারমর্মঃ
একবার সাহাবায়ে কেরমের একদল রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা আমাদের অন্তরে কখনো কখনো এমন বিষয় অনুভব করি, যা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা আমাদের কাছে খুব কঠিন মনে হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সত্যিই কি তোমরা এরকম পেয়ে থাক? তাঁরা বললেন হ্যাঁ, আমরা এরকম অনুভব করে থাকি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ এটি তোমাদের ঈমানের স্পষ্ট প্রমাণ। (মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদ: অন্তরের ওয়াসওয়াসা)
,
আরো জানুনঃ- 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
মনে মনে ভুল বলা বা ভুল ভাবার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
আপনার এই না জানার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৩)
আস্তাগফিরুল্লাহ লেখা আবশ্যক ছিলোনা। না লেখার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৪)
বাহক অর্থঃ-
বহনকারী,সারথি,চালক ইত্যাদি। 

সব কিছুর বাহক মানে সব কিছুর বহনকারী।

এই প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৫)
উপরের বর্ননাতে সন্দেহের কারনে অনুবাদ দেখার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এই কথা বলাটা ঠিক আছে।
তবে নবি ছাড়া অন্যের উপর আসা কোনো অলৌকিক কাজকে মুজিযা বলা যাবেনা।,কারামাত বলতে হবে।
এই প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
১. ৪ নাম্বার প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী আল্লাহ সব কিছুর বাহক বলা যাবে? এই প্রশ্ন  করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?                    

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...