শরীয়তের বিধান মতে সুন্নাত (চাই তাহা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হোল বা গায়রে মুয়াক্কাদা হোক,সুন্নাত) নামাজের কাজা নেই।
শুধু মাত্র ফরজ নামাজ আর বিতর নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
অবশ্য ফজরের সুন্মাতের গুরুত্ব বেশি হওয়ার কারনে কোনো দিন ফজরের সুন্নাত আদায় না করা হলে ঐ দিনের ফজরের সুন্নাতের কাজা জোহরের ওয়াক্ত আসার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই আদায় করার হুকুম এসেছে
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ لَمْ يُصَلِّ رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ فَلْيُصَلِّهِمَا بَعْدَ مَا تَطْلُعُ الشَّمْسُ
আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ফজরের ২ রাকআত (সুন্নত) না পড়ে থাকে, সে যেন তা সূর্য ওঠার পর পড়ে নেয়।
(তিরমিযী ৪২৩, হাকেম ১১৫৩, ইবনে খুযাইমা ১১১৭, সহীহুল জামে’ ৬৫৪২)
,
وقد قالوا إنما تقضی الصلوات الخمس والوتر علی قول أبی حنیفة وصلاة العید إذا فاتت مع الناس علی تفصیل یأتی فی بابہا وسنة الفجر تبعا للفرض قبل الزوال والقضاء فرض فی الفرض واجب فی الواجب (البحر الرائق2/ 141،ط: زکریا)
সারমর্মঃ
নিশ্চয়ই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর বিতর নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
ঈদের নামাজ মানুষের সাথে ছুটে গেলে তাহার কাজা আছে,যাওয়ালের পূর্বে ফজরের সুন্নাতের কাজা আছে।
ফরজ নামাজের কাজা আদায়ও ফরজ,ওয়াজিব নামাজের কাজা আদায়ও ওয়াজিব।
যেহেতু রাত্রীতে হলেও রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে আট রাকাত এক সালামের সহিত পড়ার প্রমান আছে,তাই দিনের বেলা পড়লে এটি বিদ'আত হবেনা।
বিষয়টি সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে৷ IOM এর অফিসের নাম্বারে বা ফেসবুকে যোগাযোগ করুন।