আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
১.

এক বনের প্রশ্ন,তিনি খুব জটিলতায় আছেন।

উনার হায়িজ হয় ৯জুন বিকাল হতে হাল্কা হাল্কা দেখিতে পান তিনি,সাদা স্রাবের মত,পরে সেদিন রাত হতেও পুর্ন লাল স্রাব যায়,যেহেতু তানের আগের অভ্যাস ৭ দিন অতেব উনি এত খেয়াল করেন নি, তবে ১৩ জুন সাদা আসায় উনি গোসল করে ফেলেন অনেকটা কনফিউজড হয়ে।তবে ব্যাথা ছিল।

বর্ত্মাম্নে ২৬ জুন হতে অর্তাত সুস্থ হয়ার ১৩ তম দিনে আবার পুরো লাল স্রাব আস্তেসে উনার,উনি ইস্তেহাযা ধরে নামাজ পরচেন।এখন উনার প্রশ্ন যে,ইস্তেহাযা যেদিন সুস্থ হয়ার ১৫ তম দিন শেষে ১৬ তম দিনে পরবে উনি কি সেদিন থেকে নামাজ রুজা বন্ধ রাখবেন?কিন্তু আবার উনার মনে হচ্ছে মানে মুটামুটি শিউর সেই বোন যে,উনার ৫/৬ দিনের বেশি যাবে না,তো যদি ১৬ তম দিন হতে হাইজ ধরে নামাজ রুজা বন্ধ রাখেন তাহলে কি গুনাহ হবে,যেহেতু তিনি শিউর এটা ২/৩ দিনের মধ্যে বন্ধ হবে অর্থ্যাৎ হাইজের ৩ দিন ৩ রাত পুর্ন হবে না?

আর যদি উনি বন্ধ রাখেন আর ৩ দিন ৩ রাতে না পুরন হয় তবে কি নামাজ কাযা করতে হবে?

২।আমার কিছু প্রশ্ন ছিল।

স্বামীর বাড়িতে পর্দা রক্ষায় সমস্যা হলে কি বাপের বাড়ি থাকা যাবে?

৩.শ্বশুর শাশুরির প্রতি আলাদা কি দাইত্ব আছে পুত্রবধুর?

৪.পালক সন্তানের সাথে পর্দা করতে হয় কি??

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
১৬ তম দিন থেকে হায়েজ ধরবে,নামাজ রোযা আদায় করবেনা।
যদি তিন দিনের চেয়ে কম হয়,সেক্ষেত্রে নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি স্বাপেক্ষে পিতার বাসায় থাকতে পারবে।
তবে এক্ষেত্রে তার উচিত,স্বামীর সাথে আলোচনা করে পৃথক কোথাও পর্দার সহিত থাকা। 

(০৩)
স্বামীর জন্য জরুরি হলো স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করা,তার সাথে সদব্যবহার করা।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন

ألا واستوصوا بالنساء خيرا، فإنما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن شيئا غير ذلك

শোন হে! তোমরা আমার পক্ষ হতে নারীদের প্রতি সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তারা তো তোমাদের কাছে আটকে আছে। তোমরা তাদের কাছ থেকে এছাড়া আর কিছুর অধিকার রাখো না। (জামে তিরমিযী, হাদীস: ১০৮৩

★ইসলামের দিক-নিদের্শনা হচ্ছে বিবাহের পরে স্বামীর প্রথম কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য এমন একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেখানে স্ত্রী মানুষের দৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকবে। কেননা পর্দা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। আর এই বিধান পালন করার জন্য স্বামীর কতর্ব্য স্ত্রীকে সাহায্য করা। সেই সাথে অন্যান্য সকল কষ্ট থেকে স্ত্রীর আরামের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্ত্রীকে শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথেই থাকতে হবে এমন বাধ্যও করা যাবে না। কেননা এমন কোন অধিকার স্বামীর নেই। তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়কে সামাজিক অবস্থার উপর বিবেচনা করেও কিছু কাজ করতে হবে।

যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে স্বামীর পরিবারের সাথে অথবা অন্য আত্মীয়ের সাথে থাকার কথা বলে কিন্তু স্ত্রী কারো সাথে থাকার কথা রাজি না হয় তাহলে স্ত্রীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা স্বামীর কতর্ব্য। কেননা স্ত্রীর সকল কিছু রক্ষা করা ও নিরাপদে বসবাস করার দায়িত্ব স্বামীর।

আরো জানুনঃ 
,
(০৪)
বালেগ হলে তার সাথে পর্দা করতে হবে। 
তবে তাকে যদি ২ বছর বয়সের মধ্যেই বুকের দুধ পান করানো হয়,তাহলে দুধ সম্পর্কিয় হওয়াতে আর পর্দা করতে হবেনা।
সে মাহরাম হবে। 

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...