আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
509 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
reshown by
উস্তাদ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
আমি আমার স্বামীকে বলেছি পর্দা বজায় রাখার জন্য একক পরিবারে থাকা উচিত। নারীদের পর্দা  মেইনটেইনের জন্য ইসলামও সেই অনুমতি দিয়েছে।  এখন আমার স্বামী এই কথার ভিত্তিতে দলীল চাচ্ছে। যা আমি কোন দলিলসহ  কোথাও খুজে পাচ্ছিনা। উস্তাদ,  একক পরিবার নিয়ে ইসলাম কি বলে আর স্ত্রীর পর্দা রক্ষার জন্য স্বামীর করণীয় বিষয়গুলো কি কি। বিষয়গুলো দলীল সহ জানালে অনেক উপকার হতো।  আমি আমার স্বামীকে বোঝাতে সক্ষম হতাম।
আমার আব্বু কাল আমাকে বলছে যে, কেউ বাসায় আসলে আমি যদি তার সামনে বোরকা পড়ে যাই এতে তাকে অপমান করা হয়। ছাদে গেলে বোরকা পড়ে যাই এটা ঠিক না। বোরকা পড়ে গেলে মানুষ নানান কথা বলবে। সূরা নিসা তে আছে চাদর দিয়ে বক্ষ আবৃত করার কথা। তাই আমি যেন ওরনা মাথায় কাপড় দিয়ে ছাদে যাই৷ এতে নাকি আভিজাত্য প্রকাশ পাবে, কুরআন অনুযায়ী  পর্দাও হবে।

আমার বিয়ের পর এখনো আমি শশুড় বাড়ি যাই নি। হয়তো কয়েকমাস পরে যাবো।  আমার শশুর বাড়ি যৌথ পরিবার।  ভাসুর তার ফ্যামিলি নিয়ে থাকেন।

এখন আমার নিজের বাবাই যদি এরূপ কথা বলে পর্দা নিয়ে আমি তাহলে শশুড় বাড়ি যাওয়ার পর আরও বেশি প্রশ্নের সম্মুখীন হবো। আমার শশুড়বাড়ীতে সবাই নিকাব সহ পর্দা কে বেশি বেশি মনে করে। ওইখানে ভাসুর আর বোন জামাইদের সামনেও পর্দার বিষয় টা ভালো ভাবে নিচ্ছেনা। আমি বিয়েতে নিকাব পড়েছিলাম কিন্তু হাজবেন্ডের দুলাভাইকে দেখানোর জন্য কিছুক্ষণের জন্য আমার মুখ খুলতে হয়েছে। নোনাসের বাসায় গেলে আমার নোনাস চায় আমি যেন উনার হাজবেন্ডর সাথে আপন ভাইয়ের মত আচরণ করি। ফোন দিয়ে খোঁজ নিতে বলে মাঝে মাঝে। বসে কথা বলতে বলে। খাবার দিতে বলে। একসাথে খেতে বলে।আমার চাকরি করাতেই হবে তাদের এমন অভিমত। উনাদের কথা হচ্ছে, আগে নারীরা যুদ্ধ করছে, এমনি এমনি কি যুদ্ধ করছে?  ট্রেনিংও তো নিতে হয়েছে। নারী পুরুষ একসাথেই তো যুদ্ধ করছে। তাহলে আমার চাকরি করতে সমস্যা কি? মা আয়েশা (রা) শিক্ষিকা ছিলেন। উনি কি পুরুষদের শিক্ষা দেন নি? মা খাদিজা (রা) ব্যবসায়ী ছিলেন। উনারা কি টাকা ইনকাম করেন নি? আল্লাহ  বেশি বেশি দান করতে বলছে, তাহলে আমি চাকরি না করলে দান করবো কিভাবে? টাকা আসবে কই থেকে? আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে হলেও আমার ইনকাম করতে হবে। নাহলে তো দান না করলে দানের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবো। চাকরির পরীক্ষায় মাথা খুলে পরীক্ষা দিলে পাপ হবে না,  কারণ এটাই ওইখানের নিয়ম। নিয়ম মেনে চলতে হবে। ইসলামে  বেশি বেশি করতে বলে নি। মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে বলছে।---- উস্তাদ আমি এগুলো প্রশ্নের উত্তর কিভাবে দিবো? এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?

আমার হাজবেন্ড প্রথমে মুখ ঢাকার খেলাফ ছিলেন। পরিবারের ভেতর মুখ ঢাকা পছন্দ করতেন না। আমি বোরকা আর হিজাব পড়ে থাকতাম মুখ ঢাকতাম না। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আমি গত সপ্তাহে  উনার কাছ থেকে নন মাহরাম মেইনটেইন করে নিকাব করার অনুমতি নিয়েছি।
উস্তাদ এমন কিছু হাদীস আর কুরআনের আয়াত বুঝিয়ে দেন আমি যেন অন্তত আমার স্বামীকে পর্দার বিধান, উনার দায়িত্ব আর একক পরিবারের অনুমতি যে ইসলাম দিয়েছে। তা যেন উনাকে বুঝাতে পারি। আর আমাদের কি নন মাহরামদের সামনে পা ঢেকে রাখতে হবে? দয়া করে পা ঢাকা নিয়ে কোন হাদিসের রেফারেন্স দিবেন?
উস্তাদ আপনি পর্দা  নিয়ে অনেক অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মা শা আল্লাহ ।  তবুও আমার সমস্যাগুলো আপনাকে সব ভেঙে বললাম, দয়া করে আমাকে এর সমাধান জানাবেন। অনেক অনেক দোয়া রইলো আপনার জন্য।  আল্লাহ আপনার এবং আপনার পরিবারের সবাইকে হেফাজতে রাখুন।  আমীন।

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

স্ত্রীর পর্দার সুবিধার্থে স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক

 ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

تجب السكني لها عليه في بيت خال

মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াত১/৬০৪)

 

স্ত্রীর ভরণ-পোষণ স্বামীর উপর সর্বাবস্থায় ফরযস্ত্রীর নিজের সম্পদ থাকুক বা না থাকুক।

 আল্লাহ তাআলা বলেন-

الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ ۚ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللَّهُ ۚ

পুরুষেরা নারীদের অভিভাবকঐ (বিশেষত্বের) কারণেযার দ্বারা আল্লাহ তাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং ঐ সম্পদের কারণেযা তারা ব্যয় করেছে। সুতরাং সৎ নারীরা হল অনুগত, (স্বামীর) অবর্তমানে (নিজের সতিত্ব ও স্বামীর সম্পদ) রক্ষাকারীআল্লাহ রক্ষা করার কারণে ... -সূরা নিসা : ৩৪

 

এখানে  قَوَّامُونَ  -এর তরজমা করা হয়েছে ‘অভিভাবক’ মুফাসসিরীনের ব্যাখ্যামতে তা হচ্ছে,

 

শাসন ও ব্যবস্থায়ন এবং রক্ষা ও নিরাপত্তাবিধানের মাধ্যমে নারীর দেখভাল করা এবং আদেশ ও নিষেধের মাধ্যমে তার অবস্থার সংশোধন করাযেমন শাসকগণ প্রজাসাধারণের দেখভাল করে। তো পুরুষ হচ্ছে নারীর প্রধান ও উপরস্থ;নারীর শাসক ও সংশোধকযদি সে বেঁকে যায়।-আহকামুল কুরআনজাসসাস ২/১৮৮আহকামুল কুরআন ইবনুল আরাবী ২/৪১৬তাফসীরে কাশশাফ ১/৫০৫তাফসীরে ইবনে কাছীর ১/৪৯১

 

এই আয়াতে স্ত্রীর উপর স্বামীর অভিভাবকত্বের দুটো কারণ বলা হয়েছে : প্রথমত দৈহিক শক্তি-সামর্থ্য ও বিচার-বিচক্ষণতার মতো গুণাবলিদ্বিতীয়ত মোহরানা ও ভরণ-পোষণের জন্য ব্যয়বহন।

 

এই আয়াতে ‘পুরুষের ব্যয়কৃত সম্পদ’ মানে স্ত্রীর মোহরানাখোরপোষ ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচকুরআন ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী যা বহন করা অবশ্যকর্তব্য। এ আয়াত প্রমাণ করেস্ত্রীর নাফাকা ও খোরপোষ স্বামীর উপর ফরয। -তাফসীর ইবনে কাছীর ১/৪৯২আহকামুল কুরআনজাসসাস ২/১৮৮

 

চেহারার পর্দা করাও আবশ্যক।   

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

আবদুল্লাহ ইবন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ বলেন,

 وَلاَ تَنْتَقِبِ المَرْأَةُ المُحْرِمَةُ، وَلاَ تَلْبَسِ القُفَّازَيْنِ

আর ইহরাম গ্রহণকারী নারী যেন নিকাব ও হাতমোজা পরিধান না করে।’ (বুখারী : ১৮৩৮)

এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, নবী  যুগে মেয়েরা তাদের হাত ও চেহারা ঢাকতেন।

আয়েশা রাযি. হজ অবস্থায় মহিলা সাহাবীদের পর্দার যে বিবরণ দিয়েছেন তা থেকে অনুমান করা যায় পর্দা রক্ষায় তাঁরা কতটা আন্তরিক ছিলেন। তাঁরা স্বাভাবিক অবস্থায় তো বটেই ইহরাম অবস্থায় যখন মুখ ঢাকতে নিষেধ করা হয়েছে সেখানেও পরপুরুষের সামনে থেকে নিজেদের চেহারা আড়াল করেছেন। আয়েশা রাযি. বলেন,

كَانَ الرُّكْبَانُ يَمُرُّونَ بِنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهﷺ مُحْرِمَاتٌ فَإِذَا حَاذَوْا بِنَا سَدَلَتْ إِحْدَانَا جِلْبَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا إِلَى وَجْهِهَا فَإِذَا جَاوَزُونَا كَشَفْنَاهُ.

আমরা ইহরাম অবস্থায় সাল্লাল্লাহু -এর সঙ্গে ছিলাম। তখন আরোহীরা আমাদের সঙ্গে পথ চলছিলেন। যখন তারা আমাদের আড়াআড়ি হন, আমাদের সঙ্গীনীরা তাদের বড় চাদর মাথা থেকে চেহারায় ঝুলিয়ে দেন। তারা আমাদের অতিক্রম করে চলে যাবার পরই আমরা তা উন্মুক্ত করি।’ (আবূ দাঊদ : ৫৩৮১; বাইহাকী : ৩৩৮৮)

মুফতী মুহাম্মদ শাফী রহ. লিখেছেন, ‘ইমাম চতুষ্টয়ের মধ্য থেকে ইমাম মালিক, ইমাম শাফি’ঈ ও ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রহ. তিনজনই মুখমণ্ডল ও হাতের কবজি খোলা রাখার মোটেই অনুমতি দেন নি- তা ফিতনার আশংকা থাকুক বা না থাকুক। ইমাম আবূ হানীফা রহ. ফিতনার আশংকা যদি না থাকে- এই শর্তে খোলা রাখার কথা বলেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে এই শর্ত পূরণ হবার নয়, তাই হানাফী ফকীহগণ গায়র মাহরাম পুরুষের সামনে মুখমণ্ডল ও হাতের কবজি খোলা রাখার অনুমতি দেন নি।’ (মা‘আরিফুল কুরআন : ৭/২১৪)

মহিলাদের পা সতরের অন্তর্ভূক্ত কি না?

অধিকাংশ আলেমের মতে মহিলাদের পাও সতরের অন্তর্ভূক্ত । সুতরাং মহিলাদের জন্য পা খোলা রেখে পর পুরুষের সামনে যাওয়া যাবে না। এর দলীল হলো আল্লাহ তায়ালা বলেন- وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। {সূরা নূর-৩১} উক্ত আয়াতের মধ্যে মহিলাদের জন্য গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা করতে নিষেধ করা হয়েছে। জোরে পদচারণা যদি নিষেধ হয় তাহলে তো পা দেখানো নিষেধ হবেই।

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/9333/

পর্দা সম্পর্কে আরো জানুনhttps://ifatwa.info/22283/

নারীদের চাকরী করা সম্পর্কে জানুনhttps://ifatwa.info/21564/?show=21564#q21564

নারী ও পুরুষের সতর সম্পর্কে জানুনhttps://ifatwa.info/2833/

আরো জানুন- https://ifatwa.info/5685/?show=5685#q5685

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার স্বামীর সামর্থ্য থাকলে আপনার জন্য আলাদা বাসস্থান ব্যবস্থা করা আপনার স্বামী উপর আবশ্যক। সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে পর্দার সহযোগিতা করার পরিবর্তে কোনো পরপুরুষের সামনে স্ত্রীকে  চেহারা খুলতে বাধ্য করে তাহলে এতে স্বামী গুনাহগার হবে।

২. চাদর দিয়ে বক্ষ আবৃত করে পর্দা করা এটা মাহরামদের সামনে, পরপুরুষের সামনে নয়। সুতরাং পরপুরুষের সামনে যেতে হলে পুরো শরীর পর্দা করে যেতে হবে।

৩. নোনাসের হাজবেন্ডের সাথে অবশ্যই পর্দা করতে হবে। সুতরাং পর্দা খেলাফ করে তার সাথে দেখা সাক্ষাত, কথা বার্তা, খানা খাওয়া জায়েজ হবে না। তবে ফিৎনার আশংকা না থাকলে পর্দার আড়াল থেকে তার সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলা যাবে।

৪. নারীদের চাকরী করা সম্পর্কে উপরের লিংকটা দেখে নিবেন।

৫. আয়েশা রা. শিক্ষিকা ছিলেন, এটা ঠিক আছে। তবে তিনি পর্দার সাথে শিক্ষা দিয়েছেন। তা ছাড়া ফিৎনার আশংকাও ছিলো না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (63,560 points)
উত্তরের ক্ষেত্রে শব্দ উল্লেখের লিমিট থাকার কারণে আরো অনেক দলীল উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...