আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
250 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১. অজু হওয়ার জন্য কি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলা আবশ্যক?
২. বাথরুমে ( টয়লেট যুক্ত) অজু করার পূর্বএ কি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলা যাবে?

৩. অনেক সময় পথের ধারে বাংলায় আল্লাহর নাম বা  বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা পোস্টটার বা কাগজ
পরে থাকে সেগুলো যদি সব সময় না তুলি তবে কি গুনাহ হবে?

কারণ কাগজ তুলতে লাগলে লোকজনের সামনে লজ্জায় পরতে হয়, ওনারা তাকিয়ে থাকে।

৪. ইফতারের দোয়া ইফতারের সময় হওয়ার আগে পড়লে কি রোজা নষ্ট হয়ে যায়?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) অজু বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বরা অত্যাবশ্যকীয় নয়। 

(২) বাথরুমে অজু করার সময়ে বিসমিল্লাহ বলা যাবে না। 

(৩) যেখানে আল্লাহর নামের বেইজ্জতি হচ্ছে, সেখানে আমাদের সম্মাণ কিসের ? সুতরাং সকল মান সম্মান বিসর্জন দিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে পানিতে নিক্ষেপ করাই উচিৎ। তবে যদি কেউ না তুলে তাহলে তার কোনো গোনাহ হবে না।বরং নিক্ষেপকারীরই সমস্ত গোনাহ হবে। 

(৪)
যেকোনো কাজকে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' বলেই শুরু করতে হয়।সুতরাং ইফতারকেও বিসমিল্লাহ্ বলে শুরু করা হবে। তবে ইফতার সম্পর্কে বেশ কয়েকটি রেওয়াতে কিছু দু'আ বর্ণিত রয়েছে।সেগুলোকে ইফতারের আগে পরে যেকোনোভাবে পড়া যাবে।তবে অর্থের দিক বিবেচনা করে উলাময়ে কেরাম কিছু পরামর্শ প্রদাণ করে থাকেন,

ইফতারের পূর্বে
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺇﻧﻲ ﺃﺳﺄﻟﻚ ﺑﺮﺣﻤﺘﻚ ﺍﻟﺘﻲ ﻭﺳﻌﺖ ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﺃﻥ ﺗﻐﻔﺮ ﻟﻲ . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ 
অথবা সংক্ষেপে বলা যাবে,
ইয়া ওয়াসিআল ফাযলি ইগফিরলি বলবে।

ইফতারের সময় 
বিসমিল্লাহ বলা

ইফতার শেষে
ﺫﻫﺐ ﺍﻟﻈﻤﺄ ﻭﺍﺑﺘﻠﺖ ﺍﻟﻌﺮﻭﻕ ﻭﺛﺒﺖ ﺍﻷﺟﺮ ﺇﻥ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ " .ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( 2357 ) 
অথবা
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻟﻚ ﺻﻤﺖ ﻭﻋﻠﻰ ﺭﺯﻗﻚ ﺃﻓﻄﺮﺕ " ﻓﻘﺪ ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( 2358 )

সেহরির বিশেষ কোনো দু’আ প্রমাণিত নয়।  তবে সেহরির সময় দু’আ কবুল হয়ে থাকে, তাই এ সময় দু’আ করা মুস্তাহব। নির্দিষ্ট কোনো দু’আর কথা হাদীসে আসেনি। যে কোনো দু’আ এ সময় করা যাবে। 
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ يَقُولُ : مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ ، مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ ، مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ ) . رواه البخاري ( 1094 ) ومسلم ( 758 )
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1254


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 165 views
0 votes
1 answer 356 views
...