ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) অজু বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বরা অত্যাবশ্যকীয় নয়।
(২) বাথরুমে অজু করার সময়ে বিসমিল্লাহ বলা যাবে না।
(৩) যেখানে আল্লাহর নামের বেইজ্জতি হচ্ছে, সেখানে আমাদের সম্মাণ কিসের ? সুতরাং সকল মান সম্মান বিসর্জন দিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে পানিতে নিক্ষেপ করাই উচিৎ। তবে যদি কেউ না তুলে তাহলে তার কোনো গোনাহ হবে না।বরং নিক্ষেপকারীরই সমস্ত গোনাহ হবে।
(৪)
যেকোনো কাজকে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' বলেই শুরু করতে হয়।সুতরাং ইফতারকেও বিসমিল্লাহ্ বলে শুরু করা হবে। তবে ইফতার সম্পর্কে বেশ কয়েকটি রেওয়াতে কিছু দু'আ বর্ণিত রয়েছে।সেগুলোকে ইফতারের আগে পরে যেকোনোভাবে পড়া যাবে।তবে অর্থের দিক বিবেচনা করে উলাময়ে কেরাম কিছু পরামর্শ প্রদাণ করে থাকেন,
ইফতারের পূর্বে
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺇﻧﻲ ﺃﺳﺄﻟﻚ ﺑﺮﺣﻤﺘﻚ ﺍﻟﺘﻲ ﻭﺳﻌﺖ ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﺃﻥ ﺗﻐﻔﺮ ﻟﻲ . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ
অথবা সংক্ষেপে বলা যাবে,
ইয়া ওয়াসিআল ফাযলি ইগফিরলি বলবে।
ইফতারের সময়
বিসমিল্লাহ বলা
ইফতার শেষে
ﺫﻫﺐ ﺍﻟﻈﻤﺄ ﻭﺍﺑﺘﻠﺖ ﺍﻟﻌﺮﻭﻕ ﻭﺛﺒﺖ ﺍﻷﺟﺮ ﺇﻥ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ " .ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( 2357 )
অথবা
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻟﻚ ﺻﻤﺖ ﻭﻋﻠﻰ ﺭﺯﻗﻚ ﺃﻓﻄﺮﺕ " ﻓﻘﺪ ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( 2358 )
সেহরির বিশেষ কোনো দু’আ প্রমাণিত নয়। তবে সেহরির সময় দু’আ কবুল হয়ে থাকে, তাই এ সময় দু’আ করা মুস্তাহব। নির্দিষ্ট কোনো দু’আর কথা হাদীসে আসেনি। যে কোনো দু’আ এ সময় করা যাবে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ يَقُولُ : مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ ، مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ ، مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ ) . رواه البخاري ( 1094 ) ومسلم ( 758 )