আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তায। আমি আইওএমের আলিম প্রিপারেটরি কোর্সের ফিফথ সেমিস্টারের একজন শিক্ষার্থী। ছয় মাস হলো আমার বিয়ে হয়েছে। আমার স্বামী একজন হাফেজ, আলেম আলহামদুলিল্লাহ। বিয়ের আগে উনার সাথে অল্প কিছু সময় কথা বলার সুযোগ হয়েছিলো। আমি যে ভার্সিটির পাশাপাশি মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করি তখন জানিয়েছিলাম। এরপর দাওরায়ে হাদীসে এডমিট হতে চাই এটাও বলেছিলাম। উনার তখন কোনো আপত্তি ছিলো না। কিন্তু বিয়ের পর জানতে পারলাম আমার শ্বশুর (উনিও একজন হাফেজ, আলেম) চান না আমি মাদ্রাসায় আর পড়াশোনা করি! আমার ভার্সিটিতে পড়া নিয়ে উনাদের কোনো আপত্তি নাই কিন্তু ইসলামিক এডুকেশন নাকী এই পর্যন্তই! কারণ হিসেবে আমাকে বলা হয়েছে, জেনারেলে আমি আমার স্বামীর থেকে অনেক বেশি পড়েছি। তাই ধর্মীয় পড়াশোনায় স্বামীর থেকে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। এতে নাকী সমতা নষ্ট হবে, সংসারে ভারসাম্য থাকবে না। আমার শ্বাশুড়িও এই ব্যাপারে একমত। স্বামীর মতামত একান্তে জানতে চাইলে, উনি বলেছেন এই পড়াশোনা নাকী আমার জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে যদি পড়তে চাই সবাইকে লুকিয়ে পড়তে হবে। কাউকে জানানো যাবে না। মুখে এই কথা বললেও উনি আমাকে তেমন সাপোর্ট করেন না। ক্লাস টাইমে ক্লাস করতে পারি না, এক্সামগুলো দিতে খুব সমস্যা হয়। মাদ্রাসার পড়ার পিছনে মেহনত করার কোনো সুযোগই আমি পাই না। পড়তে বসলেই উনি জেনারেলের পড়া পড়তে বলেন। একটু পরপরই কেউ না কেউ দেখে যান আমি কী করছি। তাই লুকিয়ে পড়াও সম্ভব হয় না। একদিন খুব কষ্ট থেকেই উনাকে অভিযোগ করেছিলাম যে বিয়ের আগে রাজি হয়েও বিয়ের পর আমাকে মাদ্রাসায় পড়তে না দিয়ে জুলুম কেন করা হচ্ছে! প্রসঙ্গত, আগামী ১/২ বছরের মধ্যে কর্মক্ষেত্রের জন্য আমাদের পরিবার থেকে দূরে অন্য জায়গায় শিফট করার কথা। উনি চান আমি যা করার তখন যাতে করি। আপাতত এই পড়া নিয়ে আর কোনো কথা বলতে না করেছন। আমার হাফেজী পড়ার ইচ্ছা শুনে বলেছেন উনি নিজেই নাকী পড়াবেন। কিছু বললেই বলেন বছরখানেক ধৈর্য্য ধরতে। এই অবস্থায় আমার করণীয় কী উস্তায? ফিফথ সেমিস্টারে উঠে পড়াশোনা ছেড়ে দিব এটা ভাবতেই পারছি না। এক বছর গ্যাপ দিলে আইওএমে আবার নতুন করে এডমিট হতে হয়। এই বয়সে এটা আমার জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। আমি কী করবো এখন? উনার কথামতো আপাতত পড়াশোনা বন্ধ রেখে বছরখানেক পর শুরু করবো? নাকী নিজের মতো করে চালিয়ে যাব? আমাকে আশ্বাস দেওয়ার পরেও উনারা যে এখন পড়তে দিচ্ছেন এতে কি আমার হক নষ্ট করা হলো না?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বামী উচিত ছিল, বিয়ের পূর্বে যা আলোচনা হয়েছিলো, তা বাস্তবায়িত করা। যাইহোক, স্বামী যখন একবৎসর সময় চাইছে, তাই এক বৎসর অপেক্ষা করা আপনার উচিত।এক বৎসর পর ইসলামিক পড়াশোনা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...