আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

প্রথম অংশঃ
জনৈক এক ব্যাক্তির বাবা মারা গিয়েছেন কয়েক বছর আগে। উনার পিতা মারা যাবার পর মা, এক ভাই এক বোনের খরচ উনিই বহন করেন।

বছরখানেক আগে উনার বোনের, একটি ছেলের সাথে অনলাইনে পরিচয় হয় এবং অনলাইনেই তাদের সম্পর্ক হয়ে যায়। ছেলেটি বিদেশে থাকে এবং একটি হোটেলের কিচেনে সহকারী হিসেবে কাজ করে।

উনার বোন পাপের কথা চিন্তা করে মোবাইলেই বিবাহ করে ফেলে। এই বিবাহের বিষয়টি দুই পরিবারের কেহই অবগত ছিল না।

বিয়ে সম্পন্নের সময় ভিডিও কলে একপ্রান্তে মেয়ে ছিল আর অপর প্রান্তে ছেলে এবং ছেলের বন্ধুরা ছিল। ছেলের বন্ধুদের মধ্য থেকেই মেয়ে পক্ষের উকিল ও সাক্ষী নির্ধারণ করে।

এমতাবস্থায় উনার বোনের বিয়ের প্রস্তাব আসার পর বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করে। এই অবস্থায় উনি এই বিয়ে মেনে নিতে ইচ্ছুক ছিলেন না, কেননা ছেলেটি শিক্ষাগত যোগ্যতা একেবারেই কম, পেশাও ঐ ফ্যামিলির সাথে মানানসই না। কিন্তু তারপরও উনার মায়ের পীড়াপিড়িতে উনি ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলতে রাজি হন। এমতাবস্থায় ছেলেটি তার পরিবারের কোন কন্টাক্ট দেয় নি এবং সে জানায় তার পরিবার এ বিয়ে মেনে নেবে না।

ছেলের ইচ্ছে উনার বোনের ওয়ারিশের অংশ যা পাবে সেখানে সে চলে আসবে। এ বিষয়টি উক্ত মেয়েটিকে বলে রাজী করিয়ে রেখেছে। এ বিষয়টি উনার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। উনার বোনও কিছুটা সন্দেহের মধ্যে আছে। কিন্তু ভয়ে আছে যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলে তালাক না দিলে অন্যত্র কিভাবে বিয়ে হবে? উল্লেখ্য যে ছেলে বিদেশে থাকায় বিয়ের সাত-আট মাস হলেও এখনও ওদের সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ হয় নি এবং ছেলে কবে আসবে সে ব্যাপারেও কিছু জানায় নি। দেশে আসার কথা বললে নানাবিধ সমস্যার কথা বলে। দেশে আসার আগে কোন খরচ বহনের বিষয়েও সে রাজী নয়, যদিও এটা উক্ত মেয়ে মেনে নিয়েছে।

আমার প্রশ্ন হচ্ছেঃ

১। উক্ত বিয়ে কি বৈধ হয়েছে (হানাফী মাজহাব অনুসারে)?

২। বৈধ হয়ে থাকলে কিভাবে বিচ্ছেদ করা লাগবে এবং অন্য কোথাও বিয়ে দিতে গেলে কি করতে হবে?

দ্বিতীয় অংশঃ

উল্লিখিত ঘটনার কারণে উক্ত পরিবারে খুবই পারিবারিক অশান্তি চলমান রয়েছে। উক্ত ব্যক্তি এখন পারিবারিকভাবে আলাদা হতে চাইছেন মা, ভাই আর বোনদের থেকে। পিতা মারা যাবার পরইক্যাশ টাকা ওয়ারিশানদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এখন স্থায়ী সমত্তি উনার তত্ত্বাবধানে আছে। বছরে যা আসে উনি অর্ধেক ওয়ারিশানদের দিয়ে বাকিটা নিজে খরচ করেন যেহেতু পরিবারের সবাই উনার কাছেই থাকে।

এমতাবস্থায় মা, অবিবাহিত ভাই আর উক্ত বোন নিজেদের কোন টাকা পয়সা খরচ করে না। জমিয়ে রাখে আর বছরে যা যাকাত আসে সেইটুকু নিজেরাই দিয়ে দেয়। উনার মা চান দুইজনের (ভাই আর বোনের) বিবাহের আগ পর্যন্ত সমস্ত খরচ উক্ত ব্যক্তিই চালান।

উল্লেখ্য যে উনার ভাই মাদ্রাসায় ভর্তি থাকলেও কোন পড়াশুনা না করে দুনিয়াবী ফিতনায় জড়িয়ে থাকে। এসব নিয়ে তার বড় ভাইয়ের কোন কথাও শোনে না।

এমতাবস্থায়, মা, ভাই আর বোনকে আলাদা করা মানে সব সম্পদ ভাগ করে দিয়ে ওদের খরচ দেয়া বন্ধ করলে গোনাহের আশঙ্কা আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী এখানে বিয়ে বিশুদ্ধ হবে না। কেননা পাত্রী মজলিসে উপস্থিত ছিল না। আর বিয়ের জন্য মজলিস শর্ত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 95700 

(২) 
দ্বিতীয় প্রকারে পিতা-মাতা ছাড়াও আরও অনেকের জন্য নাফক্বাহ ওয়াজিব হয়।
এ বিষয়ে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
وَالنَّفَقَةُ لِكُلِّ ذِي رَحِمٍ مَحْرَمٍ إذَا كَانَ صَغِيرًا فَقِيرًا، أَوْ كَانَتْ امْرَأَةً بَالِغَةً فَقِيرَةً، أَوْ كَانَ ذَكَرًا فَقِيرًا زَمِنًا، أَوْ أَعْمَى وَيَجِبُ ذَلِكَ عَلَى قَدْرِ الْمِيرَاثِ وَيُجْبَرُ كَذَا فِي الْهِدَايَةِ وَتُعْتَبَرُ أَهْلِيَّةُ الْإِرْثِ لَا حَقِيقَتُهُ كَذَا فِي النُّقَايَةِ.
প্রত্যেক আত্মীয়র জন্য নিকটত্বের ধারাবাহিতায় নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে,যদি তারা নাবালিগ ও ফকির হয়।অথবা ফকির বালিগা মহিলা হয়।অথবা বার্ধক্য বা রোগগ্রস্ত উপার্জনে অক্ষম(ফকির)অথবা অন্ধ হয়।এবং তা মিরাসের ভিত্তিতে ওয়াজিব হবে।অর্থ্যাৎ উক্ত ধনী ব্যক্তিকে তাদের উপর তাদের কাছ থেকে তার জন্য প্রাপ্য মিরাস অনুযায়ী নাফক্বাহ দিতে তাকে বাধ্য করা হবে।এক্ষেত্রে ওরাসতের আহল হওয়াই যতেষ্ট বাস্তবে ওয়ারিছ হওয়া শর্ত নয়।নুক্বায়া কিতাবে এভাবেই বর্ণিত রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫৬৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 3712 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু পৈত্রিক সম্পত্তি বন্টন করার পর সবার নিকট চলার মত সম্পদ থাকবে, তাই আপাতত বড় ভাই যদি সম্পদ বন্টন করে পৃথক হয়ে যায়, তাহলে তার কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা, পরবর্তীতে ভাই বোন বা মা, তাদের কেউ নিঃস্ব হয়ে গেলে, তাদেরকে লালন পালন করা সামর্থবান অন্য ভাইয়ের উপর ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...