আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
52 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।।আমি ভার্সিটির পরিবেশে থাকতে চাচ্ছিলাম না(! পরিবার যথেষ্ট সচ্ছল আলহামদুলিল্লাহ। ) তাই তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে বিয়ের সময় বলা হয় যে, বিয়ে হলেও পড়তে হবে...আর বিয়ে না হলেও পড়তে হবে...আমি তাই বিয়েকেই বেচে নিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ! কিন্তু এখনও এই পরিবেশে গুনাহ থেকে বাচা যাচ্ছে না, (দৃষ্টির হেফাজত,পর্দা, এগুলালো, মাহরাম ছাড়া সফর এমন অনেক গুনাহ হয়ে যাচ্ছে!! স্বামীর হক,নিজের সংসার ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া আমার জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে)

এই অবস্থায় আমি এই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে চাচ্ছি কিন্তু আমার পরিবার থেকে দেওয়া এই শর্তের জন্য আমার এই ভার্সিটির পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া যায়েজ হবে?

বি: দ্র: আমাকে এখানে ভার্সিটির হলে থাকতে হয় মাহরাম ছাড়া! আমার পরিবার ও স্বামীগৃহ ৪৮ মাইলের বেশি দুরতের..

স্বামী সাপোর্ট করছেন আলহামদুলিল্লাহ..

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/30426/  ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

দ্বীনি শিক্ষা হোক বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক, ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক।

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী। (সূরা আলে ইমরান-১৪)

রাসুলুল্লাহ বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ

আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি। (বুখারী ৪৮০৮, মুসলিম ২৭৪০)

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,

 فلا يجوز للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن لها بذلك

সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা কিংবা চাকরি করা জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য জায়েয হবে না তাকে এর অনুমতি দেয়া।  (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১২/১৫৬)

একান্ত অপারগ অবস্থায় বা বিকল্প কোন পথ না পেলে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা জায়েয আছে। কেননা, الضرورات تبيح المحظورات     জরুরত নিষিদ্ধ কাজকে সিদ্ধ করে দেয়। (আলআশবাহ ওয়াননাযাইর ১/৭৮)

তবে সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যাতে পর্দা লঙ্ঘন বা আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম সংঘটিত না হয়।

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ

অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। (সূরা তাগাবুন ১৬)

যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে, ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন  কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

. শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।

. চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে, প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক দিকে তাকানো যাবে না। মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না। সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। (ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)

সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/434

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!

স্ত্রীর জন্য জরুরি হল, বিশেষ কোনো কাজে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে স্বামীর নিকট অনুমতি নেয়া। স্বামী অনুমতি দিলে পরিপূর্ণ পর্দা সহকারে এবং নিজেকে ফিতনা থেকে হেফাযতে রেখে স্ত্রী বাইরে যেতে পারে। প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামী যদি অনুমতি দেন, সেক্ষেত্রে শরীয়তের শর্তাবলি পূর্ণ ভাবে মেনে শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থেকে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেন।

উল্লেখ্য কর্মক্ষেত্রে পর্দার পরিপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে বা গুনাহে জড়িয়ে পড়ার প্রবল আশংকা থাকলে স্বামী অনুমতি দিলেও উক্ত ভার্সিটিতে পড়াশুনা করা জায়েজ হবেনা। এক্ষেত্রে পরিবারকে বুঝানোর চেষ্টা করবেন ও দোয়া করবেন যে, আল্লাহ তায়ালা যেন পরিবারস্থ সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করেন।

মহিলাদের হোস্টেলে থাকার বিষয়ে জানুনঃ-

https://ifatwa.info/52272/

https://ifatwa.info/19148/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...