ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি প্রথমে একটা মূলনীতি মূলক লিখা পড়ুন-----
কুফরের প্রকার :
আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম রহ. বলেন : কুফর দুই প্রকার : কর্মগত কুফর ও অস্বীকারমূলক কুফর
অস্বীকার মূলক কুফর : নবীজি যা কিছু নিয়ে এসেছেন, তা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নিয়ে এসেছেন—এটা জানার পরও অস্বীকার করা। যেমন, আল্লাহ তাআলার নামসমূহ, তাঁর কোন গুন বা কর্ম বা কোন বিধান।
কর্মমূলক কুফর : এটি দুই রকমের হতে পারে : এক. যার কারণে মানুষ ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যায়। মুর্তিপূজা করা, কুরআনুল কারীমকে অস্বীকার করা, কোন নবীকে হত্যা করা বা গালি দেওয়া। দুই. যার কারণে ইসলাম থেকে বের হয় না, তবে গুনাহগার হয়। যেমন, আল্লাহ প্রদত্ত বিধানাবলী অনুযায়ী ফায়সালা না করা, নামাজ না পড়া। এমনিভাবে হাদীসে যে জিনাকারী, চোর ও মদ্যপের ঈমানকে নাকচ করা হয়েছে, তা এ দৃষ্টিকোণ থেকেই। অর্থাৎ, কর্মগত কুফর; আকীদাগত অস্বীকারমূলক কুফর নয় (আস্সালাতু ওয়া আহকামু তারিকিহা : ৫৬,৫৭)। তবে, এর জন্য শর্ত হলো এসবকে সে হালাল মনে না করতে হবে। পক্ষান্তরে এগুলোকে যদি সে হালাল মনে করে তাহলে সে সরাসরি কাফের হয়ে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে (কাজি ইয়াজকৃত ইকমালুল মু’লিম, ১:৩১৯)।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ধারণা জনিত কুফুর বলতে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? বিষয়টা আমাদেরকে পরিস্কার করে কমেন্টে বলুন। নিজে নিজে ফাতাওয়া বের করা যাবে না। নিজে নিজে চিন্তা করে সঠিক ফাতাওয়া বের করলেও সেটা ভূল বলে সাব্যস্ত হবে।
(২)(৩)(৪) ইতিপুর্বেও আপনি এরকম প্রশ্ন করেছেন, সেখানে জবাব দেয়া হয়েছে, কেউ শাস্তি চাইলেই যে তাকে শাস্তি দেয়া হবে, আর শাস্তি থেকে মুক্তি চাইলেই যে তাকে মুক্তি দেয়া হবে, বিষয়টা মূলত এমন নয়। মু’মিন অবস্থায় আল্লাহ দু’আকে কবুল করে থাকেন। আর কাফির অবস্থার দু’আকে কি আল্লাহ কবুল করবেন? এ সম্পর্কে আল্লাহ-ই ভালো জানেন। কেউ কোনো অন্যায় বা গোনাহ করার পর তার দায়িত্ব হল, আল্লাহর কাছে আহাজারি করে মুনাজাত করা।
(৫) আল্লাহর আকৃতি নিয়ে চিন্তা করতে হলে আমরা দুনিয়ার মানুষ বা প্রাণী জগতের হাত পা এর মত আল্লাহর হাত পা ইত্যাদি রয়েছে মনে করে চিন্তা করবো, এটা নিষিদ্ধ । কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেন,
لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ
কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।( সূরা আশ-শুরা-১১)
আল্লাহর আকার আকৃতি সাব্যস্ত করা যাবে না। তবে যদি কেউ করে নেয়, তাহলে যেহেতু কুরআনে আল্লাহ তা’আলা হাত পায়ের কথা বলেছেন. তাই সে কাফির হবে না। কুরআনের ঐ সমস্ত হাত পায়ের অর্থ হল, আল্লাহর কুদরত, শক্তি, ইত্যাদি।