আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by
খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

তালাকের ও কাফের এর মাসঅালা দেখার পর অামার মনে হয়েছে কেউ যদি এগুলো বলে



সে যা করবে তার ফলেই সে কাফের হয়ে যাবে ঈমান অানলেও ঈমান অাসবে না



অাবার এইটা বলে সে যা করবে তার ফলেই কাফের হয়ে যাবে ঈমান অানলেও অাবার কাফের হয়ে যাবে


সে যা করবে তার ফলেই ঈমান চলে যাবে কাফের হয়ে যাবে যতবার ঈমান অানবে তত বার ই কাফের হয়ে যাবে(এটি মনে অাসছিল, যতটুকু মনে অাছে লিখি বা বলি নি)

বলার পর সে তার ভুল বুঝতে পারে তার কি ঈমান অানার কোন উপায় থাকে

হুজুর অামি এই শব্দ অাপনাদের প্রশ্ন করার জন্য কয়েক বার লেখেছি অামার দিকে নিয়ে।

একবার নাকি ২ বার শুধু শুধু লেখেছি।(প্রশ্ন করার নিয়ত ছাড়া এমনি)সুস্থ অবস্থায়
কিন্তু বিশ্বাস করেন অামি অাল্লাহকে মানি। উনার সব মানি, বিশ্বাস করি, কোন দিন যদি ভুলে এমন হয় যায় এই নিয়ে ভয়ে থাকতাম। কখনই কাফের হওয়ার নিয়তে বা অাল্লাহকে না মানার জন্য বলি নি। অামার বিশ্বাস ছিল এসব বললেও অামরা ঈমান অাসবেই। অামি কি ঠিক ভেবেছি

৩ যদি কেউ ইচ্ছায় বলে ফেলে পরে ভুল বুঝতে পারে তবে কি সে অার মুসলিম হতে পারবে

৪ হুজুর যেহেতু কেউ যদি বলে অামি তালাক দিলে তালাক হবে না তা অামার জানামতে  অহেতুক কথা হয়ে যায় কোন লাভ হয় না দিলে হয় ই।তেমনি যতই বলি ঈমান অানলে ঈমান অাসবে না  তাও ত অহেতুক। কারণ ঈমান অানলে অাসবেই। ঈমান অানার অাগেও যদি বলে ঈমান অানলেও সে কাফের হয়ে যাবে তা কার্যকর হবে না। অামি কি ঠিক জানি।

৫ ক,খ,গ সব বাক্য বলার পর ঈমান অানার কি কোন উপায় অাছে। অামি মোটামুটি ওয়াসওয়াস তে ভুগছি
অামি খুবই ভীতু অাল্লাহ অামার দুনিয়া ও অাখিরাতের সব অাল্লাহ অামার রব। উনার উপর বিশ্বাস অামার দুনিয়ার সবচেয়ে বড় হুজুর।
৬ হুজুর অামি একবার অাপনাদের কাছে জানার জন্য ১ নাম্বার প্রশ্নের যে কোন একটি বাক্য নিজের দিকে নিয়ে লিখছিলাম। প্রথমে মোবাইল নোটে পরে তা অাপনাদের ওয়েবসাইটে । এর ফলে কি কোন সমস্যা হবে
by (2 points)
হুজুর দয়া করে অাজকে রাতে উওর দিন। অামি খুব ই চিন্তিত। 

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি এহেন কসমের পর যেকোনো কাজ করলে নিজে নিশ্চিত কাফের হয়ে যাবে,এহেন আকীদা নিয়ে কোনো কাজ করবেনা,বরং তার উক্ত কসমের ফলে তার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা,ধরে নিয়ে সে সব কাজ করে যাবে,তাহলেই আর কোনো ঈমানের সমস্যা হবেনা।

★তবে আল্লাহর নামে কসম করে থাকলে কসম ভেঙ্গে গেলে তার কাফফারা আদায় করতে হবে।

(০২)
আপনার ঈমান চলে যায়নি,ঈমান আছেই।
সুতরাং এ নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই।
আপনি নিশ্চিন্তে অন্য কোনো কাজে মগ্ন হোন।

(০৩)
হ্যাঁ মুসলিম থাকে।
এক নং জবাবে দেয়া পদ্ধতি মেনে কাজ করবে।

(০৪)
হ্যাঁ আপনি ঠিক জানেন।

(০৫)
আপনার ঈমান চলে যায়নি,তাই এ নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই।
আপনি নিশ্চিন্তে অন্য কোনো কাজে মগ্ন হোন।

(০৬)
না,সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...