আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
505 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
১. ধারণাজনিত কুফরি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। "আর আমি যদি আমার রবের নিকট প্রত্যাবৃত্ত হই-ই তাহলে আমিতো নিশ্চয়ই এটা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট স্থান পাব" কুরআনের একটি আয়াতের এই অংশটিতে যা বোঝানো হয়েছে তা কি ধারণাজনিত কুফরি এর মধ্যে পড়ে? কোনো ব্যক্তি যদি কোনো ইসলামিক সমস্যায় পড়ে গিয়ে মনে মনে তার ফতোয়া বের করে আনে তবে এবং সেই ফতোয়া অনুসারে যদি কাজ করে তবে তা ধারণাজনিত কুফরির মধ্যে পড়বে কি?

২. কোনো কাফের (এমন কাফের যে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে) যদি আল্লাহর কাছে নিজের জন্য শাস্তি কামনা করে এবং কাফির অবস্থায় থাকাকালীন সেই কামনাকৃত শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য তওবা করে তবে আল্লাহ কি ওই কাফিরের কামনাকৃত শাস্তিটি আর দিবেন না?

৩. কোনো মুশরিক যদি আল্লাহর কাছে নিজের জন্য শাস্তি কামনা করে এবং মুশরিক অবস্থায় থাকাকালীন সেই কামনাকৃত শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য তওবা করে তবে আল্লাহ কি ওই মুশরিকের কামনাকৃত শাস্তিটি আর দিবেন না?

৪. কোনো মুনাফিক যদি আল্লাহর কাছে নিজের জন্য শাস্তি কামনা করে এবং মুনাফিক অবস্থায় থাকাকালীন সেই কামনাকৃত শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য তওবা করে তবে আল্লাহ কি ওই মুনাফিকের কামনাকৃত শাস্তিটি আর দিবেন না?

৫. মনে মনে আল্লাহর কোনো অংশের আকৃতি কল্পনা করলে ঈমান চলে যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (711,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি প্রথমে একটা মূলনীতি মূলক লিখা পড়ুন-----
কুফরের প্রকার :
আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম রহ. বলেন : কুফর দুই প্রকার : কর্মগত কুফর ও অস্বীকারমূলক কুফর
অস্বীকার মূলক কুফর : নবীজি যা কিছু নিয়ে এসেছেন, তা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নিয়ে এসেছেন—এটা জানার পরও অস্বীকার করা। যেমন, আল্লাহ তাআলার নামসমূহ, তাঁর কোন গুন বা কর্ম বা কোন বিধান।

কর্মমূলক কুফর : এটি দুই রকমের হতে পারে : এক. যার কারণে মানুষ ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যায়। মুর্তিপূজা করা, কুরআনুল কারীমকে অস্বীকার করা, কোন নবীকে হত্যা করা বা গালি দেওয়া। দুই. যার কারণে ইসলাম থেকে বের হয় না, তবে গুনাহগার হয়। যেমন, আল্লাহ প্রদত্ত বিধানাবলী অনুযায়ী ফায়সালা না করা, নামাজ না পড়া। এমনিভাবে হাদীসে যে জিনাকারী, চোর ও মদ্যপের ঈমানকে নাকচ করা হয়েছে, তা এ দৃষ্টিকোণ থেকেই। অর্থাৎ, কর্মগত কুফর; আকীদাগত অস্বীকারমূলক কুফর নয় (আস্সালাতু ওয়া আহকামু তারিকিহা : ৫৬,৫৭)। তবে, এর জন্য শর্ত হলো এসবকে সে হালাল মনে না করতে হবে। পক্ষান্তরে এগুলোকে যদি সে হালাল মনে করে তাহলে সে সরাসরি কাফের হয়ে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে (কাজি ইয়াজকৃত ইকমালুল মু’লিম, ১:৩১৯)। 
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5807

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ধারণা জনিত কুফুর বলতে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? বিষয়টা আমাদেরকে পরিস্কার করে কমেন্টে বলুন। নিজে নিজে ফাতাওয়া বের করা যাবে না। নিজে নিজে চিন্তা করে সঠিক ফাতাওয়া বের করলেও সেটা ভূল বলে সাব্যস্ত হবে। 

(২)(৩)(৪) ইতিপুর্বেও আপনি এরকম প্রশ্ন করেছেন, সেখানে জবাব দেয়া হয়েছে, কেউ শাস্তি চাইলেই যে তাকে শাস্তি দেয়া হবে, আর শাস্তি থেকে মুক্তি চাইলেই যে তাকে মুক্তি দেয়া হবে, বিষয়টা মূলত এমন নয়। মু’মিন অবস্থায় আল্লাহ দু’আকে কবুল করে থাকেন। আর কাফির অবস্থার দু’আকে কি আল্লাহ কবুল করবেন? এ সম্পর্কে আল্লাহ-ই ভালো জানেন। কেউ কোনো অন্যায় বা গোনাহ করার পর তার দায়িত্ব হল, আল্লাহর কাছে আহাজারি করে মুনাজাত করা। 

(৫) আল্লাহর আকৃতি নিয়ে চিন্তা করতে হলে আমরা দুনিয়ার মানুষ বা প্রাণী জগতের হাত পা এর মত আল্লাহর হাত পা ইত্যাদি রয়েছে মনে করে চিন্তা করবো, এটা নিষিদ্ধ । কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেন,
 لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ 
কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।( সূরা আশ-শুরা-১১)
আল্লাহর আকার আকৃতি সাব্যস্ত করা যাবে না। তবে যদি কেউ করে নেয়, তাহলে যেহেতু কুরআনে আল্লাহ তা’আলা হাত পায়ের কথা বলেছেন. তাই সে কাফির হবে না। কুরআনের ঐ সমস্ত হাত পায়ের অর্থ হল, আল্লাহর কুদরত, শক্তি, ইত্যাদি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (711,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (37 points)
"নিজে নিজে চিন্তা করে সঠিক ফাতাওয়া বের করলেও সেটা ভূল বলে সাব্যস্ত হবে" এই বাক্যটি কোনো মুসলিম না মানলে সে কি কাফের বলে বিবেচিত হবে?
by (711,400 points)
ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিচারক তিন প্রকার। এক প্রকার বিচারক জান্নাতী এবং অপর দু’ প্রকার বিচারক জাহান্নামী। জান্নাতী বিচারক হলো, যে সত্যকে বুঝে তদনুযায়ী ফায়সালা দেয়। আর যে বিচারক সত্যকে জানার পর স্বীয় বিচারে জুলুম করে সে জাহান্নামী এবং যে বিচারক অজ্ঞতা প্রসূত ফায়সালা দেয়( উক্ত ফায়সালা সঠিক হলেও) সেও জাহান্নামী।[1]ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ বিষয়ে উপরোক্ত হাদীসটি অধিক সহীহ, অর্থাৎ ইবনু বুরায়দাহর হাদীস-বিচারক তিন শ্রেণীর।
by (711,400 points)
+1
এটা না মানলে  কেউ কাফির হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...