ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) আল্লাহর তা’আলার ব্যাপারে যদি কোনো মুসলিম ইচ্ছাকৃতভাবে মনে মনে অশ্লীল কিছু্ ভাবে, তবে সাথে সাথে তাওবাহ করে নেয়, এবং কারো সামনে প্রকাশ না করে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে না। কিন্তু যদি সে ভাবতেই থাকে, এই ভাবনার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখে, এবং মনে মনে তার ভাবনাকে সত্য মনে করে থাকে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।
(২)যদি কোনো মুসলিম মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে তার নিজের জন্য শাস্তি কামনা করেছিলো কিন্তু মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় তার ঐ কামনাকৃত শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য তওবা করে নি। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তিটি আল্লাহর কোনো একটি গুনাবলী ইচ্ছাকৃতভাবে সুস্থ মস্তিষ্কে অস্বীকার করার কারনে কাফির হয়ে যায় এবং ব্যক্তিটি এটাও বুঝতে পারে যে সে কাফির হয়ে গেছে। এরপরে কাফির অবস্থায় ঐ ব্যক্তিটি যদি মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে যে শাস্তি কামনা করেছিলো সেই শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য যদি তওবা করে, তাহলে তার তাওবাহ কবুল হবে না। তবে যদি সে আবার ইসলাম কবুল করে নেয়, তারপর আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে , তাহলে তার তাওবাহ কবুল করা হবে। এবং তাকে শাস্তি থেকে মুক্তি দেয়া হবে।
(৩)
কোনো মুসলিম মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে তার নিজের জন্য শাস্তি কামনা করেছিলো কিন্তু মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় তার ঐ কামনাকৃত শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য তওবা করে নি। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তিটি আল্লাহর সাথে কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে সুস্থ মস্তিষ্কে শরীক করার কারণে মুশরিক হয়ে যায় এবং ব্যক্তিটি এটাও বুঝতে পারে যে মুশরিক হয়ে গেছে। এরপরে মুশরিক অবস্থায় ঐ ব্যক্তিটি যদি মুসলমান থাকাকালীন অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে যে শাস্তি কামনা করেছিলো সেই শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য যদি তওবা করে ,তাহলে তার তাওবাহ কবুল হবে না। তবে যদি সে আবার ইসলাম কবুল করে নেয়, তারপর আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে , তাহলে তার তাওবাহ কবুল করা হবে। এবং তাকে শাস্তি থেকে মুক্তি দেয়া হবে।
(৪)যেসব জিনিস হালাল তাকে যদি কোনো মুসলিম মনে মনে হারাম মনে করে, এটা যদি নিজের ব্যাপারে মনে করা হয়, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে না। তবে এজন্য তার গোনাহ হবে। কিন্তু যদি সে সবার জন্য হারাম মনে করে , অর্থাৎ আল্লাহর হালালকৃত জিনিষকে সে হারাম মনে করে তাহলে তার ঈমান থাকবে না।
(৫) মহানবী (সাঃ) কে অবমাননা করেছে ফ্রান্স এজন্য প্রতিবাদ করা নিন্দা জ্ঞাপন করা আমাদের উপর ফরয। যদি ফ্রান্স এর পণ্য বয়কট এর এ গর্হিত কাজকে বন্ধ করা সম্ভব হয়, বা কিছুটা ভয় প্রদর্শন সম্ভব হয়, তাহলে পণ্য বয়কটও আমাদের উপর ফরজ । তবে শর্ত হল, এদ্ধারা মুসলামনদের কোনো প্রকার ক্ষতি হতে পারবে না।