হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ نِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مَائِلاَتٌ مُمِيلاَتٌ لاَ يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلاَ يَجِدْنَ رِيحَهَا وَرِيحُهَا يُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কাপড় পরিহিতা উলঙ্গিনী এবং পুরুষদেরকে নিজের প্রতি আকৃষ্টকারিণী স্ত্রীলোকগণ বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারবে না, বরং তাহারা বেহেশতের সুগন্ধও পাইবে না। অথচ ঐ সুগন্ধ পাঁচশত বৎসরের দূরত্ব হইতে অনুভূত হয়।
(মুওত্তা মালিক ১৬৯৩)
ইরশাদ হয়েছে-
نساء كاسيات عاريات مميلات مائلات ...
কতক নারী আছে যারা পোশাক পরেও নগ্ন, যারা (পরপুরুষকে) আকর্ষণকারী ও (পরপুরুষের প্রতি) আকৃষ্ট। যারা বুখতী উটের হেলানো কুঁজের মত মাথা বিশিষ্ট। এরা জান্নাতের সুবাস পর্যন্ত পাবে না।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস:২১২৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস:৮৬৬৫)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " لَا يَقْبَلُ اللهُ صَلَاةَ حَائِضٍ إِلَّا بِخِمَارٍ " . - صحيح
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা ওড়না ছাড়া সলাত আদায় করলে আল্লাহ তার সলাত কবুল করেন না।
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ ওড়না ব্যতীত মহিলাদের সালাতের ফাযীলাত নেই, হাঃ ৩৭৭, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা ওড়না পরে সালাত আদায় করবে, হাঃ ৬৫৫), আহমাদ (৬/১৫০, ২১৮), ইবনু খুযাইমাহ (৭৭৫), সকলেই হাম্মাদ ইবনু সালমাহ সূত্রে।
,
শরীয়তের মাসয়ালা হলো যদি নামাজের মধ্যে সতরের এক চতুর্থাংশ খুলে যায়,তিন তাসবিহ পড়া সমপরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামাজ হবেনা।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি শুধু ওড়না এমন হয়,তাহলে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে জামা বা পায়জামা যদি এমন হয়,যার দ্বারা শরীর দেখা যায়,তাহলে তার সতর খুলে যাওয়ার হুকুমেই।
সুতরাং তার উপরে যদি অন্য কোনো কিছু পরিধান না করা হয়,তাহলে এমন পাতলা কাপড় পরিধান করে নামাজ আদায় করলে নামাজ হবেনা।
(০৩)
শরীরের নাপাকি লেগে শুকিয়ে গেলেও তা পাক হবেনা।
সেটা নাপাকিই থাকবে।
,
তবে টাইলস,সাধারন ফ্লোরের বিধান আলাদা।
ইসলামি শরীয়াহ মতে মাটিতে পেশাব পড়ার পর তা শুকিয়ে গেলে এবং নাপাকির চিহ্ন তথা রং গন্ধ দূর হয়ে গেলেই উক্ত জমীন পাক হয়ে যায়। এছাড়া নাপাকী দ্বারা ভেজা জমীন বেশি পরিমাণ মাটি দ্বারা লেপে দিলেও তা পাক হয়ে যাবে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬২৯; শরহুল মুনয়া পৃ. ১৮৭; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ১/৪৯; ফাতহুল কাদীর ১/১৭৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২২৬)
জমিন বা পাকা মেঝে কিংবা টাইলস শুকিয়ে গেলে পবিত্র হয়ে যায়।একবার পবিত্র হয়ে গেলে আর অপবিত্র হবে না।
আরো জানুনঃ
,
কাপড়ে নাপাক লাগার পর যদি উক্ত নাপাক শুকিয়ে যায়, তাহলে উক্ত স্থানে হাত বা কাপড় লাগলে তা নাপাক হবে না। শুকানোর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, নাপাক লেগে শুকিয়ে যাওয়া কাপড় নিংড়ালে কোন কিছু বের হয় না। অর্থাৎ কোন কিছুতে তা লাগলে নাপাকের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় না। তাহলে যে কাপড় শুকিয়ে যাওয়া নাপাকে লেগেছে সে কাপড় ও স্থান নাপাক হয় না। সুতরাং পেশাব শুকিয়ে গেলে উক্ত স্থানে হাত লাগার দ্বারা হাতে নাপাকীর চিহ্ন না দেখা যায়, তাহলে হাত বা কাপড় নাপাক হবে না।