আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম, হুযুর, আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে। সময় করে একটু জানালে বেশ উপকার হবে।
১. কেউ যদি এমন বলে, যে যদি আমি এই কাজটি করি তাহলে যেন মউতের সময় ঈমান নসিব না হয়। ক্লাস ৮/৯ এ পড়ার সময় এমন একটা কাজ করা হয়ে গিয়েছিল আবার পরে কসমটাও ভেঙ্গে গিয়েছিল। তখন তো এত বুঝ ছিল না। বড় হবার পরে একটা হাদিসে এরকম দেখলাম যে, যদি কেউ এমন বলে তাহলে তাই হবে, আর যদি সত্য বলে তাহলেও ঈমান সালামত থাকবে না। (পুরোটা মনে নাই, আপনারা হয়তো এই হাদিস ভালো জানবেন)। এখন এই ব্যাক্তির কি ক্ষমা পাবার কোন আশা নেই?

২. তালাকের মজলিস নয়। এমনিতেই স্ত্রীর কোন কাজে বা কথায় স্বামী যদি রাগ করে বলে, ভালো না লাগলে চলে যাও। এটা কি স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক তালাকের অধিকার দেয়া বুঝায়? এই প্রেক্ষিতে যদি স্ত্রী কিছু না বলে তাহলে তো কোন সমস্যা নেই তাইনা?
৩. তালাকের অধিকার দেবার বাক্যে (যেমনঃ উপরের বাক্য) যদি স্বামী তালাকের নিয়ত করে তাহলে কি তালাক হয়?

৪. ক্যাডবেরীর চকোলেট খাওয়া কি হালাল? অনেক জায়গায় অনেকে হারাম বলে, কিন্তু ওরা ওদের ওয়েবসাইটে লিখেছে হালাল। এমতবস্থায় হালাল বলার পরেও যদি তারা হারাম কিছু মেশায়, যিনি খাবেন তার কি কোন গুনাহ হবে?

মেহেরবানী করে জানাবেন।
by (7 points)
 আপনি কোন হাদিসে ১ নং বিষয়টি পড়েছিলপন?
by (2 points)
সঠিক মনে নাই। তবে সিহাহ সিত্তাহ এর যে কোন একটিতে কসম এর অধ্যায়ে পড়েছিলাম। পুরোপুরি অর্থ এরকম ছিল কিনা মনে নাই। তাই এখানে জিজ্ঞাসা করলাম। 
by (2 points)
মুফতী ইমদাদুল হক দা.বা.,

হুযুর, ১ নং এর ক্ষেত্রে যদি তাওবা করা হয়, কাফফারা দিয়ে দেয়া হয়- তাহলে তো মউতের সময় ঈমান নসিব এবং আখিরাতে ক্ষমা পাবার আশা করা যেতে পারে, তাইনা? 

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) 
কেউ যদি এমন বলে, যে "যদি আমি এই কাজটি করি তাহলে যেন মউতের সময় ঈমান নসিব না হয়।" এদ্বারা কসম হয়ে যাবে। কসম ভেঙ্গে গেলে কাফফারা দিতে হবে। তবে ঐ ব্যক্তি কাফির হবে না।হ্যা, সতর্কতামূলক ঈমান নবায়ন এবং বিবাহকে দোহড়িয়ে নেয়াই উত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।
بہشتی زیور میں ہے:
"مسئلہ:  یوں کہا اگر فلانا کام کروں تو بے ایمان ہو کر مروں مرتے وقت ایمان نہ نصیب ہو بے ایمان ہو جاؤں یا اس طرح کہا اگر فلانا کام کروں تو میں مسلمان نہیں تو قسم ہو گئى اس کے خلاف کرنے سے کفارہ دینا پڑے گا اور ایمان نہ جائے گا۔"
(حصہ سوم ، ص: 145، قسم کھانے کا بیان، ط: توصیف پبلیشر)
فتاوی دارالعلوم دیوبند میں ہے:
"سوال: شخصے حلف کرد کہ بر زید ظلم وحق تلفی او نخواہم کرد اگر کنم پس من کافر و از شفاعت شفیع المذنبین بریم، پس اگر بر زید ظلم وحق تلفی او کند بموجب یمین خود کافر گرد و از شفاعت شفیع المذنبین بروخواہد شد یا نہ؟
(الجواب) این قسم ست کہ بصورتِ حنث کفارہ بر لازم شود، درکفر او بصورت حنث اختلاف است واضح انست کہ کافر نہ شود۔"(12 /35، باب الیمین، ط: دارالاشاعت)

بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع» (3/ 8):
"و لو قال: إن فعل كذا فهو يهودي أو نصراني أو مجوسي أو بريء عن الإسلام أو كافر أو يعبد من دون الله أو يعبد الصليب أو نحو ذلك مما يكون اعتقاده كفرا فهو يمين استحسانا 

(২)
স্ত্রীর কোন কাজে বা কথায় স্বামী যদি রাগ করে বলে, "ভালো না লাগলে চলে যাও"। এটা দ্বানা স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক তালাকের অধিকার দেয়া বুঝাবে না। এবং এই প্রেক্ষিতে যদি স্ত্রী কিছু না বলে, তাহলে তো কোন সমস্যাই নেই।

(৩)
"ভালো না লাগলে চলে যাও"। তালাকের নিয়তে বললেও তালাক হবে না।কেননা এখানে সাময়িক তালাকের অধিকার প্রদাণ বুঝানো হচ্ছে, তালাক নয়।

(৪)
আপনি যদি নিশ্চিত থাকেন যে, ক্যাডবেরীর চকোলেটে হারাম রয়েছে, তাহলে সেই চকোলেট খাওয়া জায়েয হবে না, নতুবা জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...