আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন নারী  চিকিৎসক। এমবিবিএস শেষ করে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য গাইনি সাবজেক্ট তাকে বেছে নিয়েছিলাম  শুধুমাত্র দ্বীনদার বোনদের খেদমতের জন্য । এবং এটার জন্য একটা পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সে চান্স পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। কোর্সটাতে দুই বছর চলে গেছে। টোটাল পাঁচ বছর কখনো বা বেশি লাগে। আমার একটা ছয় বছরের বাচ্চা আছে। বাচ্চাটাকে করার জন্য পার্মানেন্ট একজন কাজের মহিলা আছেন। আমার শাশুড়ি /মা কারো পক্ষেই আমার সাথে থাকা পার্মানেন্টলি। আমার স্বামী একজন চিকিৎসক। আমাদের দুজনকে প্রচন্ড ব্যস্ত থাকতে হয়। আমার স্বামীর সাথে আমার  বোঝাপড়ার সমস্যা আছে। আমার স্বামী কারো না করে না হুটহাট রেগে যায়, ছোটখাটো বিষয়ে রাগ করে। কথা বন্ধ করে দিয়ে দিনের পর দিন থাকে। মাঝেমধ্যে রাগ হলে ডিভোর্সের কথাও বলে। ইদানিং তো প্রায় ডিভোর্সের কথা বলছে। প্রায় দুই মাস আগে প্রচন্ড বড় একটা ঝগড়া হয়, সে আমাকে ডিভোর্স তার ফ্যামিলির সব মেম্বারদেরকে আসতে বলেন। সে রেগে গিয়ে বলে সে সুইসাইড করবে।  আমি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে বুঝিয়ে বলি সমস্তটাই আমার দোষ। আমি হয়তো সবকিছু হ্যান্ডেল করতে পারছি না।  রাগ হলেই সে বলে সে আমার বস সন্তুষ্ট না , আমি তার কাছে চক্ষু শীতলকারি নিশ্চয়ই হতে পারিনি। সেজন্য আমার ভয় হচ্ছে, আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে পারব তো?  আসলেও অনেক ক্ষেত্রে ঠিক আমি তাকে বুঝতেই পারছি না। আমার স্ট্রেসের  বিষয়টাও অনেক বড় একটা বিষয় আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে। আমার স্বামী ওই বড় ঝগড়াটার সময় একবার রাগ করে বলেছিল সে সুইসাইড করতে চায়। সে আমার প্রতি অনেক বেশি অসন্তুষ্ট। আমি জানি না আমার পক্ষ থেকে কোন কমতি খুঁজে পাই না। কিন্তু সে অনেক পারফেক্ট একটা মানুষ। এবং চাই আমিও সবকিছু পারফেক্টলি করি। কিন্তু ডিউটি পড়াশোনা প্রচন্ড প্রেসার সামলে আমার পক্ষে সংসার পারফেক্টলি সম্ভব হয় না। সে আবার আমার কোর্স করতে নিষেধও করে না ডিরেক্টলি। হসপিটাল এর কাছে বাসা নিয়ে থাকি। এবং কাজের মহিলার খরচ সমস্তটাই সে বহন করে। কিন্তু কারণে অকারনে রাগ করার কারণে, ডিভোর্স পর্যন্ত যাওয়ার  কারণে, আমার কাছে মনে হয়, আমাকে stress ফ্রি থাকতে হবে। তাহলে হয়তো তার আগে সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে পারব ইনশাল্লাহ। এসব চিন্তা করে ইস্তেখারা শুরু করি। প্রায় আড়াই মাস ইস্তেখারা করার পরেও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। একবার মনে হচ্ছে কোর্স ছেড়ে দিই।পুরোপুরি দিনকে আঁকড়ে ধরে থাকি। সাহাবীদের মত পুরোপুরি পর্দায় থাকি। আবার মনে হচ্ছে, কোর্স ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি বাসায় থাকলে ডিপ্রেশনে পড়ে যাব না তো?   অনেক আলেমরা বলেন,  নারী চিকিৎসকদের চাকরি করা জায়েজ আছে। কিন্তু আমার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমার জন্য কি হবে? একই ফতোয়া খাটবে?
কোর্স ছেড়ে দেয়ার কথা শুনে আমার স্বামী আমার বাবার সাথে আমার মার সাথে বিষয়টা শেয়ার করে, যাতে করে তারা স্বামীকে দোষ না দিতে পারে, সে বলে সিদ্ধান্তটা পুরাপুরি আমার।  আমার স্বামী বলেন আমার কোর্সের বিষয়ে উনার কোন সমস্যা নেই।  কিন্তু  অতিরিক্ত পড়াশোনা,অতিরিক্ত স্ট্রেস এগুলির জন্য আমার মেজাজের পরিবর্তন হলে,বা বাসার কোন কাজ ইনকমপ্লিট থাকলে উনি ঠিকই মন খারাপ করে থাকেন। আসলে,উনি আমার পড়াশোনার বিষয়ে,, কোন নোটস লাগলে, কোন কাজ বাইরে থেকে করতে হলে, হেল্প করেন না। বলেন তোমার কাজ তুমি করো । তোমার পড়াশোনার বিষয়ে আমি কোন হেল্প করতে পারবো না। এটা বুঝতেছিনা সে আমার পড়াশোনা বিষয়ে পজেটিভ আর নেগেটিভ।     ইদানিং তো,বেশি ভাবাচ্ছে আমাকে আল্লাহর ভয়টা।   আমি নিজেও আসলে চিন্তা করছি, আমি আজকে মারা গেলে, আল্লাহর কাছে ঠিকমত জবাবদিহি করতে পারব তো সবার হক সম্পর্কে?  আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন তো?
বাচ্চাটাকে বাসায় রেখে যাই একজন খাদিমার কাছে। ইদানিং খেয়াল করছি সে প্রচন্ড রেগে যাচ্ছে, অভিমান করছে, রাগ করে আমার থেকে দূরে গিয়ে বসে আছে, জেদ দেখাচ্ছে। কোর্সের  এত বেশি প্রেসার এর জন্য, তাকে ঠিক মতো সময় দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সামনে আবার পরীক্ষা। বড় পরীক্ষা। সেটাতে দিবো কিনা তাই চিন্তা করছিলাম। শায়খ, আমি কি   আমার বাচ্চার হক নষ্ট করছি? শুধুমাত্র দ্বীনদার  বোনদের খেদমতের উদ্দেশ্যে ক্যারিয়ার করতে গিয়ে, ফরজ নামাজ মাঝেমধ্যে দেরি হয়ে যেতে পারে /মিস হয়ে যেতে পারে, স্বামীর সাথে মাঝেমধ্যে বেশি ঝগড়া হতে পারে /আল্লাহ চাইলে নাও হতে পারে (আসলে আগের অভিজ্ঞতা খারাপ তো), একজন খাদিমা রেখেছি,  ওনার পর্দা লঙ্ঘন হচ্ছে আমার স্বামীর সামনে, এর জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে কিনা?  গাইনিতে যেহেতু সব মহিলা, কিছু কিছু সময় ওয়ার্ড বয় দাদু থাকে পুরুষ, অথবা অফিসিয়াল কাজে পুরুষদের সাথে কথা বলতে গিয়ে, কন্ঠের পর্দার লঙ্ঘন হয়ে যায়।  এক্ষেত্রে, দ্বীনদার বোনদের খিদমতের জন্য, এই যে বিষয়গুলি বললাম সেগুলি ছাড় দিয়ে এগিয়ে যাব কোর্স টাতে?????, আল্লাহ কি আমার এই উদ্দেশ্যের জন্য, বাকি সবগুলি বিষয়ে, যেসব কমতি থাকে, ফরজ তরক হয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে, সেগুলিকে আল্লাহ আমাকে ছাড় দিবেন?  নাকি কোর্সটা বাদ দিয়ে, বাসায় স্বামী সন্তানের হক নিয়ে সচেষ্ট থাকবো? আমার জন্য কোনটা ভালো হবে? দয়া করে বলবেন? মনটা খুব অস্থির হয়ে আছে। কোন একটা বিষয় সিদ্ধান্ত আসতে পারছিনা। সামনে যেহেতু পরীক্ষা কোর্সের জন্য পড়াশোনা করছি। আমার বাবা কখনো মতেই কোর্স ছাড়তে দিবেন না। কিন্তু আমি সবকিছুর উপরে আল্লাহর ভয় করছি। যদি এত সবকিছুর পরেও দ্বীনদার বোনদের খিদমতের উদ্দেশ্যে কোর্সটা কর আমার জন্য ঠিক হয় তাহলে আমি হয়তো কোর্স কন্টিনিউ করব। আর যদি ঠিক না হয়  এমত অবস্থায় কোর্সটা হয়তো বাদ দিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ। মৃত্যুর পরের জিন্দেগীর ভয় করছি। ।কোর্স চলাকালীন সময়ে, ডিউটি পড়াশোনার প্রেসার, আবার এদিকে স্বামীর  কথা বলা বন্ধ করে রাখা , এগুলি আমাকে খুব কষ্ট দেয় এত স্ট্রেস নিতে পারি না। দেখা যায় বাচ্চার সাথে অনেক সময় রিয়েক্ট করে ফেলি। দয়া করে আমার সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে, একটা সঠিক সমাধান দিবেন। আলেমরা অনেক সময় বলেন, ছোট ক্ষতি করে হলো বড় কোন লাভ অর্জন হলে সেটা করা জায়েয আছে। এক্ষেত্রে আমার এই কোর্সটা করাটা কি জায়েজ হবে? আমি কি আমার পোস্টটা কন্টিনিউ করে যাব কিনা?, সবদিক থেকে ধকল সামলাইতে হবে, কোর্স ছেড়ে দিলে। কিন্তু ইনশাল্লাহ আল্লাহর ভয়টা এখানে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে। এক্ষেত্রে কোর্স কন্টিনিউ করার হুকুম থাকলে সেটাই করব ইনশাআল্লাহ। আমাকে দয়া করে একটু সঠিক সমাধান দিবেন। কাইন্ডলি। আমার শ্বশুর বাড়ির লোক যেন চান আমি কোর্স কন্টিনিউ করি। আমাদের এই গাইনি ডিউটিতে আমাকে নাইট করতে হবে। সেক্ষেত্রেও বাচ্চা এবং হাজবেন্ড, কষ্ট পেতে পারে। যদি আমার হাজবেন্ডের এক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই উনার ভাষায়। উনি অনেক বেশি ইন্ট্রভার্টেড। সেজন্য ওনার মনের আসল কথাটা জানা সহজ না আমার জন্য। সমাধান দেওয়ার পাশাপাশি আমার জন্য দোয়াও করবেন।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/39894/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
পর্দা রক্ষা করা ফরজ। 

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَنْ تَنْكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ أَبَدًا إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

বিখ্যাত তাফসীরবিদ ইমাম কুরতুবী রাহ. উক্ত আয়াতের আলোচনায় বলেন, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর স্ত্রীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে পর্দার আড়াল থেকে কিছু চাওয়া বা কোনো মাসআলা জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিয়েছেন। সাধারণ নারীরাও উপরোক্ত হুকুমের অন্তর্ভুক্ত। (তাফসীরে কুরতুবী ১৪/১৪৬)

★অসুস্থ্য মানুষদের সেবা করাও সওয়াবের কাজ। যেহেতু মহিলাদের  জন্য মহিলা ডাক্তারের প্রয়োজন। 
তাই মহিলাদের জন্য পর্দার বিধান পুরোপুরি ভাবে পালনের শর্তে ডাক্তারী শিক্ষা অর্জন করা,ডাক্তারী করা জায়েজ আছে।  
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৪/২৫৬)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ইসলামি স্কলারগন  মুসলিম মহিলাদের মেডিকেল পড়াকে ফরযে কিফায়া বলেছেন। অর্থাৎ মুসলিমদের মধ্যে অবশ্যই কিছু মহিলার এ পেশায় আসা আবশ্যক যেন মহিলা সংক্রান্ত অসুখ-বিসুখ, সিজার, সন্তান ডেলিভারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুসলিম নারীদেরকে পর পুরুষ বা অমুসলিমদের শরণাপন্ন না হতে হয়।

সুতরাং সমাজের অর্থশালী ও উদ্যোগী ব্যক্তিদের জন্য মহিলাদের জন্য স্বতন্ত্র মেডিকেল কলেজ/ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা ফরজ- যেন আমাদের দ্বীনদার বোনেরা পর পুরুষ থেকে আলাদা থেকে নির্বিঘ্নে এ বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে পারে।

তবে স্বতন্ত্র ব্যবস্থা না থাকলেও দীনী কিছু বোনেরা পূর্ণ পর্দা ও শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে থেকে প্রচলিত সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেডিকেল বা নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করবেন এবং ভবিষ্যতে মহিলাদের জন্য আলাদা মেডিক্যাল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা (আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটি)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে,
قد تجد الطبيبة حرجا وصعوبات في تغطية وجهها عن غير المحارم أثناء عملها، فهل هذا يعتبر من الضرورة لكشفه؟
মহিলা ডাক্তার তার কর্মস্থলে ডিউটি করার সময় পরপুরুষের সামনে চেহারা ঢেকে রাখতে সমস্যা ও কষ্ট হয়। সুতরাং চেহারা খোলা রাখার জন্য এটাকে জরুরত হিসেবে গণ্য করা যাবে কিনা?

তাঁরা উত্তর দিয়েছেন,
يحرم على المرأة كشف وجهها لغير محارمها، وليس هناك ضرورة لكشف الوجه في العمل
নারীর জন্য পরপুরুষের সামনে চেহারা খোলা রাখা হারাম। আর ডিউটি করার সময় প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে চেহারা খুলে রাখার জরুরত বিদ্যমান নেই। (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১৭/২৭৭)

বিস্তারিত জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
নারীদের মেডিক্যালে পড়াশোনা করা,ডাক্তার/নার্স হওয়া জায়েজ আছে।
তবে পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করতে হবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।    
শুধুমাত্র নারীদের সেবা করতে হবে।  
সহকর্মীদের সাথে পর্দা মেইনটেইন করে কথা বলবে,অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা থেকে হেফাজতে থাকবে।

উপরোক্ত শর্তগুলি পূর্ণ রুপে মেনে পুরো শরীর,চেহারা,হাতা পা ঢেকে পর্দা করে মহিলাদের জন্য মেডিকেলে লেখাপড়া করা জায়েজ হবে।   

সহ শিক্ষার বিধান জানুনঃ- 

আরো জানুনঃ 

উম্মাহ এর খিদমাহ এর স্বার্থে,পর্দানশীন নারী রোগী দের পর্দা রক্ষার্থে সার্জারিতে দ্বীনদার মহিলা ডাক্তারদের ক্যারিয়ার করা জায়েজই শুধু নয়,বরং এটি
বর্তমান সময়ে অতিব প্রয়োজন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পরামর্শ থাকবে, আপনি আপনার স্বামীকে নিয়ে একান্তে আলোচনা করবেন।
তার থেকে জেনে নিবেন যে তিনি আপনাকে সন্তুষ্টি চিত্তে কোর্স চালু রাখতে বলতেছেন কিনা?
তিনি আপনাকে সন্তুষ্টি চিত্তে চিকিৎসার কাজ চালিয়ে যেতে বলছেন কিনা?

তার কথা মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ থাকবে।

পাশাপাশি স্বামীর অন্তরে আপনার মুহাব্বত বৃদ্ধির জন্য যথাযথ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

স্বামীর হক পূর্ণ ভাবে আদায় করতে হবে। 

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...