জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এক্ষেত্রে জন্ম সনদ,ভোটার আইডি কার্ড হতে নাম সংশোধন করে সেই নাম লিখে নিবেন।
নতুন নামেই আপনার পরিবার ও পরিচিতদের ডাকতে বলবেন।
আকীকার প্রয়োজন নেই।
(০২)
এক্ষেত্রে মূল শব্দ হলো
مَرْيَم
[উচ্চারণ, মার্ইয়াম]
মরিয়ম (আ): হযরত ঈসা (আ)-এর মা
সূরা মার্ইয়াম: পবিত্র কোরআনের ১৯তম সূরা।
মরিয়ম বা মারিয়াম উভয়টি সঠিক,দুইটার অর্থ একই। এক্ষেত্রে আসল শব্দ হলোঃ মার্ইয়াম।
(০৩)
আখেরাতে সে এর প্রতিদান পাবে।
আগে সে মন্দ কাজের প্রতিদান পাবে। তারপর ভালো কাজের।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ خَیۡرًا یَّرَہٗ ؕ﴿۷﴾
কেউ অণু পরিমাণ সৎকাজ করলে সে তা দেখবে।
(সুরা যিলযাল ০৭)
এ আয়াতে خير বলে শরীয়তসম্মত সৎকর্ম বোঝানো হয়েছে; যা ঈমানের সাথে সম্পাদিত হয়ে থাকে। কেননা, ঈমান ব্যতীত কোন সৎকর্মই আল্লাহর কাছে সৎকর্ম নয়। কুফর অবস্থায় কৃত সৎকর্ম আখেরাতে ধর্তব্য হবে না যদিও দুনিয়াতে তার প্রতিদান দেয়া হয়। তাই এ আয়াতকে এ বিষয়ের প্রমাণস্বরূপ পেশ করা হয় যে, যার মধ্যে অণু পরিমাণ ঈমান থাকবে, তাকে অবশেষে জাহান্নাম থেকে বের করে নেয়া হবে। কেননা, এ আয়াতের ওয়াদা অনুযায়ী প্রত্যেকের সৎকর্মের ফল আখেরাতে পাওয়া জরুরী। কোন সৎকর্ম না থাকলেও স্বয়ং ঈমানই একটি বিরাট সৎকর্ম বলে বিবেচিত হবে। ফলে মুমিন ব্যক্তি যতবড় গোনাহগারই হোক, চিরকাল জাহান্নামে থাকবে না। কিন্তু কাফের ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন সৎকর্ম করে থাকলে ঈমানের অভাবে তা পণ্ডশ্রম মাত্র। তাই আখেরাতে তার কোন সৎকামই থাকবে না।
(০৪)
এই দোয়া কবুল করা না করা সবই আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাধীন।
(০৫)
★সদকায়ে জারিয়া হচ্ছে-কোন জিনিষ আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ করে দেওয়া,ওয়াকফ করা ব্যতীত সদকায়ে জারিয়া হবে না। যেমন হাদীসের মধ্যে এসেছে..................
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇﺫﺍ ﻣﺎﺕ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﺍﻧﻘﻄﻊ ﻋﻨﻪ ﻋﻤﻠﻪ ﺇﻻ ﻣﻦ ﺛﻼﺛﺔ : ﺇﻻ ﻣﻦ ﺻﺪﻗﺔ ﺟﺎﺭﻳﺔ، ﺃﻭ ﻋﻠﻢ ﻳﻨﺘﻔﻊ ﺑﻪ، ﺃﻭ ﻭﻟﺪ ﺻﺎﻟﺢ ﻳﺪﻋﻮ ﻟﻪ
তরজমা- তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “মানুষ মরে গেলে তার আমল বন্ধ হয়ে যায়; তবে তিনটি আমল ব্যতীত: সদকায়ে জারিয়া, উপকারী ইলম কিংবা নেক সন্তান; যে তার জন্য দুআ করে।”[সহিহ মুসলিম (১৬৩১)
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোথাও কোনো মসজিদ/মাদ্রাসা নির্মান হলে আপনি সেই নির্মানকাজে টাকা দান করতে পারেন।
(০৬)
এক্ষেত্রে সে কি কাজ করবে,তা তো আপনি জানতেননা।
আপনি ফকির মিসকিনকে দান করলে অবশ্যই ছওয়াব পাবেন।
(০৭)
ঘরে সকলেত সামনে টপ পড়া যাবেনা।
এটা শালীনতার খেলাফ।
শুধুমাত্র স্বামীর সামনে পড়া যাবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৮)
এক্ষেত্রে কোনো আযাব বা শাস্তি হবেনা।
তবে এটি অনুত্তম।
বিস্তারিত জানুনঃ-