আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
১)দান ও সাদাকাহ এই ২ টার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কি? আমি সাধারণ দান ও সাদাকাহ এই দুইটির মধ্যে পার্থক্য জানতে চাচ্ছি। আমাকে সহজভাবে ২ টার উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিবেন। এই ২ টার মধ্যে কি মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য আছে?

২)২ টার মধ্যে কোনটা বেশি উত্তম? সাধারণ দান নাকি সাদাকাহ উত্তম?

৩) সাধারণ দান করার সময় নিজের পক্ষ থেকে+দানের সাওয়াব যাতে কোনো মৃত ব্যক্তির আমলনামায় ও যায় এই নিয়ত করা যাবে?

৪) সাদাকাহ করার সময় নিজের পক্ষ থেকে+সাদকাহ এর সাওয়াব কোনো মৃত ব্যক্তির আমলনামায় ও যায় এই নিয়ত করা যাবে?

৫) আমার ওপর সাদাকাতুল ফিতরা ওয়াজিব কিনা বুঝবো? মানে কতটুকু সম্পদ থাকতে হবে? নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কি সম্পদ থাকা আবশ্যক কিনা?

৬) এক জায়গায় শুনেছিলাম যে রমজানে রোযা অবস্থায় আমাদের দ্বারা অনেক ভুল-ভ্রান্তি হয়ে যায়, সেইসব ভুল ভ্রান্তির কাফফারা স্বরূপ নাকি ফিতরা আদায় করা হয়? এইটা সঠিক? এই নিয়তে ফিতরা দেয়া যাবে?

৭) ঈদের আগেই রমজানের সময়ে কি ফিতরা দেয়া যাবে? আর পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে শুধু একজন আদায় করলেই হবে? যেমন আমার পরিবারে আমি আর আমার মা আছি দুইজনেই চাকরি করি। এক্ষেত্রে দুইজনকে আলাদা আলাদা ফিতরা আদায় করতে হবে?
৮) ফিতরা কখন দিতে হয়? মানে রমজান মাসে নাকি ঈদের দিন?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ইসলামি পরিভাষায় দান করাকেই সদকা বলা হয়। 

সদকা শব্দটি এসেছে আরবি ‘সিদকুন’ থেকে। অর্থ: সত্যতা, যথার্থতা। পরিভাষায় সদকা বলা হয়, একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার লক্ষ্যে স্বীয় সম্পদ ব্যয় করা।

সদকা দুই প্রকার। 
এক, আবশ্যকীয় যেমন যাকাত।
দুই, নফল দান।
,
এই নফল দান তথা যেটি আবশ্যকীয় নয়,সেটি আবার দুই প্রকার।
,
(১) সাধারণ সদকা (২) সদকায়ে জারিয়া। গরিব দুঃখীকে টাকা পয়সা দান করা, ভালো ব্যবহার করা সাধারণ সদকার অন্তর্ভুক্ত।

আর সাদকায়ে জারিয়া বলা হয় ঐ সমস্ত সৎকর্ম যেগুলোর কল্যাণকারিতা স্থায়ী হয়। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَمَثَلُ الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمُ ابْتِغَاء مَرْضَاتِ اللّهِ وَتَثْبِيتًا مِّنْ أَنفُسِهِمْ كَمَثَلِ جَنَّةٍ بِرَبْوَةٍ أَصَابَهَا وَابِلٌ فَآتَتْ أُكُلَهَا ضِعْفَيْنِ فَإِن لَّمْ يُصِبْهَا وَابِلٌ فَطَلٌّ وَاللّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

‘যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এবং নিজের মনকে সুদৃঢ় করার জন্যে তাদের উদাহরণ টিলায় অবস্থিত বাগানের মতো, যাতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়; অতঃপর দ্বিগুণ ফসল দান করে। যদি এমন প্রবল বৃষ্টিপাত না-ও হয়, তবে হাল্কা বর্ষণই যথেষ্ট। আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম যথার্থই প্রত্যক্ষ করেন।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ২৬৫)

مَثَلُ الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنْبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنْبُلَةٍ مِائَةُ حَبَّةٍ وَاللَّهُ يُضَاعِفُ لِمَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ

‘যারা আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয় করে তার উদাহরণ হচ্ছে সেই বীজের মতো যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। আর প্রতিটি শীষে একশতটি করে দানা থাকে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অতিরিক্ত দান করেন। আল্লাহ সুপ্রশস্ত সুবিজ্ঞ।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ২৬১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي الْحُبَابِ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ وَلَا يَقْبَلُ اللَّهُ إِلَّا طَيِّبًا كَانَ إِنَّمَا يَضَعُهَا فِي كَفِّ الرَّحْمَنِ يُرَبِّيهَا كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ أَوْ فَصِيلَهُ حَتَّى تَكُونَ مِثْلَ الْجَبَلِ

সায়ীদ ইবনে ইয়াসার (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি হালাল উপায়ে অর্জিত মাল সদকা করে, আল্লাহ তা’আলা হালাল অর্থাৎ পবিত্রকেই কবুল করেন – তাহা হইলে উক্ত সদকা সে আল্লাহর হাতে দিল। আল্লাহ্ পাক তাহাকে এইভাবে লালন-পালন করেন, যেইভাবে তোমরা ঘোড়ার বাচ্চা কিংবা উটের বাচ্চা লালন-পালন কর। শেষ পর্যন্ত সেই সদকা (বর্ধিত হইয়া) পর্বতসমান হইয়া যায়।
(মুওত্তা মালিক ১৮৭২)

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ كَانَ أَبُو طَلْحَةَ أَكْثَرَ أَنْصَارِيٍّ بِالْمَدِينَةِ مَالًا مِنْ نَخْلٍ وَكَانَ أَحَبَّ أَمْوَالِهِ إِلَيْهِ بَيْرُحَاءَ وَكَانَتْ مُسْتَقْبِلَةَ الْمَسْجِدِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَاءٍ فِيهَا طَيِّبٍ قَالَ أَنَسٌ فَلَمَّا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ قَامَ أَبُو طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ وَإِنَّ أَحَبَّ أَمْوَالِي إِلَيَّ بَيْرُحَاءَ وَإِنَّهَا صَدَقَةٌ لِلَّهِ أَرْجُو بِرَّهَا وَذُخْرَهَا عِنْدَ اللَّهِ فَضَعْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ حَيْثُ شِئْتَ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَخْ ذَلِكَ مَالٌ رَابِحٌ ذَلِكَ مَالٌ رَابِحٌ وَقَدْ سَمِعْتُ مَا قُلْتَ فِيهِ وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَجْعَلَهَا فِي الْأَقْرَبِينَ فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ أَفْعَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَسَمَهَا أَبُو طَلْحَةَ فِي أَقَارِبِهِ وَبَنِي عَمِّهِ

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, মদীনার আনসারগণের মধ্যে আবু তালহা (রাঃ) ছিলেন সর্বাধিক ধনী ব্যক্তি। তাঁহার সবচাইতে অধিক খেজুর বৃক্ষ ছিল। সমুদয় বাগানের মধ্যে ‘বাইরহা’ নামক বাগানটি ছিল তাহার (আবু তালহার) অধিক পছন্দনীয়। বাগানটি মসজিদে নববীর সামনেই অবস্থিত ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম সেই বাগানে প্রায়ই আসা-যাওয়া করিতেন। সেখানকার পানি খুবই উত্তম ছিল, তিনি তাহা পান করিতেন। আনাস (রাঃ) বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হইলঃ (لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ) অর্থাৎ যতক্ষণ তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু (আল্লাহর রাহে) খরচ না করিবে, ততক্ষণ তোমরা সওয়াব পাইবে না)। তখন আবু তালহা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট আসিয়া বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ তা’আলা বলেন যে, যতক্ষণ তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু (আল্লাহর রাহে) খরচ না করিবে, ততক্ষণ তোমরা সওয়াব পাইবে না। আর আমার প্রিয় বস্তু হইল এই ‘বাইরহা’। আমি ইহাকে আল্লাহর রাস্তায় সদকা করিলাম। ইহার বিনিময়ে আমি নেকীর আশা রাখি এবং ইহা আল্লাহর নিকট জমা রাখিতেছি। সুতরাং ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি ইহাকে যেভাবে ইচ্ছা কবুল করুন। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, বাহবা! ইহা অত্যন্ত লাভজনক মাল, ইহা অত্যন্ত লাভজনক মাল। তুমি এই বাগান সম্বন্ধে যাহা কিছু বলিয়াছ আমি উহা শ্রবণ করিয়াছি। আমার মনে হয়, তুমি ইহাকে তোমার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করিয়া দাও। আবু তালহা বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি উহা বিতরণ করিয়া দিব। অতএব আবু তালহা (রাঃ) তাহার আত্মীয়-স্বজন ও চাচাত ভাইগণের মধ্যে উহা বন্টন করিয়া দিলেন।
(মুওত্তা মালিক ১৮৭৩)

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ لِكَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ أَعَاذَكَ اللهُ مِنْ إِمَارَةِ السُّفَهَاءِ قَالَ وَمَا إِمَارَةُ السُّفَهَاءِ قَالَ أُمَرَاءُ يَكُونُونَ بَعْدِي لَا يَقْتَدُونَ بِهَدْيِي وَلَا يَسْتَنُّونَ بِسُنَّتِي فَمَنْ صَدَّقَهُمْ بِكَذِبِهِمْ وَأَعَانَهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَأُولَئِكَ لَيْسُوا مِنِّي وَلَسْتُ مِنْهُمْ وَلَا يَرِدُوا عَلَيَّ حَوْضِي وَمَنْ لَمْ يُصَدِّقْهُمْ بِكَذِبِهِمْ وَلَمْ يُعِنْهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَأُولَئِكَ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُمْ وَسَيَرِدُوا عَلَيَّ حَوْضِي يَا كَعْبُ بْنَ عُجْرَةَ الصَّوْمُ جُنَّةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيئَةَ وَالصَّلَاةُ قُرْبَانٌ أَوْ قَالَ بُرْهَانٌ يَا كَعْبُ بْنَ عُجْرَةَ إِنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نَبَتَ مِنْ سُحْتٍ النَّارُ أَوْلَى بِهِ يَا كَعْبُ بْنَ عُجْرَةَ النَّاسُ غَادِيَانِ فَمُبْتَاعٌ نَفْسَهُ فَمُعْتِقُهَا وَبَائِعٌ نَفْسَهُ فَمُوبِقُهَا

জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’ব বিন উজরাহকে বললেন, ‘‘আল্লাহ তোমাকে নির্বোধ (আমীর) দের শাসনকাল থেকে আশ্রয় দিন।’’ কা’ব বললেন, ‘নির্বোধ (আমীর) দের শাসনকাল কি?’ তিনি বললেন, ‘‘আমার পরবর্তীকালে এক শ্রেণীর আমীর হবে; যারা আমার আদর্শে আদর্শবান হবে না এবং আমার তরীকাও অবলম্বন করবে না। সুতরাং যারা (তাদের দ্বারে দ্বারস্থ হয়ে) তাদের মিথ্যাবাদিতা সত্ত্বেও তাদেরকে সত্যবাদী মনে করবে এবং অত্যাচারে (ফতোয়া ইত্যাদি দ্বারা) তাদেরকে সহযোগিতা করবে তারা আমার দলভুক্ত নয় এবং আমিও তাদের দলভুক্ত নই। তারা আমার ‘হওয’ (কাওসারের) পানি পান করার জন্য উপস্থিত হতে পারবে না।
আর যারা তাদের মিথ্যাবাদিতায় তাদেরকে সত্যবাদী জানবে না এবং অত্যাচারে তাদেরকে সহযোগিতা করবে না তারা আমার দলভুক্ত, আমিও তাদের দলভুক্ত এবং আমার ‘হওয’ (কাওসারের) পানি পান করার জন্য উপস্থিত হতে পারবে।
হে কা’ব বিন উজরাহ! সিয়াম হল ঢাল স্বরূপ, সদকাহ (দান-খয়রাত) পাপ মোচন করে এবং নামায হল (আল্লাহর) নৈকট্যদাতা অথবা তোমার (ঈমানের) দলীল।
হে কা’ব বিন উজরাহ! সে মাংস (দেহ) জান্নাতে প্রবেশ করবে না; যা হারাম খাদ্যে প্রতিপালিত হয়েছে। তার জন্য তো দোযখই উপযুক্ত।
হে কা’ব বিন উজরাহ! মানুষের প্রাত্যহিক কর্মপ্রচেষ্টা দুই ধরনের হয়ে থাকে; কিছু মানুষ তো নিজেদেরকে (সৎকর্মের মাধ্যমে) ক্রয় করে (দোযখ থেকে) মুক্ত করে নেয়। আর কিছু মানুষ (অসৎকর্মের মাধ্যমে) নিজেদেরকে বিক্রয় করে ধ্বংস করে দেয়।

(আহমাদ ১৪৪৪১, বাযযার ১৬০৯ , ত্বাবারানী, ইবনে হিব্বান, সহীহ তিরমিযী ৫০১)
,
(০২)
ইসলামি পরিভাষায় দান করাকেই সদকা বলা হয়। সুতরাং উভয়টি একই বস্তু।

(০৩)
এই নিয়ত করা যাবে।

(০৪)
এই নিয়ত করা যাবে।

(০৫)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৬)
কেহ কেহ এমনটি বলে থাকেন।
তবে ফিতরা মূলত গরিব ঈদের আয়োজন উপলক্ষে দেয়া হয়। যাতে তারাও ঈদের কেনাকাটা করে ঈদের আনন্দ করতে পারে।

(০৭)
রমজান মাসে ফিতরা আদায় করলে আদায় হবে।
পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে শুধু একজন আদায় করলেই হবে।
আলাদা আলাদা ভাবে আদায় করলেও হবে।

(০৮)
ঈদের দিন ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা আদায় করে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 49 views
...