আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
242 views
in সালাত(Prayer) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ

আমি একটি প্রাইভেট কম্পানিতে ইন্টারভিউ দিয়েছি। আমার ইন্টারভিউ ভালো হয়েছে। জব হয়ে গেলে ২-১ দিনের মধ্যে তারা আমাকে ফোন কল করবে এবং জানতে চাইবে আমি কবে জয়েন করবো। আমি সন্দেহ করছি চাকরি হবে কি হবেনা কিংবা হলেও জয়েন করবো কি করবো না। কারন ঢাকা শহরের পরিবেশ আমার কাছে সুখকর না , আর আমার ডিউটি থাকবে ১০-১২ ঘন্টা সাথে মানসিক চিন্তা তো আছেই।আমি অন্য কম্পানিতেও সিভি দিয়েছি এবং তারাও আমাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকবে।

আমি ইস্তিখারা বিষয়ে জানি ইং শা আল্লাহ্। কিন্তু আমি সমস্যার আছি টাইমিং টা নিয়ে। আসলে কখন করতে হবে। আমি কি এখনই ইস্তিখারা শুরু করবো? আর এটার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে? অর্থাৎ কয় বার পড়া লাগবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা আছে? নাকি আমি যতবার মনে চায় পড়তে পারবো?
আমার আরো প্রশ্ন হলো আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা। অথচ তার আগেই কল এসে গেল তখন আমি জবে জয়েনের ব্যাপারে তাদের কিভাবে কথা দিবো? আবার কথা দিলাম এরপর আমি বুঝতে পারলাম যে এটা কল্যানকর না। তাহলে তাদের কাছে আমার দেওয়া কথা আমি কিভাবে রাখবো?

1 Answer

0 votes
by (687,000 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। 

ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে। তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে। 

যেমন হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

 عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ: 

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়ে,,,

দু'আ সহ এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
ইস্তেখারাকৃত বিষয়টির ফায়সালা কিভাবে বুঝতে পারবে? কোন পদ্ধতিতে তা জানা যাবে? এ নিয়ে উলামায়ে কেরাম থেকে একাধিক পদ্ধতি জানা যায়।
উক্ত আমল শেষ করে কারো সাথে কথা না বলে কিবলামুখী হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। ঘুম থেকে জাগার পর মন যেদিকে সায় দিবে, বা যেদিকে আগ্রহী হয়ে উঠবে, সেটিই ফলাফল মনে করবে। [তুহফাতুল আলমায়ী-২/৩৩৮, বেহেশতী জেওর]

বাকি এছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি আছে,তবে সেসব  পদ্ধতিকে রাসূল সাঃ থেকে প্রমাণিত পদ্ধতি বলা যাবে না। বাকি একদম বাতিল পদ্ধতিও বলা ঠিক নয়। কারণ এটি জানার পদ্ধতি যেহেতু কোন দ্বীনী বিষয় নয়। বরং দুনিয়াবী বিষয়ের ফায়সালা জানতে এমনটি করা হয়ে থাকে, তাই এটির ক্ষেত্রে মানুষের অভিজ্ঞতার একটি দখল রয়েছে।
,
কারো অভিজ্ঞতায় যদি এমন আমল করার দ্বারা ইস্তেখারাকৃত বিষয়ের ফলাফল স্পষ্ট হয়, তাহলে সে
এর উপর আমল করতে পারে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইস্তেখারা করে  কোনো দিকে মন ধাপিত হওয়ার পূর্বেই যদি কল এসে যায়,তাহলে আপনি জানাবেন যে আমাকে কিছু দিন সময় দিন।
যদি আপনি কথা দিয়ে দেন,অতঃপর আপনার মন এই দিকে ধাপিত হয় যে এটা কল্যানকর না, তাহলেই আপনি যদি তাদের সাথে কথার বিপরিত করেন,তাহলে ওয়াদা খেলাফের গুনাহ হবে।
,
আপনি তখন তাদেরকে এই ভাবে বুঝাবেন যে,দুঃখিত।
ব্যাক্তিগত সমস্যার কারনে আমি উক্ত চাকরিতে জয়েন হতে পারছিনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (34 points)
উস্তাদ, কয়বার আদায় করতে হবে জানতে চাচ্ছি। একবারই আদায় করব? নাকি সিদ্ধান্ত আশার পূর্বে যতবার ইচ্ছা আদায় করতে পারবো?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...