আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in সালাত(Prayer) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
গতকাল ৮:৩০ এর  দিকে আমি অজু করে ৮:৪০ এর দিকে এশার নামাজ পড়তে বসি। এরপর ১০:১০ এর দিকে নামাজ শেষ করি। এরপর যখন রাত  ১১ঃ৫০ ঘুমাতে যায়, তখন দেখি চোখের নিচে একটু ময়লা আমি বুঝতে পারছি না এই ময়লা থাকার কারণ আমার নামাজের কোনো সমস্যা হলো নাকি? আমার অজু হয়েছে নাকি?? আসলে আমি তো জানিই না কখন ময়লা লেগেছে।

2.নামাজে আমার খুব ওয়াসওয়াসা হয় । নামাজে যখন তেলাওয়াত করি তখন আইনের উচ্চারণ করতে পারিনা। কিন্তু সালাতের বাইরে করতে পারি। হয়তো ওয়াসওয়াসার কারণে এরকম হয়। যেসব জায়গায় আইন আছে যেমন :সূরা ফাতিহার শেষের দিকে, তাশাহুদ পাঠের শেষের দিকে, দরুদ  এরকম জায়গাগুলোতে আমি আর কোনভাবেই মুখ দিয়ে আইনের  উচ্চারণ বের করতে পারি না।  আইন মনে হয় পুরোপুরি উচ্চারিত হলো না। আমি অনেকবার চেষ্টা করি,, নামাজের মধ্যে অনেক সময় এই মাখরাজের কারণে আমার চার রাকাত নামাজ পড়তে  ৪৫ মিনিট -১ ঘন্টা লেগে যায়। নামাজের মধ্যে আমি কষ্টের কারণে কেঁদে  ফেলি। একটা উচ্চারণ প্রায় ১০-১৫ বার বলার পরে হয়তো ঠিক হয়। নামাজের মধ্যে এতবার বলা কি ঠিক হবে এতবার বলতে আমার ধৈর্য থাকে না। এ কারণে আমি রাকাত সংখ্যা, সিজদার সংখ্যা ভুলে যায়।  এক্ষেত্রে আমার কি করনীয়??নামাজের মধ্যে যতবার উচ্চারণ সঠিকভাবে না হচ্ছে ততবারই কি বলতে থাকবো??  নাকি ২-৩ বার বলার পরে যদি আর উচ্চারণটি না আসে তাহলে যেভাবে উচ্চারণ করতে পারি সেভাবেই করে পরের পরের তিলাওয়াতে চলে যাবো?? দয়া করে একটু জানাবেন

3.নামাজ শুরু করার পর নামাজ ভেঙ্গে দিই তাহলে কি গুনাহ হবে অ?? অনেক সময় কেবল নামাজে দাঁড়ালাম,,, কিন্তু কোন কারণে তেলাওয়াত করতে পারতে থেমে যায়। তখন যদি আমি সাহু সিজদা দেওয়ার নিয়ত করি তাহলে আমার শেষ পর্যন্ত মনে থাকে না।হয়তো ওয়াসওয়াসার কারণে এমন হয়।
এজন্য নামাজ শুরুর পরপরই এমন হলে নামাজ ভেঙে দিয়ে  পুনরায়  নামাজ শুরু করি। এ জাতীয় কোনো কারণে  যদি নামাজ ভেঙ্গে দিই তাহলে কি গুনাহ হবে??

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো অযুতে সেই সমস্ত অঙ্গ ধোয়া ফরন,যদি সেগুলোর ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে  ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে। 

হযরত আবু তামীম জায়শানী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. যখন অযু করতেন আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা করতেন।

(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬); মাবসূত, সারাখসী ১/১০; আদ্দুররুল মুখতার ১/১২৬; আলবাহরুর রায়েক ১/১৩; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ৪২৮)

বিস্তারিত  জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে চোখের নিচের যদি এমন হয় যে তাহা ত্বকে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে,তাহলে কোনো সমস্যাই নেই।

আপনার অযু হয়েছে,নামাজও হয়েছে। 

★চোখের নিচের যদি এমন হয় যে তাহা ত্বকে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তাহলে আপনার প্রবল ধারণা দেখতে হবে।
আপনার মনের যদি প্রবল ধারণা হয় যে এই ময়লা অযুর পর জমেছে,তাহলে ধরে নিতে হবে যে আপনার অযু হয়েছে,নামাজও হয়েছে। 

★আর যদি আপনার মনের  প্রবল ধারণা হয় যে এই ময়লা (ত্বকে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী) অযুর আগে থেকেই জমে ছিলো,যাহা চলে যায়নি,তাহলে ধরে নিতে হবে যে আপনার অযু হয়নি,নামাজও হয়নি। 

অযু ভেঙ্গে যাওয়ার মতো কোনো কিছু না হলে এক্ষেত্রে পুরো অযু সম্পূর্ণ ভাবে আবারো করতে হবেনা।
বরং সেই ময়লা তুলে সেই স্থান ভালো করে ধোয়াই যথেষ্ট।

(০২)
আপনি কিরাআত স্প্রিটে না পড়ে ধীরে পড়ার চেষ্টা করবেন। স্পট উচ্চারণ করবেন। থেমে পড়তে পারেন। নিজের কানে আসার মতো আওয়াজ করে উচ্চারণ করবেন,আর ওয়াসওয়াসকে পাত্তা দিবেননা। 
তাহলে উপরোক্ত সমস্যা গুলি আর হবেনা,ইনশাআল্লাহ। 

(০৩)
হ্যাঁ, গুনাহ হবে।
নামাজ শুরু করার পর শরীয়ত সম্মত বিশেষ ওযর ছাড়া নামাজ ভেঙ্গে দেয়া যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...