আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
closed by

ক) জুমার দিন ক্ববলাল জুমা আদায় না করতে পারলে সেটা কি জুমার নামাযের পরে আদায় করা যাবে?

খ) আমার দুই বন্ধু গল্প করছিলো রুমে। আর আমি সিজদাহ্ র আয়ার তিলাওয়াত করলাম। তারা খেয়ালও করে নাই আমি কি তিলাওয়াত করছি সেটা। কিন্তু তাদের কানে যাওয়ার মত দূরত্বে ছিলাম আমি। এতে কি তাদের উপরেও সিজদাহ্ ওয়াজিব? তারা তো খেয়ালই করে নাই আমার তিলাওয়াত এর দিকে

গ)উস্তাদ এইটার উত্তর পাইনি। একবার করেছিলাম আগেও।

স্কয়ার তো বাংলাদেশের কোম্পানি। তো এইটা হারাম কেন? কারন এইটা কাফের দের সাহায্য তো করছে না।
আমার জানা মতে ইউনিলিভার এ হচ্ছে এমন।
এছাড়া আর কি কি কোম্পানি আছে যা হারাম।

 

related to an answer for: coca cola pan kora ki jayej ???

ঘ) জুমার নামাযে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ কত রাকাত ও কি কি? 

ঙ) কাযা নামায আদায় করা বাকি থাকলে আমি কি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ পড়বো? নাকি কাযা নামায আদায় করতে থাকবো যতদিন না পরিপূর্ণ আদায় না হয়. 

closed

1 Answer

+1 vote
by (696,720 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
(ক)
৪৭৫৭ নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি,
হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত আছে যে,
وروي عن عبد الله بن مسعود: أنه كان يصلي قبل الجمعة أربعا، وبعدها أربعا.(ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 523 )
তিনি জুমুআহ এর পূর্বে ও পরে চার রাকাত নামায পড়তেন।(জামে তিরমিযি-৫২৩নং হাদীসের আলোচনায় বর্ণিত)

প্রকাশ থাকে যে,ইবনে মাসউদ রাযি এর উক্ত আ'মল নবীজী সা এর কাছ থেকে জেনেই করেছেন,কেননা গায়রে মা'ক্বুল(আ'কল গবেষনার উর্ধে কোনো) বিষয়ে কোনো সাহাবীর আ'মল হাদীসের মারফুর হুকমে হয়।তাই বুঝা গেল,হযরত ইবনে মাসউদ রাযি নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে এ বিষয়টা জেনেই করেছেন।এটা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আ'মল।ইবনে মাসউদ রাযি এর গবেষণা নয় যাতে ভূল ভ্রান্তির সমূহ সম্ভাবনা থাকতে পারে।

জুম্মাহর নামাযের আগের ও পরের সুন্নত সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৪৬৬৬


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু জুম্মার নামাযের আগের ও পরের সুন্নতগুলো সুন্নতে মু'আক্কাদা। তাই জুম্মাহর আগের সুন্নত কা'যা হয়ে গেলে, জুম্মাহর পরের চার রা'কাত সুন্নতের পর সেগুলোকে আদায় করে নিতে হবে।কেননা বিনা প্রয়োজনে সুন্নতে মু'আক্বাদা কে তরক করা গোনাহ।তাই জুম্মাহর পরের চার রা'কাত সুন্নতের পর সেই কা'যা হয়ে যাওয়া সুন্নত গুলোকে কা'যা করে নিতে হবে।

(খ)
১৯২৮ নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
والسجدة واجبة في هذه المواضع على التالي والسامع سواء قصد سماع القرآن أو لم يقصد، كذا في الهداية.
তেলাওয়াত কারী এবং শ্রবণকারী উভয়ের উপর তেলাওয়াতে সেজদা ওয়াজিব।চায় তারা শ্রবণের ইচ্ছা করুক বা না করুক।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩২)

জ্বী, আয়াতে সেজদা তেলাওয়াত করলে সেজদা দেওয়া ওয়াজিব।এবং শ্রবণ করলে সেজদা দেওয়া ওয়াজিব।
ঐ আয়াতটি সেজদার আয়াত, সেটা না জেনেও যদি কেউ শ্রবণ করে নেয়,তাহলেও তার উপর সেজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হবে।যে পড়ছে, তার সেজদা দেওয়া বা না দেওয়ার উপর সেজদায়ে তেলাওয়াত নির্ভর করবে না।

সুতরাং তাদের কানে তিলাওয়াতের আওয়াজ যদি পৌছে থাকে,তাহলে সিজদা ওয়াজিব হবে।

(গ)
বর্তমানে স্কয়ার সম্পূর্ণ বাংলাদেশী।বিদেশীদের সাথে তাদের কোনো চুক্তি নেই।তাই এখন তাদের পণ্যকে হারাম বা মাকুরুহ কিংবা অনুচিত অনুত্তম কিছুই বলা যাবে না।তবে এক সময় তাদের সমূহ ব্যবসা অমুসলিম কম্পানির সাথে শেয়ার বিত্তিক ছিলো।তখন ফুকাহায়ে কেরাম স্কয়ারকে অমুসলিম কম্পানি হিসেবে ধরে নিতেন।বিস্তারিত দেখুন উইকিপিডিয়াতে।কখন কার সাথে তাদের চুক্তি ছিলো।

যে সমস্ত কম্পানির ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করে,তাদের পণ্য ক্রয় হারাম।তবে সাধারণ অমুসলিমদের পণ্য হারাম হবে না।
উত্তর দেয়া হয়েছে।তবে আপনি পাননি।

(ঘ)
জুম্মাহর নামাযের আগের ও পরের সুন্নত সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৪৬৬৬

(ঙ)
কাযা নামায আদায় করা বাকি থাকলেও আপনি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ পড়বেন।এবং সাথে সাথে সময় সুযোগ মত কাযা নামায আদায় করতে থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 156 views
...