বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
(ক)
৪৭৫৭ নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি,
হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত আছে যে,
وروي عن عبد الله بن مسعود: أنه كان يصلي قبل الجمعة أربعا، وبعدها أربعا.(ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 523 )
তিনি জুমুআহ এর পূর্বে ও পরে চার রাকাত নামায পড়তেন।(জামে তিরমিযি-৫২৩নং হাদীসের আলোচনায় বর্ণিত)
প্রকাশ থাকে যে,ইবনে মাসউদ রাযি এর উক্ত আ'মল নবীজী সা এর কাছ থেকে জেনেই করেছেন,কেননা গায়রে মা'ক্বুল(আ'কল গবেষনার উর্ধে কোনো) বিষয়ে কোনো সাহাবীর আ'মল হাদীসের মারফুর হুকমে হয়।তাই বুঝা গেল,হযরত ইবনে মাসউদ রাযি নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে এ বিষয়টা জেনেই করেছেন।এটা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আ'মল।ইবনে মাসউদ রাযি এর গবেষণা নয় যাতে ভূল ভ্রান্তির সমূহ সম্ভাবনা থাকতে পারে।
জুম্মাহর নামাযের আগের ও পরের সুন্নত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৪৬৬৬
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু জুম্মার নামাযের আগের ও পরের সুন্নতগুলো সুন্নতে মু'আক্কাদা। তাই জুম্মাহর আগের সুন্নত কা'যা হয়ে গেলে, জুম্মাহর পরের চার রা'কাত সুন্নতের পর সেগুলোকে আদায় করে নিতে হবে।কেননা বিনা প্রয়োজনে সুন্নতে মু'আক্বাদা কে তরক করা গোনাহ।তাই জুম্মাহর পরের চার রা'কাত সুন্নতের পর সেই কা'যা হয়ে যাওয়া সুন্নত গুলোকে কা'যা করে নিতে হবে।
(খ)
১৯২৮ নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
والسجدة واجبة في هذه المواضع على التالي والسامع سواء قصد سماع القرآن أو لم يقصد، كذا في الهداية.
তেলাওয়াত কারী এবং শ্রবণকারী উভয়ের উপর তেলাওয়াতে সেজদা ওয়াজিব।চায় তারা শ্রবণের ইচ্ছা করুক বা না করুক।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩২)
জ্বী, আয়াতে সেজদা তেলাওয়াত করলে সেজদা দেওয়া ওয়াজিব।এবং শ্রবণ করলে সেজদা দেওয়া ওয়াজিব।
ঐ আয়াতটি সেজদার আয়াত, সেটা না জেনেও যদি কেউ শ্রবণ করে নেয়,তাহলেও তার উপর সেজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হবে।যে পড়ছে, তার সেজদা দেওয়া বা না দেওয়ার উপর সেজদায়ে তেলাওয়াত নির্ভর করবে না।
সুতরাং তাদের কানে তিলাওয়াতের আওয়াজ যদি পৌছে থাকে,তাহলে সিজদা ওয়াজিব হবে।
(গ)
বর্তমানে স্কয়ার সম্পূর্ণ বাংলাদেশী।বিদেশীদের সাথে তাদের কোনো চুক্তি নেই।তাই এখন তাদের পণ্যকে হারাম বা মাকুরুহ কিংবা অনুচিত অনুত্তম কিছুই বলা যাবে না।তবে এক সময় তাদের সমূহ ব্যবসা অমুসলিম কম্পানির সাথে শেয়ার বিত্তিক ছিলো।তখন ফুকাহায়ে কেরাম স্কয়ারকে অমুসলিম কম্পানি হিসেবে ধরে নিতেন।বিস্তারিত দেখুন উইকিপিডিয়াতে।কখন কার সাথে তাদের চুক্তি ছিলো।
যে সমস্ত কম্পানির ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করে,তাদের পণ্য ক্রয় হারাম।তবে সাধারণ অমুসলিমদের পণ্য হারাম হবে না।
উত্তর দেয়া হয়েছে।তবে আপনি পাননি।
(ঘ)
জুম্মাহর নামাযের আগের ও পরের সুন্নত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৪৬৬৬
(ঙ)
কাযা নামায আদায় করা বাকি থাকলেও আপনি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ পড়বেন।এবং সাথে সাথে সময় সুযোগ মত কাযা নামায আদায় করতে থাকবেন।