আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
397 views
in সালাত(Prayer) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম।

কোন ব্যক্তি ফজরের নামাজের সময় ওয়াক্ত থাকা অবস্থায় ফজরের সুন্নত, ফর‍য নামাজ আদায় করল। কিন্তু সন্দেহের বষবর্তি হয়ে তার মনে হলো ফরয নামাজটা হয় তো ঠিক মতো আদায় হয়নি, সেক্ষত্রে সে ফরজ নামাজের শেষ বৈঠকে নিয়ত করে ফেলল এটা তার বিগত উমরি কাযা নামাজ। এরপর আবার ফরয নামাজ শুরু করলো। কিন্তু শেষবার ফরয নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে দেখল সুর্য উদিত হয়ে একমিনিট হয়ে গেছে। মানে বিষয়টা এরকম শেষবার সালাত শুরু করে ৬.৩২ মিনিটে সালাত শেষ হয় ৬. ৩৬ মিনিট। ওইদিন সুর্যউদয় ৬.৩৫ মিনিটে।
আমার প্রশ্ন হলো নামাজ শুরু এক নিয়তে করল কিন্তু শেষ করল আরেক নিয়তে এভাবে নামাজের ভিতর নিয়ত চেঞ্জ করে কি নামায আদায় হয়?
আর বর্নিত অবস্থায় ফরয নামাজটা কি আদায় হয়েছে সুর্য উদয় কালে?

মোট কথা উল্লেখিত অবস্থার নামাজ কি হয়েছে? কারন সুর্য উদয় কালে তো শয়তানকে সেজদা করা হয় নাউযুবিল্লাহ। হানাফি মতে তার নামাজ ফাসিদ হয়ে যাবে, এই অবস্থায় যদি আবার সুর্য উদয়ের পর সে আবার ফরয সালাত আদায় করে সেক্ষেত্রে সেদিনের ফজরের সালাত কি হিসেবে আদায় হবে?
এখানে আর একটা বিষয় প্রথমবার যখন ফরয সালাত আদায় করেছিল তখন সালাতের রুকু সেজদা ঠিকভাবে দীর্ঘসময় নিয়েই আদায় করেছিল, কিন্তু নামাজের শেষ বৈঠকে মনে হলো সালাত এ ভুল হয়েছে আর তখনই নিয়ত চেঞ্জ করে ফেলল।

আর প্রচন্ড ওসিডিতে ভোগা অবস্থায় করনীয় কি? এই ওসিডির মাত্রাটা কেন জানি ফজরের ফরয সালাতে বেশী হয়।

জাজাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের মধ্যে নিয়ত চেঞ্জ করা যায় না।

সূর্যোদয়ের সময়ে ফজরের নামায
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عن أبي هريرة: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «من أدرك من الصبح ركعة قبل أن تطلع الشمس، فقد أدرك الصبح، ومن أدرك ركعة من العصر قبل أن تغرب الشمس، فقد أدرك العصر»
তরজমাঃ-
যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন ফজরের নামাযকে পেয়ে গেল।যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন আসরের নামাযকে পেয়ে গেল।(সহীহ বুখারী-৫৭৯,সহীহ মুসলিম-৬০৮)(মিরকাত-৬০২)

মোল্লা আলী কারী রাহ বলেন,
(وَعَنْهُ) : أَيْ: عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ (قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا أَدْرَكَ أَحَدُكُمْ سَجْدَةً ") : أَيْ: رَكْعَةً إِطْلَاقًا لِلْبَعْضِ عَلَى الْكُلِّ أَوْ سُمِّيَتِ الرَّكْعَةُ سَجْدَةً لِإِتْمَامِهَا بِهَا (مِنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ؟ فَلْيُتِمَّ صَلَاتَهُ) : أَيْ: لِيُكْمِلَهَا بِالْبَاقِيَةِ (وَإِذَا أَدْرَكَ سَجْدَةً مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَلْيُتِمَّ صَلَاتَهُ) : أَيْ: بِالْقَضَاءِ عِنْدَنَا بِأَنْ يُعِيدَهَا (رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ) : وَكَذَا أَحْمَدُ، وَالنَّسَائِيُّ، قَالَهُ مِيرَكُ. وَمُنَاسَبَةُ هَذَا الْحَدِيثِ وَمَا قَبْلَهُ لِعُنْوَانِ الْبَابِ غَيْرُ ظَاهِرَةٍ، وَإِنَّمَا ذَكَرَهُمَا اسْتِطْرَادًا، أَوْ يُقَالُ فِيهِمَا إِشَارَةٌ إِلَى أَنَّ مَنْ أَخَّرَ الصَّلَاةَ إِلَى آخِرِ أَجْزَاءِ وَقْتِهَا، فَلَا يَكُونُ مُقَصِّرًا، وَيَصْدُقُ عَلَيْهِ أَنَّهُ عَجَّلَهَا فِي الْجُمْلَةِ حَيْثُ أَدَّاهَا قَبْلَ الْفَوْتِ.
হানাফি ফকীহগণ,বর্ণিত হাদীসের মুকাবেলায় অন্য হাদীসকে নিয়ে আসছেন না।বরং বর্ণিত হাদীসের তরজমা করছেন এভাবে যে,যদি কেউ সূর্যাস্তের পূর্বে এক রাকাত পরিমাণ সময়কে পেয়ে যায়,তাহলে সে ঐ সময়েই আছরের নামাযকে শুরু করে দেবে,এবং আছরের নামাযকে পূর্ণকরে পড়ে নেবে।কিন্তু যদি ফজরের নামাযের সময় সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রা'কাত পরিমাণ সময় পেয়ে যায়,তাহলে ঐ ব্যক্তি ফজরের নামাযকে পরবর্তীতে কা'যার মাধ্যমে পূর্ণ করে নেবে,যেমন তিনি বলেন,
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সূর্যোদয়ের পর উক্ত নামাযকে কা'যা করে নিবেন।নিয়ত চেঞ্জ করতে পারবেন না।





(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 370 views
...