আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
closed by
আজকের যোহরের ওয়াক্তের শুরু ১১:৪৬ মিনিটে (ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুযায়ী)। হিসাব অনুযায়ী ওয়াক্ত শুরু ১১:৪৩ মিনিট হতে। এখন যদি ১১:৩৭ মিনিট নাগাদ কোনো ব্যক্তি তার কাযা হয়ে যাওয়া ফজরের সালাত আদায় করা শুরু করতে করতে ১১:৪১ বাজার পর সালাত শেষ করে, এরূপ পরিস্থিতিতে তার সালাত হবে কি না বা পুনরায় কাযা আদায় করতে হবে কীনা? (তার ধারণা ছিল যোহরের ওয়াক্ত শুরুর ৩ মিনিট আগে তাকে সালাত শেষ করতে হবে, তবে প্রকৃতপক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সময়সূচীতে লেখা ছিল যোহরের ওয়াক্ত শুরুর উল্লেখিত সময়ের ৬ মিনিট আগে হতে সালাত শুরু না করার ব্যাপারে) ; (ফজরের সালাত সে আদায় করেনি সে জানত, কিন্তু পরিস্থিতির শিকার হয়ে কাযা আদায় করতে করতে দেরি হয়ে যায়)
closed

1 Answer

0 votes
by (697,120 points)
selected by
 
Best answer


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/471 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইমাম সারখাসী রাহ ফজর আর আসরের এই বৈপরীত্য সম্পর্কে বলেনঃ
والفرق بينهما عندنا أن بالغروب يدخل وقت الفرض فلا يكون منافيا للفرض وبالطلوع لا يدخل وقت الفرض فكان مفسدا للفرض كخروج وقت الجمعة في خلالها مفسد للجمعة؛ لأنه لا يدخل وقت مثلها، ،
বঙ্গানুবাদঃ-ফজর আর আছরের মধ্যে পার্থক্য হল,যে সূর্যাস্তের মাধ্যমে ভিন্ন এক ফরয নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করছে,সুতরাং তা কোনো ফরয নামাযের খেলাফ বা বিরোধী হবে না।আর সূর্যোদয়ের মাধ্যমে ভিন্ন কোনো নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করছে না।বিধায় সূর্যোদয়ের পর কোনো ফরয শুদ্ধ হবে না।বরং ফাসিদ হয়ে যাবে।যেমন জুমআর নামাযের সময় ওয়াক্ত চলে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন কোনো ভিন্ন নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করছে না।

ইমাম সারখাসী রাহ আরো বলেনঃ আমার কাছে ফজর আর আসরের এই পার্থক্যর বিশুদ্ধ কারণ মনে হচ্ছে এই যে,
قال والأصح عندي في الفرق أن الطلوع بظهور حاجب الشمس وبه لا تنتفي الكراهة بل تتحقق فكان مفسدا للفرض، والغروب بآخره وبه تنتفي الكراهة فلم يكن مفسدا للعصر لهذا
সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের কিরণরাশি দ্বারা মাকরুহ দূরবিত হয়না।বরং মাকরুহ হওয়া আরো ভালভাবে প্রমাণিত হয়।সুতরাং এজন্য সূর্যোদয়ের সময় ফজরের নামায ফাসিদ বলে গণ্য হয়।আর সূর্যাস্তের মাধ্যমে সূর্যের রশ্মি খতম হয়ে যায়,যার কারণে মাকরুহ দূরবিত হয়ে যায়।সতরাং এজন্য সূর্যাস্তের সময় আছরের নামায ফাসিদ বলে গণ্য হবে না।(মাবসুত-সারখাসী-১/১৫২)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, আপনার ধারণা সত্য।সূর্য আকাশের মধ্যখানে প্রায় ৬/৭ মিনিট অবস্থান করে থাকে। এই সময়ে নামায পড়া মাকরুহ।তবে পূর্ব থেকে নামাযে থাকলে, এবং এই সময়ে এসে উপনীত হলে, নামায হয়ে যাবে।কেননা সূর্য মধ্যখান থেকে ঢলে পড়ার পর নতুন ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, সুতরাং আছরের নামাযের মত আপনার এ নামায কাযা হিসেবে আদায় হয়ে গেছে। পূনরায় আবার কাযা করতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 140 views
...