জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(ক, সালাত বিষয়ক)
(০১)
وقرأ سبحانک اللّٰھم إلا إذا شرع الإمام فی القراء ة وفی رد المحتار: ولو أدرک الإمام بعد ما اشتغل بالقراء ة، قال ابن الفضل: لا یثنی وقال غیرہ: یثنی، وینبغی التفصیل، إن کان الإمام یجھر لا یثنی، وإن کان یسرّ یثنی۔ ( الدر المختار مع رد المحتار: ۱۸۹/۲، ۱۹۰، ط: زکریا، دیوبند)۔
সারমর্মঃ-
তাকবিরে তাহরিমার পর মুক্তাদী سبحانک اللّٰھم তথা ছানা পড়বে,তবে যদি ইমাম সাহেব কিরাআত শুরু করে দেয়,তাহলে ছানা পড়া বন্ধ করে দিবে।
তবে যদি ইমাম সাহেব আস্তে কিরাআত বিশিষ্ট নামাজে কিরাআত শুরু করে দেয়,সেক্ষেত্রে মুক্তাদী ছানা পড়া শেষ করবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুক্তাদীর ছানা পড়া অবস্থায় ইমাম সাহেব যদি কিরাআত শুরু করে দেয় সেক্ষেত্রে মুক্তাদী চুপ হয়ে যাবে। যতটুকু ছানা পড়েছে,ততটুকুর উপর ক্ষান্ত করে ইমামের কিরাআত শুনবে।
তবে যদি আস্তে কিরাআত বিশিষ্ট নামাজ হয়, সেক্ষেত্রে মুক্তাদী ছানা পড়া শেষ করবে।
(০২)
এভাবে কল্পনাতে আয়াত দেখে পড়ার ফলে সালাতের ক্ষতি হবেনা।
খ) কুরবানী বিষয়ক:
(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে কুরবানী কবুল হবেনা।
তবে কুরবানী আদায় হয়ে যাবে।
পুনরায় কুরবানী দিতে হবেনা।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِن يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ
এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। (সূরা হাজ্ব-৩৭)
আরো জানুনঃ-
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنَا، ح وحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرِ بْنِ بَرِيٍّ، حَدَّثَنَا عِيسَى الْمَعْنَى، عَنْ ثَوْرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو حُمَيْدٍ الرُّعَيْنِيُّ، أَخْبَرَنِي يَزِيدُ ذُو مِصْر، قَالَ: أَتَيْتُ عُتْبَةَ بْنَ عَبْدٍ السُّلَمِيَّ فَقُلْتُ: يَا أَبَا الْوَلِيدِ، إِنِّي خَرَجْتُ أَلْتَمِسُ الضَّحَايَا فَلَمْ أَجِدْ شَيْئًا يُعْجِبُنِي غَيْرَ ثَرْمَاءَ فَكَرِهْتُهَا فَمَا تَقُولُ؟ قَالَ: أَفَلَا جِئْتَنِي بِهَا. قُلْتُ: سُبْحَانَ اللَّهِ تَجُوزُ عَنْكَ وَلَا تَجُوزُ عَنِّي. قَالَ: نَعَمْ، إِنَّكَ تَشُكُّ وَلَا أَشُكُّ، إِنَّمَا " نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ المُصْفَرَّةِ، وَالْمُسْتَأْصَلَةِ، وَالْبَخْقَاءِ وَالْمُشَيَّعَةِ، وَكِسَرَا، وَالْمُصْفَرَّةُ: الَّتِي تُسْتَأْصَلُ أُذُنُهَا حَتَّى يَبْدُوَ سِمَاخُهَا وَالْمُسْتَأْصَلَةُ: الَّتِي اسْتُؤْصِلَ قَرْنُهَا مِنْ أَصْلِهِ، وَالْبَخْقَاءُ: الَّتِي تُبْخَقُ عَيْنُهَا، وَالْمُشَيَّعَةُ: الَّتِي لَا تَتْبَعُ الْغَنَمَ عَجَفًا وَضَعْفًا، وَالْكَسْرَاءُ: الْكَسِيرَةُ
ইয়াযীদ মিসরী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘উতবাহ ইবনু আবদ আস-সুলামীর নিকট এসে বলি, হে ওয়ালীদের পিতা! আমি কুরবানীর পশুর খোঁজে বের হই, কিন্তু কোনো পশুই পছন্দ হয়নি। একটি বকরী পছন্দ হয়েছিল, তার একটি দাঁত না থাকায়, সেটাও বাদ দিয়েছি। এখন এ বিষয়ে আপনি আমাকে পরামর্শ দিন। ‘উতবাহ বলেন, তুমি আমার কাছে সেটা নিয়ে আসনি কেন? আমি বলি, সুবহানাল্লাহ! দাঁতপড়া পশু কুরবানী আপনার জন্য বৈধ, অথচ আমার জন্য বৈধ নয়! তিনি বললেন, হ্যাঁ। তুমি সন্দিহান হয়েছো কিন্তু আমি সন্দিহান হইনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কানকাটা, শিংবিহীন, অন্ধ, দুর্বল এবং পা ভাঙ্গা পশু কুরবানী করতে নিষেধ করেছেন।
মুসফারা হচ্ছে ঐ পশু যার কানকাটার ছিদ্র স্পষ্ট দেখা যায়। মুস্তাসালা হলো ঐ পশু যার শিং গোড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে। বাখকা হলো, যে পশুর দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়েছে। মুশায়্যি‘আহ হলো, যে পশু দুর্বলতার কারণে মেষের সাথে সাথে চলতেও অক্ষম। কাসরা হলো ঐ পশু যার পা ভাঙ্গা।
(আবু দাউদ ২৮০৩)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কানকাটা, শিংবিহীন, অন্ধ, দুর্বল এবং পা ভাঙ্গা পশু কুরবানী করতে নিষেধ করেছেন।
সুতরাং উক্ত পশুতে এই সমস্যা গুলি দেখা দিলে সেই পশু দিয়ে কুরবানী করা যাবেনা।
অন্য একটি সুস্থ পশু দিয়ে কুরবানী দিতে হবে।
আরো জানুনঃ-
গ) জিকির/ ওজিফা বিষয়ক:
(০১)
সুন্নাহতে এরকম কোন আমল পাওয়া যায়না।
যদি এরকম জিকির মাসনুন জিকির মনে না করে, মহান আল্লাহর নামের অর্থের দিকে খেয়াল রেখে ফজিলতের আশায় এরকম জিকির করলে তা বিদ'আত হবেনা।
তবে আবশ্যকীয় বা দ্বীনের অংশ মনে করা যাবেনা।
(০২)
একবার,তিনবার,সাতবার,৪০ বার,৪১ বার বিভিন্ন রকমের রেওয়ায়াত পাওয়া যায়।
ঘ) বিবিধ:
ইংরেজি মাসের হিসেবে ধরতে হবে।